আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদেরকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৫)
, ০৯ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সবাই কি জারাহ করার যোগ্যতা রাখে?
পবিত্র হাদীছ শরীফ পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণকারীদের অনেক গুণাবলী থাকতে হবে। যেমন তেমন লোক পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে বা কোন রাবী নিয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবে না।
হযরত আব্দুল হাই লখনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি এ বিষয়ে কিতাবে উল্লেখ করেন, “পবিত্র হাদীছ শরীফ বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনাকারীদের জন্য এ গুণাবলী অপরিহার্য যে, তারা নেককার ও নির্ভযোগ্য হবেন। জারাহ ও তা’দীলের বিষয়গুলো ভালোভাবে অবগত হবেন। ন্যায় ও ইনছাফের উপর থাকবেন, কল্যাণকামী হবেন, গোঁড়ামী ও পক্ষপাতিত্ব থেকে মুক্ত হবেন, অহঙ্কার ও আত্মগৌরব থেকে মুক্ত হবেন। কেননা গোঁড়া ও পক্ষপাতদুষ্ট লোকের কথা গ্রহণযোগ্য নয়। ” (ফাওয়াতিহুর রহমূত ২/১৫৪)
হাফিযে হাদীছ হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি তিনি বলেন-
واِنْ صَدَرَ مِنْ غَيْرِ عَارِفٍ باِلْاَسْبَابِ لَـمْ يُعْتَبَرْ بِه
অর্থ : “জারাহ যদি এমন ব্যক্তি করেন যিনি জরাহের নিয়ম কানুন, লক্ষণ, কারণ সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত নন তার কথার কোনো গুরুত্ব নেই। ” (নুয্হাতুন্ নাযার ফী তাওযীহি নুখবাতিল ফিকর ১/১৭৯)
যেমন একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, হযরত ইবনে হিব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জারাহ যাচাই বাছাই ছাড়া গ্রহণ করা হয়না। ইমাম হযরত যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
قَالَتْ: حَضْرَتْ اِبْنُ حِبَّانَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ رُبـَمَا قَصَبَ الثِّقَةَ حَتّٰى كَاَنَّه لَا يَدْرِىْ مَا يـَخْرُجُ مِنْ رَّاْسِه
অর্থ : “আমি বলি, ইবনে হিব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রায়ই নির্ভরযোগ্যকে দুর্বল বলেন, এমনকি মনে হয় তার মাথা থেকে কি বের হচ্ছে তা তিনি নিজেই বুঝেন না। ” (মিযানুল ইতিদাল ১/২৭৪, খুলাছাতুল উলুমিল জারাহ ওয়াত তা’দীল ১/৫০০)
রিজালের কিতাব খুলে দেখা গেছে অনেক ছিক্বাহ রাবী উনাদেরকে ইবনে হিব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জারাহ করেছেন, অথচ দুনিয়ার আর সব ইমাম সেই রাবীর প্রশংসাই করেছেন।
অতএব কে জারাহ করলো সে বিষয়টাও খেয়াল রাখতে হবে। সবার কৃত জারাহ গ্রহণ করা যাবে না। বরং তাহক্বীক্ব করে নিতে হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)