মন্তব্য কলাম
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষী বিধর্মী ও বিধর্মীদের চুক্তির কাছে মুসলমান কখনও নিরাপদ নয় (পর্ব-৬)
, ২৬শে জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০১ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
৩৭০ ধারা নিয়ে বিতর্ক
৩৭০ নং ধারা কি রদ করা যায়?
ঐতিহাসিকরা মনে করেন, এই ধারা একটা অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা। স্বায়ত্তশাষনের ধারা ধীরে ধীরে ক্রমশই ক্ষীণ হয়ে আসছে। তখন কেন্দ্রের হাতে ছিল প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, যোগাযোগ ইত্যাদি। এখন তার পরিসর অনেক ব্যাপক। আইন বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করেন, ভারতীয় সংবিধানে কাশ্মীর সংক্রান্ত ৩৭০ নং ধারা রদ করার প্রক্রিয়া সহজ নয়। সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা আছে সংসদের। রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা সংশোধন করতে পারেন। অবশ্য তা রাজ্যের গণপরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে। এছাড়া এটা কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্কের মৌলিক ভিত্তি, তাই তা সংশোধন করা যাবে না।
কাশ্মীরের বিশিষ্ট আইনবিদ তাসাদাক হোসেনের মতে, ঐ ধারা রদ করতে হলে প্রথমে সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা - উভয় সভাতেই রদ করা সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস করাতে হবে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়। তারপর সেই প্রস্তাবটিকে অনুমোদন পেতে হবে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে, যেটা কার্যত অসম্ভব। কোনো রাজ্যের কোনো রাজনৈতিক দল তা করতে চাইলে তাদের অস্তিত্বই হয়ে পড়বে বিপণœ। রাজ্যে জ্বলে উঠবে আগুন।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অঙ্গ ছিল না। ছিল হরি সিং-এর স্বাধীন রাজতন্ত্র। কিন্তু ১৯৪৭ সালের ২২শে অক্টোবর পাকিস্তানি উপজাতি হানাদার বাহিনী কাশ্মীর আক্রমণ করলে, উপয়ান্তর না দেখে হরি সিং ভারতের কাছে সেনা সাহায্য চান ‘ইনস্ট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশন’, অর্থাৎ ভারতভুক্তির শর্তে। তাতে জম্মু-কাশ্মীরকে ৩৭০ নং ধারা অনুযায়ী স্বায়ত্তশাসনের বিশেষ মর্যাদা দেবার সংস্থান রাখা হয়।
কিন্তু বর্তমান কুখ্যাত মোদী সরকারই শুধু ৩৭০ ধারা বাতিল করেনি। ভারতীয় নাগরিকের শেষ আশ্রয় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টও জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে।
২০১৯ সালের ৫ই অগাস্ট ভারতের মুসলিম প্রধান জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কেন্দ্রীয় শাসন জারি করে মোদী সরকার। ওই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের নিজেদের সংবিধান ও আলাদা পতাকার অধিকার দেয়া হয়েছিল। পূর্বতন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য পুরোপুরি মুছে ফেলে একে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীর নামে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। এরপর সেখানে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে দীর্ঘদিন লকডাউন করে রাখা হয়েছিল।
৩৭০ অনুচ্ছেদটি জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ ধরনের স্বায়ত্বশাসন ভোগ করার অধিকার দিয়েছিল, যা রাজ্যটিকে নিজস্ব সংবিধান, আলাদা পতাকা এবং আইন তৈরি করার অনুমোদন দেয়। পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বিষয়ক ব্যাপারের নিয়ন্ত্রণ থাকতো কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। ফলস্বরুপ জম্মু ও কাশ্মীর নাগরিকত্ব, সম্পদের মালিকানা এবং মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত আইন নিজেরা তৈরি করার ক্ষমতা রাখতো। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মানুষকে জম্মু ও কাশ্মীরে জমি কেনা এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা থেকেও বিরত রাখতে পারতো ঐ অনুচ্ছেদের বদৌলতে।
এই ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ যোগ হয়েছিল ভারত ও কাশ্মীরের নেতাদের দীর্ঘ আলোচনার ভিত্তিতে।
মোদি এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি দীর্ঘসময় ধরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ এর বিরোধিতা করে আসছে।
ভারতের শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন মহল থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা সমাজ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটারে) রায় দানের বিষয়ে লিখেছেন- ‘হতাশ হয়েছি, কিন্তু হার মানিনি। লড়াই জারি থাকবে। এখানে পৌঁছতে বিজেপির কয়েক দশক লেগেছে। আমরাও দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। ’
জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ‘ডেমক্রেটিক প্রগ্রেসিভ আজাদ পার্টির’ গুলাম নবী আজাদও তার ‘হতাশা’ জানিয়েছেন। তার কথায়, “ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা জম্মু-কাশ্মীরের মানুষদের কিছু বিশেষ সুবিধা দিত, যা তাদের জীবনধারণের এবং অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। ”
৩৭০ ধারা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের পর জম্মু ও কাশ্মীরের রাজা হরি সিংয়ের ছেলে এবং কংগ্রেস নেতা করণ সিং এ এনআই-কে বলে "আমি এই রায়কে স্বাগত জানাই। এখন এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে যা কিছু ঘটেছে তা সাংবিধানিকভাবে বৈধ...আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অনুরোধ করছি যেন শীঘ্রই রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার জন্য...। ''
নাগরিকত্ব, সম্পত্তির মালিকানা বা মৌলিক অধিকারের প্রশ্নেও এই রাজ্যের বাসিন্দারা বাকি দেশের তুলনায় বাড়তি কিছু সুবিধা ভোগ করে, আর ৩৭০ ধারাই তাদের সে অধিকার দিয়েছে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মোদীর সরকার সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরের যে বিশেষ মর্যাদা ছিল তা বাতিল করে। বিলুপ্ত হয় ৩৭০ এর অন্তর্গত ৩৫-এ। পূর্ণ অঙ্গরাজ্যের মর্যাদাপ্রাপ্ত জম্মু-কাশ্মীরকে ভাগ করা হয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ৫ই অগাস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেয় ভারতের সরকার।
৩৭০ অনুচ্ছেদের কারণে জম্মু ও কাশ্মীর অন্য যেকোন ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্বশাসন ভোগ করতো।
অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দিয়েছিল। এছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দেয়।
৩৭০ অনুচ্ছেদের সুবাদে কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাই শুধুমাত্র সেখানে বৈধভাবে জমি কিনতে পারতেন, সরকারি চাকরি করার সুযোগ পেতেন এবং সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। ঐ অনুচ্ছেদ বিলোপ করার বিষয়টি বিজেপি'র পুরনো রাজনৈতিক এজেন্ডাগুলোর একটি ছিল।
পূর্বতন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য পুরোপুরি মুছে ফেলে একে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীর নামে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। ওই অনুচ্ছেদ বাতিলের পরে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই সমস্ত মামলাকে একত্র করে জুলাই মাস থেকে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হয় এর ধারাবাহিক শুনানি।
গত চার বছরের বিভিন্ন সময়ে দায়ের করা এই মামলা গুলিতে সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ মেনে যে বিশেষ মর্যাদা ও সুবিধা দেওয়া হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরকে, তা রদ করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা সংসদের আছে? নাকি কেবল মাত্র ‘কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি’ বা পূর্ববর্তী রাজ্যের গণপরিষদের সুপারিশের ভিত্তিতে করা যেতে পারে?
মামলা চলাকালীন, শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, যে প্রক্রিয়ায় জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হবে।
মামলা চলাকালীন এ বছর আগস্ট মাসে, আবেদনকারী পক্ষে থেকে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলো আইনজীবী কপিল সিব্বল।
শুনানির শুরুতে তিনি বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত আদৌ সাংবিধানিক পদক্ষেপ নয়। পুরোপুরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ”
আবেদনকারী কারা?
এই মামলায় মোট ২৩টি আবেদন করা হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে মুলত রয়েছেন, সুশীল সমাজ, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্স, পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা-সাংসদ মহম্মদ আকবর লোন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মধ্যস্থতাকারী রাধা কুমার।
আবেদনকারীদের পক্ষে কপিল সিব্বল, গোপাল সুব্রহ্মণ্যমের মতো প্রবীণ আইনজীবীরা অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর বিষয়ে নেওয়া কেন্দ্র সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন।
আবেদনকারী ও সরকার দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে, গত পাঁচই সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় দান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ।
আবেদনকারীদের অভিযোগ
অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ২০১৯ সালে নেওয়া পদক্ষেপ এবং জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে ভাগ বিষয়ক পদক্ষেপকে রদ করার আবেদনই মূলত জানানো হয়েছে।
আবেদনকারীদের বক্তব্য, ভারতীর সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ একটি স্থায়ী বিধান ছিল। এর যে কোনও পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রাজ্যের গণপরিষদের অনুমতি প্রয়োজন, যা ১৯৫৬ সালে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
আবেদনকারীরা আরও বলেছেন, ৩৭০ ধারা অপসারণের বিষয়টি ইন্সট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশন-এর পরিপন্থী, যার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ হয়ে যায়। তাদের বক্তব্য, এটি জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নেওয়া একটি ‘রাজনৈতিক পদক্ষেপ’।
গণপরিষদকে বিধানসভা দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা যায় না কারণ তাদের কাজ আলাদা। শুধু তাই নয়, রাজ্যে যখন রাষ্ট্রপতি শাসন ছিল তখন এই সংশোধন করা যেতে পারে না। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উন্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহম্মাদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
এদেশে যারা পহেলা বৈশাখের নামে বাঙ্গালীয়ানার হুজ্জোতে মেতে উঠে তারাই আবার ইংরেজী থার্টি ফার্স্ট নাইটের অশ্লীলতায় মজে থাকে। পহেলা বৈশাখের বাঙ্গালীয়ানা এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটের খ্রীষ্টিয়ানা কোনটাই ৯৮ ভাগ মুসলমানের এদেশে চলতে পারে না। পশ্চিমা বিজাতীয় খ্রিষ্টানদের অপসংস্কৃতি থার্টি ফার্স্ট নাইট এদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই বিজাতীয় সংস্কৃতি সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী তথা দেশের যুবসমাজের চরিত্র বিধ্বংসী।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সুন্দরবন ধ্বংসে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে ক্রমেই ছোট হচ্ছে সুন্দরবন, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য আমাদের পরম প্রয়োজনীয় সুন্দরবন, এই সুন্দরবন বাঁচলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে যাচ্ছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাড়ছে পরকীয়া, বাড়ছে তালাক সমাজে বাড়ছে কলহ-বিবাদ, শিথিল হয়ে পড়ছে পারিবারিক বন্ধন দ্বীনী মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)