আত তাক্বউইমুশ শামসী সনের ইতিবৃত্ত ৬ ফসলী সনের মাসগুলোর নামের উৎপত্তি
, ০৬ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৪ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ২৩ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ ভাদ্র শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
‘ফসলী সন’ যখন প্রবর্তিত হয়, তখন কিন্তু ১২ মাসের নাম ছিল-: কারওয়াদিন, আরদিভিহিসু, খারদাদ, তীর, আমরারদাদ, শাহরিয়ার, মিহির, আবান, আয়ুব, দায়, বাহমান ও ইসকান্দার মিয। পরবর্তী পর্যায়ে সেগুলো বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ ইত্যাদিতে রূপান্তরিত হয়। এখানে স্পস্ট যে ফারসী নাম পরিবর্তন করে নক্ষত্র অনুযায়ী নামকরণ করা হয়। কারণ অনেক নক্ষত্রের নামে হিন্দুদের দেবতা আছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করে যে, নাক্ষত্রিক নিয়মে বাংলা সনের মাসগুলোর নাম নিম্নে বর্ণিত নক্ষত্রসমূহের নাম থেকে উদ্ভুত হয়েছে-
মাসের নাম নক্ষত্রের নাম
বৈশাখ বিশাখা
জ্যৈষ্ঠ জ্যেষ্ঠা
শ্রাবণ শ্রাবণা
ভাদ্র ভাদ্রপদা
আশ্বিন আশ্বিনী
কার্তিক কার্তিকা
অগ্রহায়ণ অগ্রহায়ণ
পৌষ পৌষা
মাঘ মঘা
ফাল্গুন ফাল্গুনী
চৈত্র চিত্রা
ফসলী সনের সপ্তাহের সাত দিনের নামও হিন্দু দেবতাদের নাম অনুসারে হয়েছে
শনিবার : শনি দেবতার নাম অনুসারে
রবিবার : রবি বা সূর্য দেবতার নাম অনুসারে
সোমবার : সোম বা শিব দেবতার নাম অনুসারে
মঙ্গলবার : ধূপ বা দ্বিপের নাম অনুসারে
বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার : গ্রহের নাম অনুসারে
গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি বা ঈসায়ী সন পরিহার করার কারণ
কাফিরদের রচিত বলে কাফিরদের মধ্যেও কিছু লোক প্রথমে গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করতে চায়নি। তাহলে মুসলমান উনাদের কি করা উচিত? উদাহরণ হিসেবে এখানে তুলে ধরা হলো-
১) অনেক দেশ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকে প্রথমে গ্রহণ করেনি। যেমন ইসরাইল, সউদী আরব, নেপাল, ইরান, ইথিওপিয়া এবং আফগানিস্তান।
২) প্রোট্যাস্টান্ট দেশগুলোও ধীরে ধীরে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকে গ্রহণ করে। বিশেষ করে প্রোট্যাস্টান্ট বা অন্যান্য মতবাদে বিশ্বাসী খ্রিস্টানরা এটাকে ক্যাথলিকদের একটা চক্রান্ত হিসেবেই আশঙ্কা করেছিল। তাদের ধারণা ছিল, ক্যাথলিকরা এই ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে অন্যান্যদেরকে ক্যাথলিক মতবাদে ফিরিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে। এ কারণেই অনেক দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন প্রবল বাঁধার মুখে পড়ে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلَا تُطِعِ الْكَافِرِيْنَ وَالْمُنَافِقِيْنَ
অর্থ : “তোমরা কাফির ও মুনাফিক তথা ইহুদী-নাছারা ও মুশরিক অর্থাৎ বিধর্মীদেরকে অনুসরণ অনুকরণ করো না।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১ ও ৪৮)
এছাড়াও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” (আবূ দাঊদ শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ)
আর সে কারণেই পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের অনুসরণের জন্যই গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি পরিহার করে শামসী সন ব্যবহার করা উচিত।
পোপ গ্রেগরী আবিস্কার করেছে বলেই কি তা মানা যাবে না? অনেক কাফিরতো অনেক কিছু আবিস্কার করেছে যা আমরা ব্যবহার করি : আসলে অনেক আবিস্কারের নেপথ্যে রয়েছে মুসলমান উনাদের অবদান। আর কাফিরদের তৈরি করা হয়েছে মুসলমানদের খিদমতের জন্য। যেখানে মুসলমানদের রচিত বিষয় থাকবে সেখানে মুসলমানদের বিষয় অনুসরণ করতে হবে। সময় এবং কাল গণনা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ। সেক্ষেত্রে মুসলমান রচিত শামসী সন অবশ্যই অনুসরণীয়।
-আল হিলাল
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত কায়িনাতবাসীর মহাসম্মানিত মুয়াল্লিমাহ্
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে জাদু করার কারণে উনার দাসীকে ক্বতল বা মৃত্যুদ-
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তা’লীম গ্রহণ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ছিফত মুবারক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪৫)
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় মহাসম্মানিত মু’জিযাহ শরীফ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৭)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সত্যের মাপকাঠি
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র “মাক্বামে মাহমূদ” উনার বেমেছাল তাফসীর বিষয়ে খারেজী জাহমিয়া ফিরকার মুখোশ উম্মোচন (৯)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি। যা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুলন্দী শান মুবারক উনারই বহিঃপ্রকাশ মুবারক (৪)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাইতুল্লাহ বা পবিত্র মসজিদ ও বাইতুর রসূল বা পবিত্র মাদরাসা সম্পর্কে ইলিম (১)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)