অটো রিক্সা বন্ধ নিয়ে কিছু কথা!
, ২১ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আপনাদের মতামত
একটা সময় মানুষ চলাচল করার জন্য ঘোড়া, উট ইত্যাদি বাহন হিসেবে ব্যবহার করতো। ভারী জিনিস টানার জন্য গাধা, উট, গরুর গাড়ী, মহিষের গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি ইত্যাদি ছিলো মানুষের নিত্যদিনের সাথী।
সময়ের আবর্তে এসব কিছু কিন্তু বাদ পড়ে গেছে । নতুন তৈরী হয়েছে গাড়ী, রেল, বিমান ইত্যাদি।
মটর সাইকেলের পূর্বে আবিস্কার হয়েছে বাই সাইকেল। কিন্তু মানুষ সেটা পরিবর্তন করে এখন মটর সাইকেল আবিস্কার করেছে।
এভাবেই সবকিছু পরিবর্তন হচ্ছে সময় উপযোগী হচ্ছে।
এসবের পিছনে কিছু কিছু কারণও রয়েছে। মানুষের সময় বাঁচানো, দূরের পথ কম সময়ে পাড়ি দেয়া। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে মানুষ দিন দিন দুর্বল হতে চলেছে। যার কারণে একটা কাজ যতো সহজে করা যায় সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছে দিন দিন।
যদি মানবতার কথা চিন্তা করা হয়। একজন ষাটোর্ধ মানুষ যদি তার ছেলের বয়সী ২/৩ জন যাত্রী নিয়ে প্যাডেল চেপে রিকশা চালায়। তাহলে এটা কি মানবিকতা নাকি অমানবিকতা? আমার দৃষ্টিতে এটা অবশই অমানবিকতা। তাহলে এই বৃদ্ধ লোকটা যদি একটা অটো রিক্সা চালিয়ে রুজি রোজগার করে এবং অন্যরা যদি স্বল্প শক্তি খরচে রুজী রোজগার করে তাহলে সমস্যা কোথায়? আসলে কোনো সমস্যাই নেই।
সমস্যা হলো চোর-বাটপারদের ভাগা-ভাগিতে। এখন বলবেন কিভাবে?
আসলে কোনো কিছু বন্ধ করে দেয়াই তার সমাধান নয়। আমাদের দেশের কর্তা ব্যক্তিদের একটা বড় সমস্যা হলো এরা কোনো পরিকল্পনা করে কাজ করেনা।
একটা বিষয় লক্ষ্য করেছেন কিনা জানিনা। এই দেখেন আমাদের দেশে কয়দিন পরপরই পলিথিন বন্ধ করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। বাস্তবতা হলো আজও কি পলিথিন বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে? না হয় নাই। আসলে সম্ভব হবেও না। কারণ এটা এখন মানুষের নিত্য দিনের প্রয়োজনে রূপ নিয়েছে।
তাহলে কেন বন্ধ করার ডাক দেয়া হয়। আসলে এই ডাক দেয়ার মাধ্যমে সিন্ডিকেটের হাত বদল হয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু লোক এর মাধ্যমে কিছু অবৈধ টাকা রোজগার করে। তারা আইনের দোহাই দিয়ে এই পলিথিন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বড় অংকের চাঁদা আদায় করে। বাস্তবতায় তারাও জানে এটা বন্ধ করা সম্ভব না। এটা হলো বাস্তব চিত্র।
ঠিক একইভাবে অটো রিক্সাতো আজকে নতুন তৈরী হয়নি। এটা তৈরী হতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। এর সাথে এখন অসংখ্য লোকের রুজীর বিষয়টা জড়িত। শুরুতে কেন এটা বন্ধ করা হলো না? এতো পার্টস আসলো কিভাবে? সবই কিন্তু দেশের কর্তা গোষ্ঠীর গোচরেই এসেছে। তাহলে এখন কেন বন্ধ করতে হবে? ঐ যে বললাম; চোর-বাটপারদের পকেট ভর্তি করার জন্য। এমন অনেক বিষয় রয়েছে।
আসলে এসব চোর-বাটপারদের দিয়ে কখনো দেশের মানুষ প্রকৃত অধিকার লাভ করতে পারবে না। প্রকৃত অধিকার লাভ করার একমাত্র উপায় হচ্ছে- হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুকরণে শাসন ব্যবস্থা। যার নাম হচ্ছে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ। তাই আসুন আমরা খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ উনার জন্য আওয়াজ তুলি ও কোশেশ করি।
-মুহম্মদ ইমামুল হুদা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)