হযরত মুফাসসির রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন যে, নারী পুরুষের শরীরেরই অংশ। কেননা তাদেরকে পুরুষের শরীরের অংশ থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর উক্ত কারণে নারীদেরকে তাদের থেকে নিম্ন পর্যায়ের মনে করা সঠিক হবে না। তবে উনারা সেক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহকে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً
অর্থ: হে মানবসকল! তোমাদের পরওয়ারদিগারকে ভয় কর। যিনি তোমাদেরকে একক সত্তা থেকে সৃষ্টি বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَت الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ رَحْمَة اللهِ عَلَيْهِ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَعَنَ اللَّهُ النَّاظِرَ وَالْمَنْظُورَ إِلَيْهِ-
অর্থ: হযরত হাসান বসরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমার নিকট উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে পৌছেছে। নিশ্চয়ই তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের প্রতি লা’নত বর্ষন করুন যে দৃষ্টি দেয় এবং যার প্রতি দৃষ্টি দেয়া হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ শরহু মিশকাতিল মাছাবীহ-৫/২০৫৯, কানযুল উম্মাল, শুয়াবুল ঈমান-৬/১ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ السَّادِسَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرُ مَسَاجِدِ النِّسَاءِ قَعْرُ بُيُوْتِهِنَّ. (سنن الكبرى. احمد. موطا مالك(
অর্থ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহিলাদের জন্য উত্তম মসজিদ হলো তার ঘরের গোপন প্রকোষ্ঠ। ” (সুনানুল কুবরা, মুসনাদে আহমদ, মুয়াত্তা ইমাম মালেক)
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ السَّادِسَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرُ مَسَاجِدِ النِّسَاءِ قَعْرُ بُيُوْتِهِنَّ. (سنن الكبرى. احمد. موطا مالك(
অর্থ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহিলাদের জন্য উত্তম মসজিদ হলো তার ঘরের গোপন প্রকোষ্ঠ। ” (সুনানুল কুবরা, মুসনাদে আহমদ, মুয়াত্তা ইমাম মালেক)
বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব:
হ্যাঁ, পবিত্র হাদীছ শরীফে তো আছে, এক জাররা পরিমাণ ঈমান থাকলে জান্নাতী হবে। জাররা হচ্ছে শেষ বিন্দু। যার পরে টুকরা করা যায় না সেটাকে জাররা বলা হয়। এক কথায় সহজে বুঝার জন্য যেটার পরে আর টুকরা করা যায় না সেটা হচ্ছে জাররা। এখানে আসলে জাররা অর্থ টুকরা না অর্থাৎ যার ঈমান আছে সেটা। সোজা কথায়, ঈমানের তো আর ভাগ করা যায় না। ঈমানকে তো আর টুকরা টুকরা করা যায় না। এক জাররা ঈমান বলতে যার শুধু ঈমান আছে। আমল আখলাক বলতে কিছুই নাই। যার আমল আখলাক কিছুই নাই, যার ঈমানটা আছে এই লোকটা একদিন বেহেশ্তে যাবে। কারণ সে শাস্তি ভোগ করার পরে বেহেশ্তে যাবে। বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব:
শুনতে পারে, বুঝতে পারে। এটাতো বদরের জিহাদের ওয়াক্বেয়া রয়েছে। ঐ কাফিরগুলিকে আবূ জেহেলসহ কূপের মধ্যে ফেলা হয়েছিল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে তিনদিন ছিলেন। তিনি শেষদিন লাশগুলিকে বললেন, হে কাফির অমুক অমুক অমুক নাম ধরে, আমি যা বলেছি তোমরা কি সত্য হিসেবে পেয়েছো? এটা শুনে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, ইয়া রসূলল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এরাতো মরে গেছে, পঁচে গেছে। এরা কি এসব শুনতে পারতেছে? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তিন প্রকার লোক জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের দিকে ক্বিয়ামতের দিন (রহমতের) দৃষ্টি দিবেন না। (১) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, (২) পুরুষের ছূরত ধারণকারী মহিলা, (৩) দাইয়ূছ।
দাইয়ূছ বলা হয়, যে নিজে পর্দা করে না এবং তার অধীনস্থ পরিবার-পরিজনদেরকে পর্দায় রাখে না।
বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
পবিত্র মুহররম মাসের নির্দিষ্ট কোনো আমল আছে কি? থাকলে দলীলসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।
জাওয়াব:
পবিত্র মুহররম মাসের উল্লেখযোগ্য ও শ্রেষ্ঠতম দিন হচ্ছে ১০ই মুহররম ‘আশূরা’র দিনটি। এ দিনটি বিশ্বব্যাপী এক আলোচিত দিন। সৃষ্টির সূচনা হয় এ দিনে এবং সৃষ্টির সমাপ্তিও ঘটবে এ দিনে। বিশেষ বিশেষ সৃষ্টি এ দিনেই করা হয় এবং বিশেষ বিশেষ ঘটনাও এ দিনেই সংঘটিত হয়।
বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুরু করে সাইয়্যিদুনা আবুল বাশার হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত প্রায় সক বাকি অংশ পড়ুন...
স্মর্তব্য যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলামই হলেন সম্মান-মর্যাদার প্রাণকেন্দ্র।
আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
نَحْنُ قَوْمٌ اَعَزَّنَا اللهُ بِالْاِسْلَامِ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সম্মানিত ইসলাম দ্বারা মর্যাদাবান করেছেন। কাজেই, কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃত নিজের ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মান বিলিয়ে দেয় তাহলে সে যেন নিজেই নিজেকে লাঞ্ছিত করলো।
পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ৯৭নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে-
إِنَّ الَّذِينَ تَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ ظَالِمِي أَنْفُسِهِمْ قَالُوا فِيمَ كُنْتُمْ قَالُوا বাকি অংশ পড়ুন...












