অন্যসব দ্রব্যের মতো নির্মাণ সামগ্রীর সিমেন্টেও দেয়া হচ্ছে ভয়াবহ ভেজাল! নাগরিকের জান-মাল রক্ষার্থেই সরকারের উচিৎ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।
, ১২ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৯ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১২ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
বাজারে হরেক ব্র্যান্ডের হরেক রকম সিমেন্ট। প্রতিবেশী ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সিমেন্ট আমদানিও করা হচ্ছে। দাম কোনটিরই কম নয়। পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন কোম্পানির সিমেন্টের নানা লোভনীয় বিজ্ঞাপনও দেয়া হচ্ছে। প্রায় প্রত্যেকের দাবি, তাদের সিমেন্টই সেরা। শক্তিশালী ঝড়-ঝঞ্ঝা-তুফান-পানিচ্ছ্বাস এমনকি প্রবল ভূমিকম্পেও ধসে পড়বে না তাদের সিমেন্টে তৈরি কোন স্থাপনা। সিমেন্টে ফ্লাই অ্যাশ ব্যবহার নিয়ে ভেজালের অভিযোগ রয়েছে। নির্মাণ বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরা বলছে, বাজারে প্রাপ্ত প্রায় কোন সিমেন্টই শতভাগ নির্ভেজাল নয়। এসব সিমেন্টে চুনাপাথর, জিপসাম, ফ্লাই অ্যাশ, স্ল্যাগ ও আনুষঙ্গিক উপাদান বিজ্ঞানসম্মতভাবে আনুপাতিক হারে মেশানো হচ্ছে না। অধিকাংশ কোম্পানি বেশি মুনাফার আশায় সিমেন্ট উৎপাদন ও প্যাকেটজাত করতে এর হেরফের করছে। যারা বিদেশ থেকে ক্লিংকার আমদানি করে সিমেন্ট বাজারজাত করছে, ফাঁকি রয়েছে তাদের মধ্যেও। এদেশের আবহাওয়া ও পানিবায়ুর উপযোগী পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট প্রায় দুষ্প্রাপ্যই বলা চলে।
সিমেন্ট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে আরও একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য। আর তা হল, দেশীয় সিমেন্ট উৎপাদকরা কাঙ্খিত স্ট্যান্ডার্ডের তুলনায় আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড বেশি পছন্দ করে। প্যাকেটের গায়েও লিখছে সে অনুযায়ী বিভিন্ন উপাদানের পরিমাণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি চরম প্রতারণা ও জালিয়াতির শামিল। কারণ দেশে যে ২৭ ধরনের সিমেন্ট উৎপাদিত হচ্ছে, সেগুলো প্রমিত স্ট্যান্ডার্ডের পরিবর্তে আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী পরীক্ষা করলে কাক্সিক্ষত মান ও ফল পাওয়া যাবে না। বড়জোর ৪-৫টির মান সন্তোষজনক হবে। আরও উদ্বেগের বিষয়, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউটের (বিএসটিআই) কাছে দু’বছর আগের নমুনা ছাড়া বর্তমানে বাজারে সহজলভ্য কোন সিমেন্টের নমুনার ফলাফল নেই। অন্তত প্রতি মাসে একবার সংশ্লিষ্ট ফ্যাক্টরিতে গিয়ে সরেজমিন তদারকি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা থাকলেও তারা এটা করছে না। ফলে সিমেন্টে ভেজালের দৌরাত্ম্য বাড়ছেই। নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে প্রাপ্ত অধিকাংশ সিমেন্টের প্যাকেটও মানসম্মত ও বায়ু নিরোধক নয়। উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রায় প্রতিটি পর্যায়ে চলছে সিমেন্টে ভেজাল মেশানোর প্রক্রিয়া। ব্যাগে উল্লিখিত ওজনের চেয়ে কম দেয়ার অভিযোগও আছে।
উল্লেখ্য, সিমেন্ট উন্নয়ন তথা নির্মাণ শিল্পের একটি অপরিহার্য উপাদান। প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র এসব সিমেন্ট ব্যবহার করে গড়ে উঠছে আবাসিক ও বহুতল ভবন, ব্রিজ, কালভার্ট, শিল্পকারখানা ও অন্যান্য স্থাপনা। এমনিতে ঠিকাদারদের বিশেষ করে সরকারি কাজে ফাঁকি তথা ভেজাল দেয়ার প্রবণতা সুবিদিত। অতি মুনাফার প্রতি প্রায় সর্বত্রই ঝোঁক প্রবল। সেক্ষেত্রে নির্মাণ শিল্পের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান সিমেন্টেও যদি ভেজাল থাকে, তাহলে এর সমূহ ঝুঁকি ও বিপদের দিকটি সহজেই অনুমেয়। এর প্রমাণও মিলেছে একাধিকবার। রাজধানী ও অন্যত্র বহুতল ভবনের ছাদ ঢালাই ও অন্যবিধ স্থাপনা নির্মাণ শেষ না হতেই ভেঙে পড়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। যমুনা ও মেঘনা-গোমতী সেতুতে ফাটলের কথাও সবারই জানা। মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরও আছে। এরপরও চৈতন্যোদয় ঘটেনি বিএসটিআইসহ সিমেন্ট উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর। তাদের কাছে মুনাফাটাই আসল। সিমেন্ট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে যে কোন মূল্যে বন্ধ করতে হবে এই অরাজকতা ও স্বেচ্ছাচারিতা।
নচেৎ সামান্য ভূমিকম্পেই গোটা শহর, ব্রিজসহ সব অবকাঠামো কিরূপ চূর্ণ-বিচূর্ণ হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আর বর্তমানে যে ভেজাল চলছে তাতে ভূমিকম্প ছাড়াও এমনিতেই ধ্বসে যেতে পারে বহু ভবন। সঙ্গতকারণেই নাগরিকের জান-মাল হেফাজতের উদ্দেশ্যেই সরকারের উচিৎ বিষয়টি স্বচ্ছ ও সক্রিয়ভাবে মনিটরিং করা এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। সর্বোপরি পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন করার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েয, তাওয়াজ্জুহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত স্ট্যাটাস প্রবণতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত ষ্ট্যাটাস প্রবনতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (তৃতীয় পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)