মন্তব্য কলাম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচারণার বিপরীতে রপ্তানি আসলে কতটা চাঙা হবে প্রকৃত রপ্তানি আয় আসলে কত? ১০ বছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের রাজনীতির মিথ্যাবুলি, মহা সাগর চুরি আর অর্থপাচারের নিকৃষ্ট কাহিনী
, ১১ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৭ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে তিন বছর মেয়াদি রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ অনুমোদন দিয়েছে, সেখানে ২০২৬-২৭ অর্থবছরে গিয়ে বার্ষিক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার কোটি ডলার ধার্য করা হয়েছে। তার মানে তিন বছরে দেশে রপ্তানি আয় দ্বিগুণের বেশি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে, যা একটি অতি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। তাছাড়া বিগত সরকারের সময় গত মে মাসে অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি যে খসড়া রপ্তানি নীতি অনুমোদন করে গিয়েছিল, সেখানেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। আর সেটা করা হয়েছিল প্রকৃত রপ্তানি আয় কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে দেখানো পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে।
ফলে এটা ঠিক স্পষ্ট নয় যে অন্তর্বর্তী সরকার সেই অনুমোদিত খসড়া কীভাবে ও কতটা পর্যালোচনা করেছে ও কী কী সংশোধনী এনে তা অনুমোদন দিয়েছে। এখন পর্যন্ত অনুমোদিত রপ্তানি নীতিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
আর বর্তমান বাস্তবতায় এটুকু নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে যে তিন বছর পরে গিয়ে রপ্তানি আয় উল্লিখিত ১১ হাজার কোটি ডলারে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে না কোনোভাবেই। বরং প্রকৃত রপ্তানি আয় ১০ হাজার কোটি ডলারের নিচে থাকবে। সরল পাটিগণিতেই তা বোঝা যায়।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মোট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার। যদি বছর শেষে এই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে প্রকৃত আয় ছয় হাজার কোটি ডলারও হয়, তারপর দুই বছরের মাথায় ৬০ শতাংশের বেশি হারে রপ্তানি আয় করতে হবে ১০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে হলে। আর রপ্তানি নীতির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে হলে মাত্র দুই বছরে প্রবৃদ্ধি হতে হবে ৮০ শতাংশের বেশি। এর কোনোটিই বাস্তবে কোনোভাবেই সম্ভব নয়, তা সাদা চোখেই বোঝা যায়। প্রশ্ন হলো, এ সহজ অঙ্কটি কি একবারও কষে দেখা হয়নি এ রকম একটি অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলনের বা নির্ধারণের ক্ষেত্রে?
দেশের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এ প্রতিষ্ঠানের তথ্যকে উৎস হিসেবে দেখিয়ে রপ্তানি আয়ের তথ্য বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশ করে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সবশেষ গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১০ মাসে ইপিবি’র তথ্য অনুযায়ী রপ্তানি হয় ৪৭ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে এ সময়ে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি ও আয়ে ব্যবধান ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার।
হিসাবের এমন ব্যবধান নিয়ে ইপিবির দেওয়া রপ্তানি তথ্যে এর আগেও ২০০৮-০৯ অর্থবছর আপত্তি জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন এক নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি কমিটিও করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
সেই কমিটির সুপারিশ ছিল, প্রকৃত রপ্তানির তথ্য হিসাব করে রপ্তানি আয় নির্ধারণ করার। কিন্তু পরে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সেই থেকে ধীরে ধীরে রপ্তানি ও আয়ের ব্যবধান বেড়েছে। পণ্য রপ্তানির পর আয় দেশে আনতে ১৮০ দিন সময় পান উদ্যোক্তারা। তাতে কিছু অর্থ বিদেশে থাকার তথ্য থাকে হিসাব-নিকাশে। এর পরিমাণ সাধারণত ৪-৫ বিলিয়ন ডলার হয়।
তবে গত কয়েক বছর থেকে ব্যবধান বড় হলে রপ্তানির পরিমাণ এবং রপ্তানিকারকদের দেশে অর্থ না আসার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা। রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার নিয়ে যেমন আলোচনা সমালোচনা হয় তেমনি বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার তাগাদা দিলেও ডলার সংকটের সময় উদ্যোক্তারা কেন রপ্তানি আয় দেশে আনছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বারবার।
গত ১০ অর্থবছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে প্রায় ৬৫ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। টাকার অঙ্কে যা ৭ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা বা চলতি অর্থবছরের বাজেটের প্রায় সমান। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রপ্তানি বাড়িয়ে দেখানোর বিষয়টি খোদ রপ্তানি খাতের ব্যবসায়ীরা বেশ আগে থেকে বলে আসছেন। ইপিবির তথ্যের সঠিকতা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ইপিবির তথ্যে বড় পার্থক্য নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট হয়েছে। অদৃশ্য কারণে সরকার এতদিন বিষয়টি আমলে নেয়নি; বরং ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি আইএমএফ প্রকৃত রপ্তানির সঙ্গে এনবিআরের তথ্যে এত পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এর পর বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও ইপিবি কয়েক দফা বৈঠক করে পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কিছু রপ্তানির তথ্য যাচাই করে। সেখানে একই রপ্তানি একাধিকবার দেখানো, রপ্তানি নয় এমন তথ্য দেওয়াসহ বিভিন্ন অসংগতি উঠে আসে। প্রকৃত রপ্তানির সঙ্গে এত বেশি পার্থক্য বের হওয়ার পর সরকারি তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে বিতর্ক নতুন নয়। এমনকি আইয়ুব খানের তথাকথিত ‘উন্নয়ন দশকের’ সময়েও জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ ছিল। দেশেও অনেকবারই জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেখানোর প্রবণতা দেখা গেছে। তবে গত এক দশকে এই বিতর্ক বেশি দেখা গেছে। যেমন কৃষি খাত ঋণাত্মক ও প্রবাসী আয় কমে গেলে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। আবার পরের অর্থবছরে প্রবাসী আয় কমেছিল প্রায় সাড়ে ১৪ শতাংশ, রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১ শতাংশের কিছু বেশি, তারপরও প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। এর পরের অর্থবছরে আবারও প্রবৃদ্ধি বাড়লে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘উৎপাদন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান খুব বেশি না বাড়লেও কেবল ভোগ ব্যয়ের ওপর ভর করে বড় প্রবৃদ্ধি অর্জনের হিসাব বিশ্বাসযোগ্য হবে না। ’
বেতন কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নের কারণেও একবার প্রবৃদ্ধির হার বাড়ানো হয়েছিল। তবে প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে বড় বিতর্কটি হয়েছিল তথাকথিত করোনা মহামারির প্রথম বছরে। ২০২০ সালে পাঁচ মাস অর্থনৈতিক কর্মকা- একপ্রকার বন্ধই ছিল। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের প্রবৃদ্ধি ছিল সামান্য বা ঋণাত্মক। কিন্তু বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি দেখানো হয় ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। এমনকি তখন বেসরকারি বিনিয়োগও বাড়িয়ে দেখানো হয়।
অর্থনীতিবিদ ও গবেষকেরা সে সময় সরকারের পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছিলেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিল, ‘প্রবৃদ্ধি হারের তথ্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রবৃদ্ধি এখন একটি রাজনৈতিক সংখ্যায় পরিণত হয়েছে। ’ একই অভিযোগ ছিল অন্যদেরও।
পরিসংখ্যান নিয়ে সবশেষ ঘটনা ঘটিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বা ইপিবি। তাদের দেওয়া তথ্য ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক লেনদেনে ভারসাম্যের হিসাব তৈরি করেছে, পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএস তৈরি করেছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও মোট জাতীয় আয়ের (জিএনআই) হিসাব। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ইপিবি গত ৯ বছরই রপ্তানির হিসাব বেশি দেখিয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ৬ বছর কম কম বাড়িয়ে দেখালেও শেষ তিন অর্থবছরে কল্পনার লাগাম ছেড়ে দেওয়া হয়। এই তিন অর্থবছরে রপ্তানি আয় বেশি দেখানো হয়েছে প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মাথাব্যথার বড় কারণ ছিল আর্থিক হিসাবের ঘাটতি, যা গত ১০ বছরে হয়নি। এই ঘাটতি ঠিক করতে গিয়েই ধরা পড়েছে ইপিবির কারসাজি, যাকে এখন সবাই বলছে ভুল। গবেষকেরা অন্তত এটিকে ভুল বলতে নারাজ। বরং তারা মনে করেন, এ ঘটনা তথ্য-উপাত্তের ধারাবাহিক কারসাজিরই প্রতিফলন। যদিও কেবল ‘ভুল’ হয়েছে বলে সবাই এখন ঘটনাটি ভুলে গিয়ে সামনে এগোতে চাইছেন। অথচ এটি হচ্ছে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান জগতের কেলেঙ্কারির অন্যতম ঘটনা। এটাকে ‘রপ্তানি আয় স্ক্যান্ডাল’ও বলা যায়।
টাকাকে কৃত্রিমভাবে অতিমূল্যায়িত রাখার দীর্ঘ ইতিহাস আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। বাজারে টাকার প্রকৃত যে মূল্যমান, দেখানো হয় তার চেয়ে বেশি। টাকাকে শক্তিশালী দেখানোর খেসারত এখনো দিতে হচ্ছে অর্থনীতিকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ এখন ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। অথচ ২০১৯ সালেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সরকারকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিয়ে বলেছিল, বাংলাদেশ খেলাপি ঋণ আড়াল করে রাখে।
গবেষকেরা বলছেন, প্রকৃত খেলাপি হবে সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার বেশি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় মূল্যস্ফীতি নিয়ে। বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সরকারের হিসাব মেলে না। বাজারে গেলে সাধারণ মানুষেরা টের পান প্রকৃত মূল্যস্ফীতি আসলে কত। পরিসংখ্যানের মারপ্যাঁচে মানুষের মাথাপিছু আয় রাতারাতি বেড়ে যায়, একই সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ে তার চেয়ে বেশি। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যেই তথ্য-উপাত্তের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেক আগে থেকেই।
পরিসংখ্যান ঠিক না থাকলে সঠিক নীতি নেওয়াও সম্ভব হয় না। যেমন ইপিবির তথাকথিত ‘ভুল’ তথ্যের কারণে লেনদেনের ভারসাম্যে আর্থিক হিসাবে রেকর্ড পরিমাণ ঘাটতি ছিল। এই ঘাটতির ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করতে সময় নিয়েছে। কারণ, এত বড় ঘাটতি নিয়ে বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে ডলারের দাম সীমা ছাড়িয়ে যাবে-এমন কথা বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ব্যাংকারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিজেই বলেছেন। এমনকি তিনি ব্যাংকারদের প্রবাসী আয়ের ওপর অতি গুরুত্ব না দিয়ে অপ্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয় আনার ওপর জোর দিতে বলেছিলেন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, নানা সময়ে নেওয়া ভুল নীতির ফলাফল এখনো ভোগ করছে দেশের মানুষ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ: সেবা পেতে ঘুষকে স্বাভাবিক মনে করছে দেশের সিংহভাগ মানুষ। বছরে ঘুষ গ্রহণের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ঘুষই সমাজে সব অভাব থেকে অনিয়মের মূল কারণ। ঘুষ নির্মূলীকরণে পবিত্র দ্বীন ইসলামী আদর্শের প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই
২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে নাটক-সিনেমা করা ও দেখা হারাম- ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তা মানে না। ভারতীয় অপরাধমূলক টিভি সিরিজ দেখে হত্যা, ব্যাংক ডাকাতি, পরকিয়ার মতো অপরাধ আয়ত্ত্ব করছে দেশবাসী। কিন্তু নাটক-সিনেমার ভয়াবহ কুফল রাষ্ট্র অস্বীকার করতে পারছে না। ডিশ এন্টেনার প্রসারে হিন্দি সিরিয়ালের কুপ্রভাবে দেশ জাতি বিপর্যস্ত।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ উনাদের বেমেছাল ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আইএমএফের শর্তে রাজস্ব আহরণে চাপ সৃষ্টি করছে সরকারের অর্থ বিভাগ পৃথিবীর অন্যসব দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও অতীত থেকে এযাবত পর্যন্ত আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে জনগণের চরম দুর্ভোগ বৃদ্ধি এবং দেশের বড় ক্ষতি ছাড়া কোনোই লাভ হয় নি
২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: ভয়ঙ্কর জেদ, মহা দাম্ভিকতা, চরম সীমালঙ্ঘন, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি কুরিপুর কারণে সরকারের পতন কিন্তু কুরিপুর সংজ্ঞা, প্রতিকার, পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়ার বর্ণনা সংবিধানে তথা রাষ্ট্রীয় কোন কিতাবে নেই তাহলে রাষ্ট্রের সংস্কার হবে কীভাবে? নাগরিক সুরক্ষা হবে কেমনে?
২৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে না অনলাইন জুয়া-বেটিং-ক্যাসিনো মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইন জুয়া কাজে আসছে না বিটিআরসির কলা-কৌশল নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব, বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব (পর্ব-১)
২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাংলার বুকে নতুন ইসরাইল সৃষ্টির পাঁয়তারা। আলাদা জুম্মল্যান্ড বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র। তৈরি করছে আলাদা মানচিত্র ও নিজস্ব মুদ্রা। অবিলম্বে সবকিছু নস্যাৎ করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকেই। সে সাথে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে গোটা দেশবাসীকে (পর্ব-১)
২২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কাদিয়ানীদের মালিকানায় প্রাণ গ্রুপসহ বৃহৎ শিল্পগ্রুপগুলো দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে পথে বসানোর ষড়যন্ত্র করছে। অসম প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। সরকারের আশু পদক্ষেপ কাম্য।
২১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
২০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্যসব কিছুর চেয়ে গ্রন্থাগারের বিস্তার ও মান উন্নয়নে স্মার্টলি কাজ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)