আসন্ন নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ তথা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমেরিকা, রাশিয়া তথা বিদেশীদের সক্রিয় তৎপরতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণহীণতার নেপথ্যে কি? এ অপতৎপরতার শুরু স্বাধীনতার পর থেকেই জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাওয়া বৈদেশিক প্রভাব ও চাপে পিষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দোষের ভার নিতে হবে দেশের মালিক জনগণকেই
কারণ ক্ষমতালিপ্সু ও ক্ষমতাসীন উভয়ের কাছে এখন জনস্বার্থের চেয়ে মসনদের মোহই বড়। নাউযুবিল্লাহ! (পর্ব-৪)
, ১৬ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০১ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৫ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
বাংলাদেশের বর্তমান ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে এটা মনে রাখা দরকার যে ২০২৩ সালে বিদেশি শক্তিগুলোর অবস্থান শুধু স্বার্থগত দ্বন্দ্বের বিষয় নয়, এর সঙ্গে আদর্শিক দ্বন্দ্বের প্রশ্নও জড়িত। ফলে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-ভারত আলোচনার পর কোনো পক্ষের অবস্থান বদলে যাবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য শক্তিগুলো সরকারের আশ্বাস এবং ভারতের অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে তাদের পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে, এমন ভাবলে ভুল হিসাব করা হবে।
বাংলাদেশের জন্য আগামী নির্বাচনের গুরুত্ব কেবল কে ক্ষমতায় থাকবে- তাই নয়, এর সঙ্গে যুক্ত আছে অভ্যন্তরীণ শাসন ব্যবস্থা এবং বৈশ্বিক রাজনীতির প্রশ্ন। অভ্যন্তরীণভাবে একটি কার্যকর বহুদলীয় ব্যবস্থা থাকা নাথাকার প্রশ্নটি নির্ধারণের বিষয় হয়ে উঠেছে এই নির্বাচনে। অন্যদিকে ভবিষ্যতে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে, তার পথরেখার ইঙ্গিত পাওয়া যাবে।
এগুলোর ব্যাপারে বাংলাদেশের নাগরিকেরাই কেবল উদ্বিগ্ন, তা নয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোও চিন্তিত।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ভিসানীতি নিয়ে কয়েক মাস ধরে অনেক কথাই হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে এবং এই ভিসানীতি ইতোমধ্যেই কিছুটা কার্যকর হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সঙ্গত কারণেই আগামী দিনগুলোতে এটি কতটুকু ও কীভাবে প্রয়োগ করা হবে- এটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সর্বত্রই। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন শ্রমনীতি ঘোষণা করেছে। গত ১৬ নভেম্বর ঘোষিত এই শ্রমনীতিতে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের অধিকার হরণ, তাদের নির্যাতন এবং ভয়ভীতি দেখানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকার নতুন করে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের টানাপড়েন, আসন্ন নির্বাচন এবং পোশাক খাতের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে বিষয়টি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা একটা সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করব।
সবার আগে যে বিষয়টি উল্লেখ করা প্রয়োজন তা হচ্ছে, আমাদের দেশের পোশাক খাত সম্পূর্ণভাবে বেসরকারি মালিকানায় পরিচালিত হয়।
শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের নির্দিষ্ট শ্রম আইনের আলোকে এর বাস্তবায়নের দায় বর্তায় মূলত মালিক কর্তৃপক্ষের ওপর। তারপরও সরকার, মালিকপক্ষ এবং ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মধ্য দিয়ে সার্বিক বিষয়টি পরিচালিত হয়ে থাকে। আর এ কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে চলমান শ্রমিক বিক্ষোভের আলোকে এই ত্রিপক্ষীয় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শ্রমিকদের জন্য নতুন করে ন্যূনতম মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে। এর যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে অর্থাৎ শ্রম আইনের আলোকে তাদের অধিকার হরণ, নির্যাতন অথবা অন্য কিছু, সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট কারখানার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হতে পারে। সার্বিকভাবে পুরো পোশাক শিল্পের ওপর এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসার কথা নয়। তবে হ্যাঁ, সরকারের আইন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট অভিযোগের আলোকে আইন প্রয়োগের প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। সবদিক বিবেচনায় নিলে আমরা যে বিষয়টি দেখতে পাই, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রম অধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে বিদ্যমান আন্তর্জাতিক আইন কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সন্তোষজনক। এই বিবেচনায় কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রধান গন্তব্য ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়ে আসছে। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত স্ট্যাটাস প্রবণতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত ষ্ট্যাটাস প্রবনতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (তৃতীয় পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)