আবর্জনা যখন সম্পদ
, ০৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ মে, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত
বাংলাদেশে আবর্জনা একটি বড় সমস্যা। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষের থেকে প্রাপ্ত আবর্জনা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। সেই আবর্জনা নিয়ে যাওয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশন কর্মীদের টাকা দিতে হয়। তারপরও যত্রতত্র জমে থাকে ময়লা। যেখানে ময়লা স্তুপ করে রাখা হয়, সেটাও দুর্গন্ধময় হয়ে উঠে। দৃশ্যত মনে হয়, আবর্জনা সমস্যার যেন কোন সমাধান নেই। কিন্তু একটু সচেতন হলেই আবর্জনা কোন বোঝা না হয়ে সম্পদে রূপান্তর করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন সামান্য একটু সচেতনতা।
আপনি আপনার দৈনন্দিন আবর্জনা কিভাবে রাখছেন, তার উপর নির্ভর করে আবর্জনা কি সম্পদ হবে নাকি আবর্জনাই রয়ে যাবে। যেমন- আপনার দৈনন্দিন প্রাপ্ত আবর্জনাগুলো যদি একটু পৃথক করে রাখেন, যেমন- পচনশীল জৈব উপাদান এক স্থানে, প্লাস্টিক বা পলিথিন আরেকস্থানে, কাঁচ থাকলে আলাদা রাখলেন, ধাতব বা মেটাল আরেক স্থানে, কাগজ থাকলে আলাদা স্থানে। যখন সবগুলো জিনিস একস্থানে রাখা হয়, তখন সেটার স্বাভাবিকমূল্য থাকে না। কিন্তু যখনই প্রতিটি জিনিস আলাদা করে রাখা হয়, তখন প্রতিটি জিনিসের আলাদা মূল্য তৈরী হয় এবং প্রতিটি জিনিস আলাদা আলাদা কাজে লাগে।
বর্তমানে বাসাবাড়িতে আবর্জনা ফেলাতে এলাকাভেদে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত লাগে। কিন্তু এ ধরনের পৃথক ডাস্টবিন সিস্টেম দাঁড় করাতে পারলে ময়লা নেয়ার লোকেরাই সেই ময়লা বাসাবাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যাবে। সেই টাকা যদি আপনার বাসার কাজের মানুষ পায়, তারাই ময়লা আলাদা রেখে দিবে। ফলে আপনার ময়লা ফেলার জন্য আলাদা কোন খরচ করতে হবে না। তাছাড়া পুরো এলাকার ময়লা/আবর্জনা এলাকার জন্য কোন বোঝা হবে না, বরং সম্পদ হিসেবে রিসাইকেল হয়ে যাবে। পচনশীল আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ, গ্যাস বা জৈব সার উৎপাদন; প্লাস্টিক থেকে নতুন প্লাস্টিক পণ্য তৈরী এমন অনেক কিছুই করা সম্ভব।
শুধুমাত্র সচেতনতা তৈরীর মাধ্যমে যে কোন এলাকার আবর্জনাকে সম্পদে রূপান্তর করা সম্ভব।
-মুহিউদ্দিন রাহাত, ঢাবি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ স্টাইলের শাসকগোষ্ঠী দিয়ে উন্নয়ন নয়, লুটপাটই হবে
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুসলমানরা তাদের সন্তানদের কি শেখাচ্ছে, কি শেখানো উচিত? (২)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)