আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদেরকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৭)
, ২৯ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১০ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯, মে, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
জারাহ করার বিষয়ে পূর্ণ ইলিম ছাড়া নফসানিয়াত প্রকাশ পেলে বুখারী শরীফ মুসলিম শরীফসহ অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাবেও জারাহ হয়ে যাবে:
হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইমরান ইবনে হিত্তান সূত্রে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। অথচ ইমরান ইবনে হিত্তান ছিলো খারিজী সম্প্রদায়ের লোক। শুধু তাই না এ ব্যক্তি আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার শহীদকারী আব্দুর রহমান ইবনে মুলজিমের প্রশংসা করে বেড়াতো। নাউযুবিল্লাহ (ইখতেসারু উলূমিল হাদীছ ৯৯ পৃষ্ঠা)
এছাড়াও ছহীহ বুখারী ও ছহীহ মুসলিম শরীফ-এ ২০ জন মরজিয়া, ২৩ জন ক্বদরিয়া, ২৮ জন শিয়া, ৪ জন রাফিজী, ৯ জন খারেজী, ৭ জন নাসিবী ও ১ জন জহমিয়া কর্তৃক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। (সায়িকাতুল মসলিমীন, মিযানুল ইতেদাল, তাহযীবুত তাহযীব, জারাহ ওয়াত তা’দীল, তাহযীবুল কামাল)
একজন ছিক্বাহ রাবী হযরত ইমাম হিশাম দাস্তাওয়ারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে বলা হয়েছে-
قَالَ مُـحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ كَانَ ثِقَةٌ حُجَّةٌ، اِلَّا اَنَّهٗ يَرَى الْقَدْرَ
পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনার ক্ষেত্রে তিনি বিশস্ত ও দলীল স্বরূপ হলেও তিনি ক্বাদরিয়া ফেরকার ছিলেন। (তাযকিরাতুল হুফফাজ ১/১২৪, তারিখুল ইসলাম লি ইমাম যাহাবী ৯/৬৫৬)
অপরদিকে হযরত আবু দাউদ তায়লাসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত হিশাম দাস্তাওয়ায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বলেন-
هِشَامٌ اَلدَّسْتَوَائِىُّ اَمِيْرُ الْـمُؤْمِنِيْنَ فِى الْـحَدِيْثِ
অর্থ: হযরত হিশাম দাস্তাওয়ায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র হাদীছ শাস্ত্রে আমীরুল মু’মিনীন ছিলেন। (তাযকিরাতুল হুফফাজ ১/১২৪)
ইয়াহিয়া ইবনে মঈন ও নাসায়ী উনারা উনাকে বিশ্বস্ত মনে করতেন।
হাফিয হযরত আবু নুয়াইম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি আটশ মুহাদ্দিছ থেকে হাদীছ শরীফ অর্জন করেছি। কিন্তু হযরত হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইবনে ছালেহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের চাইতে ভালো ও শ্রেষ্ঠ কাউকে পাইনি। অথচ যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তিনি আক্বীদার ক্ষেত্রে খারিজী ছিলেন (তাযকিরাতুল হুফফাজ ১/১৯৫)
ইমাম আবূ সাহল ওয়াসিত্বী শিয়া ছিলো। এ অপরাধে কথিত খলীফা হারুনুর রশীদ তাকে গ্রেফতারও করে। তার সম্পর্কে ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ বর্ণনায় তিনি দলীল হওয়ার ক্ষেত্রে সবাই একমত। (তাযকিরাতুল হুফফাজ ১/২৩৮)
হযরত আবী আব্দুল্লাহ নিশাবুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি একজন ইমাম সম্পর্কে বলেন-
ثِقَةٌ فِـى الْـحَدِيْثِ رَافِضِىٌّ خَبِيْثٌ
পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত কিন্তু খবীস রাফিজী। (মা’রিফাতু উলুমিল হাদীছ ১/১০, তাযকিরাতুল হুফফাজ ৩/১৬৫, সিয়ারু আলাম আন নুবালা ১৭/১৭৪)
আমরা সবাই জানি রাফিযী, শিয়া, খারিজী, ক্বদরিয়া, জহমিয়া, মুশাব্বিয়া এসব বাতিল ফিরকার লোকেরা বদ আক্বীদার, এবং বিদয়াতী। তাহলে এসব বর্ণনাকারী কেন ছহীহ হাদীছ শরীফ উনার কিতাবে?
বদ আক্বীদার রাবী সম্পর্কেও একেক ইমাম উনাদের একেক দৃষ্টি ভঙ্গি রয়েছে। যেমন, হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুতাজিলা ফেরকার লোকদের বর্ণিত হাদীছ শরীফ গ্রহন করতেন না। (আল ফারকু বাইনাল ফিরকি ৩৫৮ পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তাদের (শিয়া) নিকট পবিত্র হাদীছ বর্ণনা করো না, তাদের কাছ থেকে গ্রহণও করা যাবে না। (আল মুনত্বাকা ২১ পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, রাফিযী শিয়াদের চাইতে অধিক মিথ্যা রচনাকারী সম্প্রদায় আমি দেখিনি। (আল কিফায়া ২০২ পৃষ্ঠা)
তাহলে বর্তমানে ওহাবী সম্প্রদায় কি বুখারী শরীফ মুসলিম শরীফ উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ বাদ দিয়ে দিবে? তারাইতো জোর গলায় প্রচার করে থাকে-
اَصَحُّ الْكِتَابِ بَعْدَ كِتَابِ اللهِ اَلصَّحِيْحُ الْبُخَارِيُّ
অর্থ: “পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পর সর্বাধিক ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য কিতাব হলো ছহীহ বুখারী। ” (আল হিত্তাহ ফি যিকরিল ছিহাহুস সিত্তাহ ১/২১৯)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৬)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৬)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বর্তমান এই পরিস্থিতিতে সমগ্র দেশবাসীর জন্য যা আবশ্যিকভাবে করণীয়
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৪)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৫)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)