(গত ০৯ শাওওয়াল শরীফের পর)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন,
‘হে আবূ যর, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একটি পবিত্র আয়াত শরীফ শিক্ষা করা আপনার জন্য একশত রাকায়াত নফল নামায পড়ার চেয়েও উত্তম। ইলিমের একটি অধ্যায় শিক্ষা করা আপনার জন্য এক হাজার রাকায়াত নফল নামায পড়ার চেয়েও উত্তম। চাই এর উপর আমল করা হোক বা না হোক। (সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ নং ২১৯)
ইলিম অর্জনের উদ্দেশ্য হলো, মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, বাকি অংশ পড়ুন...
তালক্বীন সম্পর্কে কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয়েছে-
وكيفيته أن يقال يا فلان ابن فلان أذكر دينك الذي كنت عليه في دار الدنيا بشهادة أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: তালক্বীন করার নিয়ম হলো- কোনো একজন, মৃত ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলবে-
“হে অমুকের সন্তান অমুক” (তুমি এই সময় স্বরণ করো/বলো) দুনিয়ায় থাকাকালীন অবস্থায় তুমি যার উপর কায়িম ছিলে অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই, আর অবশ্যই আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। বাকি অংশ পড়ুন...
পারিবারিক জীবন শান্তিময় করার জন্য আহাল-আহলিয়া উভয়ের ভূমিকা অপরিসীম। আর শান্তিময় জীবন-যাপন করা তখনই সম্ভব যখন পবিত্র কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী জীবন পরিচালিত হবে। একজন আহাল তার সম্মান রক্ষা করতে পারে তার আহলিয়ার দ্বারা এবং একজন আহলিয়াও তার সম্মান রক্ষা করতে পারে তার আহালের দ্বারা। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে উভয়কে একে অপরের পরিপূরক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنْتُمْ لِبَاسٌ لَّن
অর্থ মুবারক: “তোমরা (পুরুষরা) তাদের (মহিলাদের) আব বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ উনার ২৪ ও ২৫নং আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ ضَرَبَ اللَّـهُ مَثَلًا كَلِمَةً طَيِّبَةً كَشَجَرَةٍ طَيِّبَةٍ أَصْلُهَا ثَابِتٌ وَفَرْعُهَا فِي السَّمَاءِ ﴿٢٤﴾
تُؤْتِي أُكُلَهَا كُلَّ حِينٍ بِإِذْنِ رَبِّهَا ۗ وَيَضْرِبُ اللَّـهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ ﴿٢٥﴾
অর্থ মুবারক: “আপনি কি লক্ষ্য করেননি, কিভাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি উত্তম কথার মেছাল পেশ করেছেন? অর্থাৎ আপনি লক্ষ্য করেছেন, কিভাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি উত্তম কথার মেছাল পেশ করেছেন। (উত্তম কথা) উত্তম গাছের মতো। যার শিকড় খুবই মজবুত এবং যার শাখা-প্রশ বাকি অংশ পড়ুন...
বিবাহের দ্বারা রিযিক বৃদ্ধি পায়
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি-রেযামন্দী মুবারক হাছিল অর্থাৎ নিজের চরিত্রকে পূত-পবিত্র রাখার নিমিত্তে যারা বিবাহ করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের রিযিক বৃদ্ধি করে দেন। সুবহানাল্লাহ!
হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন-
جَاءَ رَجُلٌ اِلَـى النَّبِـيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشْكُوْ اِلَيْهِ الْفَاقَةَ فَأَمَرَه اَنْ يَّتَزَوَّجَ
অর্থ: একদা এক ব্যক্তি মহাসম্মানিত হাবীব ও বাকি অংশ পড়ুন...
মহাপবিত্র কুরআন শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন ‘আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি ‘মুমিন নারীদেরকে বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। (পবিত্র সূরা আন-নূর শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
অন্য মহাপবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “তোমরা (মহিলারা) নিজ গৃহে অবস্থান কর, আইয়্যামে জাহেলিয়াতের ন্যায় সৌন্দর্য্য প্রদর্শন ক বাকি অংশ পড়ুন...
মানুষ যে হাঁচি দেয় হাঁচির মধ্যে অনেক রোগ-জীবাণু বেরিয়ে যায়। এজন্য একটা রুমাল বা কাপড়ের মধ্যে হাঁচি দেয়া উচিত। আর শুকরিয়া স্বরূপ আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন বলা উচিত।
চিশতীয়া খান্দানের বিশিষ্ট বুযূর্গ হযরত খাজা উছমান হারুনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আনিসুল আরওয়াহ নামক কিতাবে সপ্তদশ মজলিসে মু’মিন বান্দার হাঁচি সম্পর্কে বলেন, “যখন কোন মু’মিন বান্দা হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলেন তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি তার সমস্ত গুনাহখতা মাফ করে দেন এবং ঐ বান্দার জন্য জান্নাতে একটা প্রাসাদ তৈরী করেন, যার মধ্যে একটা গাছ থাকবে এবং সে গাছের বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ كَانَ مَعِىَ فِى الْجَنَّةِ .
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি আমার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করবেন, তিনি আমার সাথে সম্মানিত জান্নাত মুবারকে অবস্থান মুবারক করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে যে, পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী ব্যক্তি কতো বেমেছাল ফযীলতের অধিকারী হবেন। যেটা তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্ বাকি অংশ পড়ুন...
(গত ১৪ই রমাদ্বান শরীফের পর)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইলিম-তা’লীমের মজলিসে মহিলারাও বিশেষ উৎসাহ এবং উদ্দীপনার সাথে অংশগ্রহণ করতেন। পর্দা ফরয হওয়ার পরও উনারা পর্দার সাথে ইলিম-তা’লীম মুবারক গ্রহণ করতেন। এ সম্পর্কে সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাওলা বিনতে কায়েস আল্-জুহানিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুউচ্চ বুলন্দ আওয়াজ মুবারক উনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “জুমুয়ার দিনে আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পা বাকি অংশ পড়ুন...












