মন্তব্য কলাম
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষী বিধর্মী ও বিধর্মীদের চুক্তির কাছে মুসলমান কখনও নিরাপদ নয় (পর্ব-৫)
, ২০ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৬ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
কাশ্মীরে নির্বাচিতগণপরিষদ গঠন হওয়ার পর ১৯৫৬ সালের নভেম্বর মাসে জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধানে স্থায়ী বাসিন্দার একটা আইনসম্মত পরিভাষা তৈরি করা হয়। সেই পরিভাষাতে ১৯৫৪ সালের ১৪ মে বা তার আগে যেসব মানুষ জনেরা জম্মু-কাশ্মীরের প্রজা হিসেবে বিবেচিত ছিলেন কিংবা যারা তার আগের দশ বছরে বা তার বেশি সময় ধরে জম্মু-কাশ্মীরে অবস্থান করছে এবং আইন অনুসারে স্থাবর - সম্পত্তির অধিকারী হয়েছে, তারাই কেবল মাত্র স্থায়ী বাসিন্দার স্বীকৃতি পেয়েছিলো।
তারপরেও জম্মু-কাশ্মীরের আইন সভা স্থায়ী বাসিন্দাদের বিশেষ অধিকার এবং সুযোগ সুবিধার দিকগুলি চিহ্নিত করে একাধিক আইন অনুমোদন করেছিল। এইসব আইনের দ্বারা সরকারি চাকরি, জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটাধিকার, সরকারি কলেজে লেখাপড়ার করার সুযোগ সুবিধা, সরকারি বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ ইত্যাদি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়।
জম্মু-কাশ্মীরে স্থাবর সম্পত্তির উপর অধিকার কায়েম করার বিষয়ে অস্থায়ী বাসিন্দাদের উপরে নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপিত হয়। এই ধরনের বিধিনিষেধ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে বলবৎ আছে। এই ধরনের বিধিনিষেধ যে কেবল জম্মু-কাশ্মীরের জন্য আলাদা করে কিছু করা হয়েছে তেমনটি নয়।
জম্মু-কাশ্মীরের মানুষদের বিশেষ অধিকার নিয়ে রাজনৈতিক হিন্দু সাম্প্রদায়িকদের আপত্তির ক্ষেত্রে দুটি প্রধান বিষয় ছিল। রাষ্ট্রপতি দেশের সংবিধানকে এড়িয়ে সংবিধান সংশোধন করতে পারেন না। সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারাটি-তে প্রতিষ্ঠিত করবার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কোনো অবস্থাতেই সংবিধানের ৩৬৮ নম্বর ধারাটি উপেক্ষা করতে পারেন না ।
সংবিধানের এই ৩৬৮ নম্বর ধারাটি সংসদকে সংবিধান সংশোধনের অধিকার দিয়েছে। দ্বিতীয় বিষয় হল, জম্মু কাশ্মীরের জন্য ৩৫-এ ধারাটি বৈষম্যমূলক। সংবিধানের একটি মূল ভিত্তি দ্বারা সংবিধানের ১৪ ধারা, সেই অনুযায়ী আইনের চোখে সকলের সমতার অধিকারকে এই ৩৫-এ ধারা সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করছে।
মজার কথা হল, সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারাতে জম্মু-কাশ্মীরে ভারতবর্ষের সংবিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে এক্সেপশন এবং মডিফিকেশনের বাস্তবতার বিষয়টিকে মুক্তকণ্ঠ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে কিন্তু কোনো রকম শর্ত আরোপ করা হয়নি এবং সাংবিধানিক নির্দেশিকার ভেতর দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে যে সংশ্লিষ্ট আইনগুলি জারি করতে হবে তাও খুব পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল।
রাজনৈতিক হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তি একটিবারের জন্য বলছেন না, ভারতীয় সংবিধানের ৩৬৮ নম্বর ধারায় কাশ্মীর সংক্রান্ত বক্তব্য কিন্তু খুব পরিষ্কারভাবে রয়েছে। তাই সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫-এ ধারা, যেগুলিকে বিজেপি কার্যত গায়ের জোরে বাতিল করল, সেগুলি সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে তারা যে প্রশ্ন তোলেন, সেই প্রশ্নের পিছনে আদৌ কোনও যুক্তি নেই। বিজেপি ঘণিষ্ঠ সংগঠন 'উই দি সিটিজেন্স' এ সম্পর্কে সেই মামলাগুলি করেছিল- যেগুলো দেশের শীর্ষ আদালত, সুপ্রিম কোর্ট দু-দুবার তা খারিজ করে দিয়েছে।
১৯৬১ সালে এই বিষয়ক একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল যে, সংবিধানের ৩৭০ ধারার বিষয়ে মডিফিকেশন শব্দটিকে ব্যাপক অর্থে আমাদের উপলব্ধিতে আনতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলায় খুব পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছিল যে, সাংবিধানিক নির্দেশিকার মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরে প্রযোজ্য যে কোনো আইনে মূল পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির আছে। এ বিষয়ে দ্বিতীয় আরেকটি খুব উল্লেখযোগ্য মামলা হল ১৯৬৯ সালে সম্পত প্রকাশ বনাম জম্মু-কাশ্মীর সরকার মামলা।
এই মামলায় অত্যন্ত স্পষ্টভাবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিলো যে, ভারতের সংবিধানের ৩৬৮ ধারা সরাসরি জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে না। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী ভারতীয় সংবিধানের কোনো সংশোধিত অংশ জম্মু-কাশ্মীরে প্রয়োগ করতে গেলে তা করতে হবে ৩৭০ ধারা অনুযায়ী। সাংবিধানিক নির্দেশিকা অনুসারী কোনো অঞ্চল বা জনগোষ্ঠীকে যদি বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়, তাহলে কি মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বিনষ্ট হয়না।
কাশ্মীরিদের যে কাশ্মীরিওয়াতের স্রোত বিশ শতকের গোড়ায় কাশ্মীরি জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছিল, যার জেরে ১৯২৭ সালে 'হেরিডিটারি স্টেটসাবজেক্ট অর্ডার' তৈরি হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতকেযদি আমরা অস্বীকার করি, তাহলে কিন্তু বাস্তব থেকে আমরা দূরে সরে যাব। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ১৯০৮ সালে বিরসা মুন্ডাউলগুলানের পরে ব্রিটিশ সরকার তৈরি করেছিল ছোটনাগপুর টেনান্সি অ্যাক্ট।
এই আইন অনুযায়ী আজও পূর্ব ভারতের একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আদিবাসী জমি বিক্রি ও হস্তান্তরের উপরে কঠোর আইনি বিধিনিষেধ আছে। আদিবাসী জমিও আদিবাসীদের বিক্রি করা বা হস্তান্তর করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে, এমন কি স্বাধীনতার পরেও এই ছোট নাগপুর টেনান্সি অ্যাক্ট একটা বড় ভূমিকা পালন করে চলেছে।
কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, আজকের ঝাড়খন্ডে বিভিন্ন মাইনিং কর্পোরেশনগুলির যে জমি ক্ষুধা, সেই ক্ষুধাকে প্রতিহত করতে এই আইন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। এই আইনটি একটি ভৌগলিক অঞ্চলে অবস্থানকারী একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীর মানুষকে কিছু বিশেষ অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকারের ভিতর দিয়ে ওই মানুষদের মৌলিক অধিকারকে কিন্তু প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেই আইনের যদি বৈধতা থাকতে পারে, তাহলে কেন ভারতীয় সংবিধানের ৩৫-এ ধারা বৈধতাকে ঘিরে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এবং সেই প্রশ্নের ভিত্তিতে সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে সেই আইন কে বাতিল করা হয়েছে?
১৯৬২ সালে ভারতীয় সংসদে নাগাল্যান্ড বিষয়ক এশটি সংবিধান সংশোধনী অনুমোদিত হয়। সংবিধানের ৩৭১ এ ধারাতে নাগাল্যান্ডের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সুবিধা দেওয়া আছে। এই তালিকার ১-এ ৪ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এইধারাটি কেবলমাত্র ধর্মীয় আচার কিংবা সামাজিক প্রথাসিদ্ধ আইনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়। জমিজমা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকার বিষয়ক যাবতীয় আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ওনাগাল্যান্ড আইনসভার হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।
এমন বিশেষ রক্ষাকবচ কিন্তু ভারতবর্ষের আর অন্য কোন রাজ্যের নেই। একই কথা প্রযোজ্য মিজোরাম বিষয়ক ভারতীয় সংবিধানের ৩৭১ জি ধারা সম্পর্কেও। এছাড়াও বিশেষ আইন আসাম, মনিপুর, অন্ধ্রপ্রদেশ, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, গোয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে। এগুলি হল ৩৭১ বি, সি, ডি, এফ, এইচ এবং আই ধারা ।
ভারতের মতো বৈচিত্র্যময় একটি দেশে কেন্দ্রিভূত ক্ষমতার জোরে কেন্দ্রিয় সরকার জমি, জীবিকা, প্রাকৃতিক সম্পদ, ভাষা, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যে ধরনের কেন্দ্রিভূত ক্ষমতার মোহময় আচরণ করে তাতে ভারতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্য, যেটা চিরন্তন ভারতবর্ষের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, তা অনেক সময় সংকটের মধ্যে পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় তাই এই ধরনের বিষয় কেন্দ্র-রাজ্য ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে এশটি বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবেই কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক পুনর্বিন্যাস নিয়ে গঠিত সারকারিয়াকমিশন বিবেচনার রেখেছিল।
কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের ভেতরে আপামর ভারতবাসী সম্পর্কে ভালোবাসা, ভালো লাগার বিষয়টি ঘিরে একটা চাপানউতোর শুরু হয় ১৯৪৯ সালে। জাতীয় কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের দীর্ঘ আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধানের ৩৭০ ধারার বয়ান তৈরি হয়েছিল।
আইনের মূল অংশে উল্লেখিত ছিল 'গভর্নমেন্ট অব দ্য স্টেট' এই শব্দগুলো। এটির পরিভাষা নিয়ে জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্ব এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতৃত্বের ভিতরে মতবিরোধ শুরু হয়। সেই মতবিরোধের প্রেক্ষিতে এই 'গভর্নমেন্ট অব দ্য স্টেট' শব্দটির একটি স্পষ্ট পরিভাষা সেখানে দেওয়া হয়েছিল, যে পরিভাষাটি কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতৃত্ব ঐক্যমতের ভিত্তিতে ঠিক করেছিলো।
দেখা গেল, ভারতের গণপরিষদের যখন এটি পেশ করা হচ্ছে, তখন কাশ্মীরের নেতৃত্বের সঙ্গে কোনোরকম আলাপ-আলোচনা ছাড়াই সংশ্লিষ্ট খসড়া আইনটিতে ঐক্যমতের ভিত্তিতে ঠিক করা অংশটির মুসাবিদাতে একটা বড় রকমের পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই পরিবর্তনটি করেছিলেন আইনটির খসড়া লেখার দায়িত্বে যিনি ছিলেন সেই ব্যক্তি। তিনি হলেন সেই সময়ের বিশিষ্ট আইনজীবী স্যার এন জি আয়াঙ্গার।
ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং জাতীয় কংগ্রেসের নেতাদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে তৈরি করা বয়ানে 'অ্যাপয়েন্টেড' শব্দটি ছিল। আর গণপরিষদে পেশ করা বিলটিতে বলা হলো অন্য শব্দ- অর্ডারড।
খোলা চোখে দুটি শব্দ আপাত নিরীহ মনে হবে, কিন্তু দুই দলের নেতৃত্বে স্থির করা পরিভাষা থেকে সরে গিয়ে পরিবর্তিত পরিভাষা অনুযায়ী এর অর্থ দাঁড়িয়েছিল, ১৯৪৮ সালে কাশ্মীরে ক্ষমতাসীন শেখ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভাকে সুনির্দিষ্ট করা হয়েছিল, যার অর্থ দাঁড়ায় কাশ্মীরে গণপরিষদ তৈরির আগে শেখ আব্দুল্লাহের ওই মন্ত্রিসভায় কোন বড় রদবদল করা যাবে না।
এটিকে ওই পরিভাষাজনিত শব্দের জাদুকরী মায়ায় একটা আইনি লেবেল লাগিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে ৩৭০ ধারার একটি অস্থায়ী চরিত্র সেখানে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল। আর পরিবর্তিত পরিভাষায় ক্ষমতাসীন যে কোনো রাজ্য সরকারকেই ৩৭০ ধারা প্রয়োগের ক্ষেত্রে গভর্নমেন্ট অব দ্য স্টেট বলার খুব সুস্পষ্ট সংস্থান রাখা হয়েছিল।
এ ঘটনা শেখ আব্দুল্লাহসহ গণপরিষদের কাশ্মীরি সদস্যদের ভেতরে প্রচ- ক্ষোভ সৃষ্টি করে। ১৯৫৪ সালে যে ৩৫ এ ধারা সংক্রান্ত নির্দেশ, সেখান থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩৭০ ধারা প্রয়োগ করে ৪৭টিরও বেশি সাংবিধানিক নির্দেশ জারি করা হয়েছিল।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাপবিত্র রওজা শরীফ ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফের পবিত্র ভূমি জাজিরাতুল আরবকে অপবিত্র করে দিন দিন পরিণত করা হচ্ছে অবাধ পাপাচারের পঙ্কিলরাজ্যে নাউযুবিল্লাহ! কা’বা শরীফের আদলে তৈরি মঞ্চে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশন শো, উদ্দাম কনসার্ট, বিক্রি হয়েছে ৩৬ লাখ কোটি টাকার ভারতীয় সিনেমার টিকিট; পালিত হচ্ছে হ্যালোইনও! নাউযুবিল্লাহ!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: ভয়ঙ্কর জেদ, মহা দাম্ভিকতা, চরম সীমালঙ্ঘন, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি কুরিপুর কারণে সরকারের পতন কিন্তু কুরিপুর সংজ্ঞা, প্রতিকার, পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়ার বর্ণনা সংবিধানে তথা রাষ্ট্রীয় কোন কিতাবে নেই তাহলে রাষ্ট্রের সংস্কার হবে কীভাবে? নাগরিক সুরক্ষা হবে কেমনে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচারণার বিপরীতে রপ্তানি আসলে কতটা চাঙা হবে প্রকৃত রপ্তানি আয় আসলে কত? ১০ বছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের রাজনীতির মিথ্যাবুলি, মহা সাগর চুরি আর অর্থপাচারের নিকৃষ্ট কাহিনী
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢেকে রাখলেই প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা (নাউযুবিল্লাহ) বোরকা পড়াকে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশ পর্দার আড়ালে নারীদের বন্দী, বৈষম্য এবং পিছিয়ে পড়ার অপবাদ দিলেও বাস্তবতা হচ্ছে গোটা ইউরোপ-আমেরিকায় নারীর প্রতি বৈষম্য হয়রানি, সহিংসতা, অত্যাচার আর ব্যভিচারের মাত্রা ভয়াবহ পশ্চিমাদের বোরকা নিষিদ্ধের প্রবনতা শুধুই ইসলাম আর মুসলিম বিদ্বেষ (পর্ব-১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চলচ্চিত্র নামক জাহান্নামী সংস্কৃতির ফাঁদে মুসলিম উম্মাহ। নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সিনেমার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিস্তার ঘটছে ইসলামোফোবিয়ার। পরকালের কথা স্মরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)