আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের বিশুদ্ধ আকীদাহ্ মুবারক
, ০৫ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৩ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ২২ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ০৭ ভাদ্র শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মহান আল্লাহ পাক তিনি খ্বালিক্ব, তিনি মালিক, তিনি রব। তিনি একমাত্র মা’বুদ ও ইলাহ্। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তিনি অনাদি অনন্ত। উনার সমকক্ষ কেউ নেই। তিনি সব কিছু থেকে বেনিয়াজ। তিনি নিরাকার। তিনি আকার আকৃতি থেকে পবিত্র। উনার হাত-পা বা অঙ্গ-প্রতঙ্গ আছে বলে বিশ্বাস করা শিরক। উনাকে আলো অর্থে নূর বলা কুফরী; বরং তিনি আসমান যমীন আলোকিতকারী বা হিদায়েত দানকারী অর্থে নূর। একইভাবে উনার জাতী নূরে বিশ্বাস করাও কুফরী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারো থেকে জন্ম গ্রহণও করেননি। এ প্রসঙ্গে খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ. اَللهُ الصَّمَدُ. لَـمْ يَلِدْ وَلَـمْ يُولَدْ. وَلَـمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ
অর্থ: “বলুন, মহান আল্লাহ পাক তিনি এক। মহান আল্লাহ পাক তিনি বেনিয়াজ অর্থাৎ তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। উনার থেকে কেউ আসেনি এবং তিনিও কারো থেকে আসেননি। উনার সমকক্ষ কেউ নেই।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইখলাছ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১-৪)
মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র আরশে আযীম মুবারক-এ সমাসীন হয়েছেন বা সমাসীন আছেন বলা কুফরী। কেননা এর দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে সৃষ্টির সাথে তুলনা দেয়া হয় এবং উনাকে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের অধীন সাব্যস্ত করা হয়, যা সুস্পষ্ট কুফরী।
هُوَ الَّذِىْ خَلَقَ السَّمـٰوٰتِ وَالْاَرْضَ فِـىْ سِتَّةِ اَيَّامٍ ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী অর্থ মুবারক হচ্ছেন- ‘তিনি সেই মহান আল্লাহ পাক যিনি আসমান-যমীন ৬ দিনে অর্থাৎ ৬ ধাপে সৃষ্টি করেছেন। (কারণ তখন দিন ছিলো না।) ৬ ধাপে আসমান-যমীন সৃষ্টি করার পর আরশে আযীমকে আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চ স্থানে স্থাপন করে আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমরের মধ্যে পার্থক্য সূচনা করে দিয়েছেন।’ সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
মহান আল্লাহ পাক উনার ৮টি জাতী ছিফত রয়েছেন- (১) ইরাদা বা ইচ্ছা। (২) বাছার বা দেখা। (৩) তাকউয়ীন বা হওয়া বা পয়দা করা। (৪) হায়াত। (৫) সামউন অর্থাৎ শোনা। (৬) ইলিম। (৭) কালাম। (৮) কুদরত।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ১০টি বিষয় থেকে পবিত্র। এ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছেন-
اَللهُ مُنَـزَّهٌ عَنْ جِسْمٍ وَّجَوْهَرٍ وَّعَرْضٍ وَّتَصْوِيْرٍ وَّتَـعْدِيْدٍ وَّتَـبْعِيْضٍ وَّتَـجْزِىٍ وَّتَـرْكِيْبٍ وَّتَـنَاهِىٍّ وَّتَـحْدِيْدٍ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি জিসিম বা শরীর বা নির্ভরশীলতা থেকে, চওড়া বা প্রশস্ত হওয়া থেকে, পরিধি বা ব্যাস বা বস্তু বিশিষ্ট হওয়া থেকে, আকৃতি থেকে, সংখ্যা থেকে, টুকরা টুকরা হওয়া থেকে, অংশ হওয়া থেকে, সম্মিলিতরূপ হওয়া থেকে, না হওয়া থেকে, সীমা শেষ হওয়া থেকে ইত্যাদি সমস্ত কিছু থেকেই পবিত্র।” সুবহানাল্লাহ!
-মুহম্মদ আল আমিন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বদ নযর বা কুদৃষ্টি এবং তার শরয়ী আহকাম (৩)
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)