আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল খুছূছিয়ত মুবারক
, ১৮ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩০ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
عَنْ عَلِيٍّ عليه السلام قَالَ الْحَسَنُ عليه السلام أَشْبَهُ النَّاسِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بَيْنَ الصَّدْرِ إِلَى الرَّأْسِ ، وَالْحُسَيْنُ عليه السلام أَشْبَهُ النَّاسِ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا كَانَ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ "
অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার বুক মুবারক হতে মাথা মুবারক পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিপূর্ণ সাদৃশ্য ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার চেহারা মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেহারা মুবারক উনার সাথে পুরোপুরি সাদৃশ্য ছিল। সুবহানাল্লাহ! (ইবনে আসাফির)
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অত্যন্ত প্রিয়পাত্র ছিলেন। তিনি উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত করতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দায়েমী ছোহবত মুবারক এবং পৃষ্ঠপোষকতা মুবারকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি বেড়ে উঠেন। যা বিভিন্ন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। যেমন, হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদা এমন অবস্থায় বাহিরে তাশরীফ আনলেন যে, উনার এক কাঁধ মুবারক উনার উপর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে এবং অন্য কাঁধ মুবারক উনার উপর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে বসিয়ে ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি মালিকে আনআম হিসেবেই পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তথাপি উনার বেমেছাল শান মুবারক জানান দেয়ার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি বিশেষ বিশেষ ওয়াকিয়া মুবারক সংঘটিত করেছেন। যা দ্বারা কেবল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তেমনিভাবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে হাবীবী নিয়ামত মুবারক লাভ করেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن حضرت فاطمة عليها السلام انها اتت بالحسن عليه السلام والحسين عليه السلام ابها رسول الله صلى الله عليه وسلم فى شكواة التى مات فيها فقالت تورثهما يا رسول الله صلى الله عليه وسلم شيئا فقال اما الحسن عليه السلام فله هيبتى و سوددى واما الحسين عليه السلام فله جراتى وجودى.
অর্থ: সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিদায়ী শান মুবারক প্রকাশের পূর্বে উনার নিকট সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে আসলেন এবং বললেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদেরকে বিশেষ হাদিয়া মুবারক প্রদান করুন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার জন্য আমার প্রভাব প্রতিপত্তি ও ইমামত মুবারক। আর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার জন্য আমার বীরত্ব ও দানশীলতা মুবারক। (তাবরানী শরীফ)
অপর বর্ণনায় এসেছে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার জন্য আমার দৃঢ়তা ও ইমামত মুবারক। আর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার জন্য আমার শক্তি ও দানশীলতা মুবারক। সুবহানাল্লাহ! (তাবরানী শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি ছয় মাস দুনিয়ার যমীনে অবস্থান করেন। এ সময়ে হাবীবী বিরহে তিনি বিভোর হয়ে সময় অতিবাহিত করেন। সর্বদা পবিত্র রওয়া শরীফ উনার নিকট অবস্থান করতেন। আর সেই সময়ে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা সম্মানিত পিতা উনার সাথে একত্রিত হয়ে উনার আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেন। যদিও তিনি দুনিয়াবী দৃষ্টিতে তখন মাত্র সাড়ে সাত বৎসরের বালক।
অপরদিকে সেই সময়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদেরকে দেখে দেখে চক্ষু মুবারক শীতল করতেন। হাবীবী বিরহ যন্ত্রণা লাঘবের প্রচেষ্টা চালাতেন। কারণ উনারা ছিলেন পুরোপুরিভাবে নকশায়ে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!
আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি উনার খিলাফতকালের প্রথম ছয় মাস সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেয়ার কারণে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন। যার কারণে খলীফা উনার প্রতি মনোনিবেশ করার ফুরসত উনারা পাননি। অতঃপর সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে এবং হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকেসহ খলীফা উনার আনুষ্ঠানিক বাইয়াত মুবারক গ্রহণ করেন এবং খিলাফত উনার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ, তাফসীর, ফিক্বাহ উনাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। যদিও উনার দুনিয়াবী বয়স মুবারক অল্প ছিলো। উনার পৃষ্ঠপোষকতা মুবারকে রঈসুল মুফাসসির হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুসহ অনেক মশহুর ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠেন। সুবহানাল্লাহ!
আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি খিলাফত উনার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দায়িত্ব পরিচালনার পাশাপাশি দরস-তাদরীসের ব্যাপক আঞ্জাম দেন। এমনকি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার প্রতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তিনি কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। বর্ণিত আছে, সেই সময়ে তিনি স্বয়ং নিজে খলীফা উনার হুজরা শরীফ উনার নিরাপত্তা প্রদানের নিমিত্তে টানা কয়েক দিন অবস্থান মুবারক গ্রহণ করেন। তাছাড়া তাবারিস্তানের অভিযানসহ এ সময়ের ঐতিহাসিক অনেক অভিযান উনার সেনাপতিত্বে সম্পাদিত হয়।
আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মুবারককালে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম গুরুত্বপূর্ণ অনেক দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া জঙ্গে জামাল, জঙ্গে সিফফীনে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার বাহিনীর ডান বাহুর তিনি সেনাপতিত্ব করেন।
আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউও]য়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি ৪০ হিজরী ১৭ রমাদ্বান শরীফ শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার পর ছুরতান উম্মতের ইজমার ভিত্তিতে হাক্বীক্বতান নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি বাইয়াত গ্রহণ করান। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “আমার পর ত্রিশ (৩০) বছর খিলাফত স্থায়ী থাকবে।” প্রথম চার খলীফা উনাদের খিলাফতকাল ত্রিশ বছর হতে ছয় মাস কম হয়। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি ছয় (৬) মাস খিলাফত মুবারক পরিচালনা করে সেই ত্রিশ (৩০) বছর পূর্ণ করেন। তিনি হচ্ছেন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পঞ্চম খলীফা।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি খিলাফত মুবারক গ্রহণ করলে মুনাফিকরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়। তিনি তাদেরকে হিকমতপূর্ণভাবে দমন করেন। পরিশেষে ফিতনা দূর করতে তিনি খিলাফত মুবারক হস্তান্তর করেন। কাতিবে ওহী হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে তিনি পরবর্তী খলীফা নিয়োগ করেন।
আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি রাজধানী মদীনা শরীফ হতে কুফায় স্থানান্তর করেছিলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি সেখানেই খিলাফত মুবারক পরিচালনা করেন। অতঃপর খিলাফত মুবারক হস্তান্তর করার পর তিনি মদীনা শরীফে প্রত্যাবর্তন করেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার জন্য মুনাফিকরা অনেকবার অপচেষ্টা চালিয়েছে। কয়েকবারই তারা উনাকে বিষ পান করিয়েছিলো। প্রতিবারই তিনি পবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে গিয়ে পবিত্র দোয়া মুনাজাত শরীফ করেছেন এবং সাথে সাথে বিষক্রিয়া নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি একদা স্বপ্ন মুবারক-এ দেখেন উনার পবিত্র কপাল মুবারক উনার মধ্যে পবিত্র সূরা ইখলাছ শরীফ লিখিত রয়েছে। তা শুনে তাবিরবিদগণ বললেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি অতি অল্প সময় যমীনে অবস্থান মুবারক করবেন। এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই মুনাফিকরা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার পানির পাত্র মুবারক-এ হিরকচূর্ণ মারাত্মক বিষ মিশিয়ে দেয়। তিনি পবিত্র তাহাজ্জুদ উনার ওয়াক্তে সে বিষমিশ্রিত পানি পান করেন এবং তখনই বিষক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। অতঃপর ৪৯ হিজরী সনের মহাসম্মানিত ২৮শে ছফর শরীফ ইয়াওমুল জুমুয়া তিনি শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র অছিয়ত মুবারক করেছিলেন যে, উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ইজাযতক্রমে উনাকে যেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ উনার মুবারক পাশেই রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এই মুবারক প্রস্তাবে কেউ যদি চু-চেরা ক্বীল-ক্বাল করে তবে যেন উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম রওযা শরীফ উনার পাশে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি মুবারক অনুমতি প্রদান করেছিলেন। কিন্তু উমাইয়া শাসক মারওয়ান এতে চু-চেরা ক্বীল-ক্বাল করে ও বাধা দেয়। ফলশ্রুতিতে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে পবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফ উনার মধ্যে উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পাশে উনার রওযা শরীফ উনার ব্যবস্থা করা হয়।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিপূর্ণ নকশা মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। বাতাসের চেয়ে দ্রুতগতিতে তিনি দান করতেন। দুই দুইবার তিনি উনার সমস্ত ধনসম্পদ দান করে দেন। ১৫বার পবিত্র হজ্জ মুবারক সম্পন্ন করেন। অভাবী ও ঋণগ্রস্তদের জন্য তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ আশ্রয়স্থল। সুবহানাল্লাহ!
-ইমাদুদ্দীন আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)