মন্তব্য কলাম
আইএমএফের শর্তে রাজস্ব আহরণে চাপ সৃষ্টি করছে সরকারের অর্থ বিভাগ পৃথিবীর অন্যসব দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও অতীত থেকে এযাবত পর্যন্ত আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে জনগণের চরম দুর্ভোগ বৃদ্ধি এবং দেশের বড় ক্ষতি ছাড়া কোনোই লাভ হয় নি
, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
এনবিআর চেয়ারম্যানকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জারি করা অধ্যাদেশগুলোর মাধ্যমে আইএমএফকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়েছে কি না, সে বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর অনুরোধ করা হলো। আর জারি করা অধ্যাদেশগুলোর সত্যায়িত অনুলিপিও পাঠাতে বলেছে অর্থ বিভাগ। এছাড়া কিছু পণ্য ও সেবার উপর বাড়ানো ভ্যাট কমানো হয়েছে। অর্থ বিভাগ আরও জানতে চেয়েছে, এই পরিবর্তনগুলো আইএমএফের শর্ত পূরণের জন্য যথেষ্ট ছিল কি না এবং কতটুকু অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে।
আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়। এই তালিকায় ছিল মুঠোফোন সেবা, ইন্টারনেট, পোশাক, রেস্তোরাঁ বিল, মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংকস, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেট ইত্যাদির মতো নিত্যপণ্য ও সেবা। যদিও মুঠোফোন সেবা, ইন্টারনেট, পোশাক, রেস্তোরাঁসহ কয়েকটি পণ্য ও সেবার ওপর থেকে বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক কমানো হয়েছে।
আইএমএফের শর্তপূরণে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে হঠাৎ করে ৯ জানুয়ারি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে শতাধিক পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়। শতাধিক পণ্য ও সেবার শুল্ক-কর বাড়ালে ১২ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আদায় হবে, আইএমএফের এমন শর্তে রাজি হয় সরকার।
ভ্যাট বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, আইএমএফের সঙ্গে বাড়তি রাজস্ব আদায়ের দর-কষাকষি করেছে অর্থ বিভাগ। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে তেমন একটা আলোচনা হয়নি। আইএমএফের শর্ত অর্থ বিভাগ আগে মেনে নিয়ে এনবিআরকে আদায় করতে বলেছে।
আইএমএফের শর্ত পূরণে শুল্ক-কর হার বাড়ানোর উদ্যোগের ব্যাপক সমালোচনা করছেন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনের সামনে সমাবেশও করেছে একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠন। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট বাড়ানোর দুই সপ্তাহের মধ্যে গত বুধবার কিছু পণ্য ও সেবা ওপর থেকে বর্ধিত ভ্যাট কমিয়েছে এনবিআর।
বাংলাদেশের সঙ্গে বহুজাতিক ঋণদাতা সংস্থা আইএমএফের সম্পর্ক স্বাধীনতার পর থেকেই। এখন পর্যন্ত ১০ বার সংস্থাটির কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। এসব ঋণের বিপরীতে সংস্থাটির পরামর্শে বিভিন্ন সময়ে দেশের অর্থনীতি ও আর্থিক খাতে নানা সংস্কার বাস্তবায়িত হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে নেয়া ঋণের বিপরীতেও বিভিন্ন সংস্কার করেছে সরকার। তবে এতসব সংস্কারের পরও দেশের অর্থনীতি ও আর্থিক খাতে গুণগত কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং ক্ষেত্রবিশেষে পরিস্থিতি আরো শোচনীয় হয়েছে।
আইএমএফের তথ্য বলছে, প্রায় প্রতি দশকেই বাংলাদেশ সংস্থাটির কাছ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় ঋণ নিয়েছে। ১৯৮৬ সালে সংস্থাটি কাঠামোগত সমন্বয় সুবিধা (এসএএফ) নামে একটি আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি তৈরি করে। এর পরের বছরই বাংলাদেশ সেটি গ্রহণ করে। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এ কর্মসূচির অধীনে ২০ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার এসডিআর (আইএমএফের নিজস্ব মুদ্রা) নেয়া হয়। ১৯৮৭ সালে আইএমএফ বর্ধিত কাঠামোগত সমন্বয় সুবিধা (ইএসএএফ) চালু করে। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সাল মেয়াদে ইএসএএফের আওতায় ৩৩ কোটি এসডিআর গ্রহণ করে বাংলাদেশ। আইএমএফের দারিদ্র্য বিমোচন ও প্রবৃদ্ধি সুবিধা (পিআরজিএফ) কর্মসূচির অধীনে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল মেয়াদে নেয়া হয় আরো ৩১ কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার এসডিআর। বর্ধিত ঋণ সহায়তার (ইসিএফ) আওতায় ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল মেয়াদে ৬৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬০ হাজার এসডিআর নেয়া হয়েছে। কভিডের সময়ে ২০২০ সালে সংস্থাটির কাছ থেকে ৫৩ কোটি ৩৩ লাখ এসডিআর পায় বাংলাদেশ। সর্বশেষ চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ থেকে ২০২৬ সাল মেয়াদে ৪২৫ কোটি এসডিআর অর্থায়ন সুবিধা পাওয়ার কথা রয়েছে।
আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রথম ঋণ সহায়তা নেয় ১৯৭৪ সালে। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে সংস্থাটির কাছে পাঁচবার ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি ও স্বৈরশাসনের সময়ে অর্থনৈতিক অগ্রগতি না হওয়ায় সে সময় বাংলাদেশকে ঋণের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হয়েছে, যার কারণে আইএমএফের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।
দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের উত্থান ঘটে নব্বইয়ের দশকে। এর ধারাবাহিকতায় স্থানীয় উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি রফতানিতেও সাফল্য আসে। বিকশিত হতে থাকে অর্থনীতি। সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে বেশকিছু অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। পাশাপাশি ১৯৯০ সালে আইএমএফের কাছ থেকে নেয়া ঋণের বিপরীতেও সরকারের ওপর বেশকিছু সংস্কারের শর্তারোপ করা হয়। এর মধ্যে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) চালু করা, বাণিজ্য উদারীকরণের মাধ্যমে আমদানি শুল্ক হ্রাস ও দেশের ব্যাংক খাতে সংস্কারের শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। এসব সংস্কারের সঙ্গে আইএমএফের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকও সম্পৃক্ত ছিল।
আইএমএফের এসব ঋণ কর্মসূচির বিপরীতে অর্থনীতিতে বিভিন্ন ধরনের সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আশির দশকে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে বেসরকারীকরণের উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে এর মাধ্যমে কাক্সিক্ষত যে সুফল পাওয়ার কথা ছিল তা আসেনি। দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করা হলেও এখনো দেশের বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে। বিশেষ করে কভিড ও জেঁকে বসা উচ্চ মূল্যস্ফীতির অভিঘাতে দারিদ্র্য আরো বেড়েছে। দেশের ব্যাংক খাতের সংস্কারে উন্নয়ন সহযোগীদের পরামর্শে অনেক সংস্কার করা হয়েছে। যদিও এর সুফল নেই ব্যাংক খাতে। বরং দিন দিন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর দশা আরো করুণ হয়েছে। সেই সঙ্গে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর সমস্যাও আরো তীব্র হয়ে উঠেছে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ দিন দিন আরো স্ফীত হয়েছে। গোষ্ঠীতন্ত্রের স্বার্থ আদায়ের মাধ্যম হয়ে উঠেছে ব্যাংক খাত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশনে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো বা এতে কাঠামোগত পরিবর্তন আনার প্রয়াস কখনো অতীতে সফল হতে দেখা যায়নি। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের আরো অনেক দেশেই এসব কর্মসূচির সুফল আসেনি। এর কারণ হচ্ছে নিজস্ব চিন্তাভাবনার পরিবর্তে অন্যের চিন্তা অনুসারে সংস্কারের মাধ্যমে টেকসই সুফল পাওয়া সম্ভব নয়।
আইএমএফ কিংবা বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশের বাস্তবতা আমাদের চেয়ে বেশি অনুধাবন করা সম্ভব নয়। কোন সংস্কার আগে করতে হবে আর কোনটি পরে কিংবা কোন পদ্ধতিতে সংস্কার করতে হবে, সেটি আমরাই সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারব। আইএমএফ রাজস্ব আয় বাড়াতে বলেছে, সেজন্য আমরা মূসক ও শুল্ক আরোপ করেছি। কিন্তু শুধু করহার বাড়িয়ে রাজস্ব আয় বাড়ানো সম্ভব নয়। বরং এতে ফাঁকির প্রবণতা আরো বাড়বে। কর আদায়ে অক্ষমতা, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি দূর করা গেলে বর্তমানে যা আদায় হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব হতো। এটি হলো আসল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা। আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংকও মূল সমস্যা সম্পর্কে অতটা ভাবে না, তারা বলে যেভাবে পার, কর। এতে সমস্যার সমাধান অতীতে হয়নি। এখনো হচ্ছে না। ভবিষ্যতেও হবে না। তাদের দেয়া অর্থও কিন্তু পর্যাপ্ত নয়। নিজেদের সমস্যাগুলো আমরা সমাধান করতে পারলে সামান্য এ অর্থের জন্য এসব সংস্থার কাছে যেতে হতো না। ’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহুজাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ঋণ নেয়ার জন্য সরকারের দিক থেকে শর্ত পূরণের তাগাদা থাকে। এক্ষেত্রে প্রকৃত সংস্কারের চেয়ে মূলত কোনো রকমে শর্ত পূরণ দেখিয়ে ঋণ ছাড় করানোটাই মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। ঋণ নেয়ার পর আবারো পুরনো চর্চাতেই ফিরে যেতে দেখা যায়। ফলে নামকাওয়াস্তের সংস্কারে কোনো সুফল মেলে না। বহুজাতিক সংস্থার পরামর্শ অনুসারে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে লিমিটেড কোম্পানি করা হয়েছিল। কিন্তু এতে কোনো সুফল তো আসেইনি বরং উল্টো বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অবস্থা চরমে পৌঁছেছে।
আইএমএফ কিংবা বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে যেসব পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে এর অনেকগুলো তো আমাদের নিজেদেরই করার কথা। কিন্তু আমরা ঋণ পাওয়ার জন্য কোনো রকমের শর্ত বাস্তবায়ন করে পরে আবারো পুরনো জায়গায় ফিরে যাই। ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনার ভিত্তিতে সংস্কার না করে প্রেসক্রিপশন অনুসারে সংস্কার করা হলে শেষ পর্যন্ত টেকসই কোনো ফল পাওয়া যায় না এবং যাচ্ছেও না। ’
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খাবারের নামে আমরা কী খাচ্ছি? ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (চতুর্থ পর্ব)
০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নারীরা এখন প্রকাশ্যে সিগারেট থেকে সব ধরণের মাদক সেবন ও বিকি-কিনিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে। রক্ষা পেতে নারীদের জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার বিকল্প নেই
০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ: সেবা পেতে ঘুষকে স্বাভাবিক মনে করছে দেশের সিংহভাগ মানুষ। বছরে ঘুষ গ্রহণের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ঘুষই সমাজে সব অভাব থেকে অনিয়মের মূল কারণ। ঘুষ নির্মূলীকরণে পবিত্র দ্বীন ইসলামী আদর্শের প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই
২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে নাটক-সিনেমা করা ও দেখা হারাম- ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তা মানে না। ভারতীয় অপরাধমূলক টিভি সিরিজ দেখে হত্যা, ব্যাংক ডাকাতি, পরকিয়ার মতো অপরাধ আয়ত্ত্ব করছে দেশবাসী। কিন্তু নাটক-সিনেমার ভয়াবহ কুফল রাষ্ট্র অস্বীকার করতে পারছে না। ডিশ এন্টেনার প্রসারে হিন্দি সিরিয়ালের কুপ্রভাবে দেশ জাতি বিপর্যস্ত।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ উনাদের বেমেছাল ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: ভয়ঙ্কর জেদ, মহা দাম্ভিকতা, চরম সীমালঙ্ঘন, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি কুরিপুর কারণে সরকারের পতন কিন্তু কুরিপুর সংজ্ঞা, প্রতিকার, পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়ার বর্ণনা সংবিধানে তথা রাষ্ট্রীয় কোন কিতাবে নেই তাহলে রাষ্ট্রের সংস্কার হবে কীভাবে? নাগরিক সুরক্ষা হবে কেমনে?
২৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে না অনলাইন জুয়া-বেটিং-ক্যাসিনো মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইন জুয়া কাজে আসছে না বিটিআরসির কলা-কৌশল নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব, বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব (পর্ব-১)
২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাংলার বুকে নতুন ইসরাইল সৃষ্টির পাঁয়তারা। আলাদা জুম্মল্যান্ড বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র। তৈরি করছে আলাদা মানচিত্র ও নিজস্ব মুদ্রা। অবিলম্বে সবকিছু নস্যাৎ করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকেই। সে সাথে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে গোটা দেশবাসীকে (পর্ব-১)
২২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কাদিয়ানীদের মালিকানায় প্রাণ গ্রুপসহ বৃহৎ শিল্পগ্রুপগুলো দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে পথে বসানোর ষড়যন্ত্র করছে। অসম প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। সরকারের আশু পদক্ষেপ কাম্য।
২১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)