আত তাক্বউইমুশ শামসী সনের ইতিবৃত্ত ৪
, ২১ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
গণনা পদ্ধতি অনুসারে বর্ষপঞ্জি প্রধানত ২ ধরণের। যথা :
১. সৌর বর্ষপঞ্জি ও ২. চন্দ্র বর্ষপঞ্জি।
এ প্রসঙ্গে খ্বাালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
هُوَ الَّذِىْ جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاءً وَالْقَمَرَ نُوْرًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُوْا عَدَدَ السّنِيْنَ وَالْـحِسَابَ ۚ
অর্থ : “মহান আল্লাহ পাক যিনি সূর্যকে সৃষ্টি করেছেন উজ্জ্বল আলোকময় করে আর চাঁদকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে। অতঃপর নির্ধারণ করেছেন এর জন্য মঞ্জিলসমূহ যাতে তোমরা জানতে পারো বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব।” (পবিত্র সূরা ইঊনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
সৌর বর্ষপঞ্জি ও চন্দ্র বর্ষপঞ্জি মধ্যে পার্থক্য
সৌর বর্ষপঞ্জি চন্দ্র বর্ষপঞ্জি
১. সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর আবর্তনের সাপেক্ষে গণনা করা হয়। ১. পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের আবর্তনের সাপেক্ষে গণনা করা হয়।
২. সৌর বর্ষপঞ্জিতে মাস শুরু করার জন্য সূর্য দেখার প্রয়োজন পড়ে না। ২. চন্দ্র বর্ষপঞ্জিতে মাস শুরু করার জন্য খালি চোখে বাঁকা চাঁদ দেখার প্রয়োজন পড়ে।
৩. প্রতিটি মাসের ব্যাপ্তি পূর্ব নির্ধারিত। ৩. প্রতিটি মাসের ব্যাপ্তি পূর্ব নির্ধারিত নয়। বরং বাঁকা চাঁদ দেখা যাওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট।
৪. প্রতিটি মাসের ব্যাপ্তি পূর্ব নির্ধারিত থাকার ফলে প্রতিটি সৌর বছরের ব্যাপ্তিও পূর্ব নির্ধারিত। ৪. প্রতিটি মাসের ব্যাপ্তি চাঁদ দেখা যাওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়ার ফলে প্রতিটি চন্দ্র বছরের ব্যাপ্তি পূর্ব নির্ধারিত নয়।
৫. সৌরবর্ষ সাধারণত ৩৬৫ দিনে হয়ে থাকে। অধিবর্ষ হলে ৩৬৬ দিন হয়। ৫. চন্দ্রবর্ষ ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনে হয়ে থাকে।
৬. সৌর বছরের তুলনায় চন্দ্র বর্ষ ১০-১১ দিন কম। ৬. চন্দ্র বছরের তুলনায় সৌর বর্ষ ১০-১১ দিন বেশি।
৭. প্রতি বছর সূর্যের আবর্তনের সময়ের সাথে বর্ষপঞ্জি গণনার একটি পার্থক্য তৈরি হয়। ৭. চাঁদের আবর্তনের সাথে পূর্ণ সামঞ্জস্য রেখে চাঁদ দেখে মাস শুরু করা হয় বিধায় কোন তারতম্য হয় না।
৮. সূর্যের আবর্তনের সাথে সামঞ্জস্যতা ঠিক রাখার জন্য সৌর বর্ষপঞ্জিতে প্রতি ৪ বছর অন্তর অধিবর্ষ গণনা করা হয়। ৮. চাঁদ দেখে মাস শুরু করা হয় বিধায় কোন অধিবর্ষ গণনা করতে হয় না।
সৌর বছর :
সূর্যের বার্ষিক গতি অনুযায়ী সৌর বছর (ঝড়ষধৎ ণবধৎ) প্রতিষ্ঠিত। সূর্যের পথকে ক্রান্তিবৃত্ত (ঊপষরঢ়ঃরপ) বলা হয়। সূর্যপথের (ক্রান্তিবৃত্তের) কোন এক বিন্দু থেকে সূর্য যাত্রা করে ঐ বিন্দুতে তার প্রত্যাবর্তন কালকে এক সৌর বছর বা ক্রান্তি বছর বলা হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞান ভিত্তিক পর্যবেক্ষণলব্দ উপাত্ত থেকে পাওয়া তথ্য মতে ক্রান্তি বছর অর্থাৎ ঋতুসমূহের বছরই (ণবধৎ ড়ভ ঃযব ঝবধংড়হ) প্রকৃত বছর। সূর্যের এই আবর্তন কাল ধ্রুব নয়, অতি ধীরে হলেও এই আবর্তন কাল হ্রাস পাচ্ছে। তাই সৌর দিবসের সংখ্যা ৩৬৫.২৪২২ কে প্রমাণ সংখ্যা হিসেবে গণনা করে বর্ষপঞ্জি রচনা করা হয়। আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে এই দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৩৬৫.২৪২৫ সৌরদিবস।
চান্দ্র বছর :
চন্দ্রের বর্ষ পরিক্রমার ভিত্তিতে এই সন গণনা করা হয়। চান্দ্র মাস হচ্ছে চন্দ্রের সূর্যের দিকের অবস্থান (অমাবস্যা) থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে একই অবস্থানে প্রত্যাবর্তনের সময়। সাধারণত এই মাস ২৯.৩০৫৫ থেকে ২৯.৮১২৫ সৌরদিবসের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। চন্দ্রের গড় প্রদক্ষিণ কাল (খঁহধঃরড়হ) বা চান্দ্র মাসের গড় দৈর্ঘ্য হচ্ছে ২৯.৫৩০৫৮৮১ সৌর দিবস। চন্দ্রের হিসাবে ৩৫৪ দিন ৯ ঘন্টায় এক চান্দ্র বছর (খঁহধৎ ণবধৎ)। অর্থাৎ চান্দ্র বৎসরের দৈর্ঘ্য ৩৫৪.৩৬৭০৫৭২ সৌরদিবস।
-মুহম্মদ আল হিলাল
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)