নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ:
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (১৫)
, ০৯ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি লিখেছেন তার একটি চমৎকার দলীল।
হযরত ইমাম শাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন-
عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكْتُبُ كَمَا تَكْتُبُ قُرَيْشُ: بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ حَتَّى نَزَلَتْ عَلَيْهِ: {ارْكَبُوْا فِيْهَا بِسْمِ اللَّهِ تَجْرِهَا وَمُرْسَهَا} فَكَتَبَ: بِسْمِ اللهِ حَتَّى نَزَلَتْ عَلَيْهِ: {قُلِ ادْعُوا اللَّهَ أَوِ ادْعُوا الرَّحْمَنَ} فَكَتَبَ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ حَتَّى نَزَلَتْ عَلَيْهِ: {إِنَّهُ مِنْ سُلَيْمَانَ وَإِنَّهُ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَكَتَبَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ.
‘হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরাইশদের মতো ‘বিসমিকা আল্লাহুম্মা’ লিখতেন। অতঃপর যখন ارْكَبُوْا فِيْهَا بِسْمِ اللَّهِ تَجْرِهَا وَمُرْسَهَا অবতীর্ণ হলো, তখন তিনি শুধু ‘বিসমিল্লাহ’ লিখতেন। অতঃপর যখন পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াত قُلِ ادْعُوا اللَّهَ أَوِ ادْعُوا الرَّحْمَنَ নাজিল হলো, তখন তিনি ‘বিসমিল্লাহির রহমান’ লিখতেন। অতঃপর যখন পবিত্র কুরআন শরীফের إِنَّهُ مِنْ سُلَيْمانَ وَإِنَّهُ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ নাজিল হলো তখন তিনি লিখলেন- بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম। ’ (তাবাকাত ইবনে সা’দ ১/২০২, মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৩৫৮৯০নং হাদীছ)
হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে আরেকটু বিস্তারিত বর্ণনা এসেছে এভাবে-
عن الشعبي قال كتب النبي صلى الله عليه وسلم أربعة كتب كان يكتب باسمك اللهم فلما نزلت بسم الله مجريها ومرساها كتب بسم الله فلما نزلت قل ادعوا الله أو ادعوا الرحمن كتب بسم الله الرحمن فلما نزلت إنه من سليمان وإنه بسم الله الرحمن الرحيم كتب بسم الله الرحمن الرحيم قال عاصم قلت للشعبي أنا رأيت كتاب النبي صلى الله عليه وسلم فيه بسم الله الرحمن الرحيم فقال ذاك الكتاب الثالث
‘হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৪ খানা চিঠি লিখেছেন। যখন তিনি ‘বিসমিকা আল্লাহুম্মা’ লিখেন তখন بسم الله مجريها ومرساها নাযিল হয়। যখন ‘বিসমিল্লাহ’ লিখলেন তখন قل ادعوا الله أو ادعوا الرحمن নাজিল হলো। যখন ‘বিসমিল্লাহির রহমান’ লিখলেন তখন إنه من سليمان وإنه بسم الله الرحمن الرحيم নাজিল হলো। তখন তিনি ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ লিখলেন।
হযরত ইমাম আছেম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে বললাম, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চিঠির মধ্যে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ দেখতে পেয়েছি। তখন তিনি বলেন, ‘এটি তৃতীয় চিঠি ছিলো’।
(মায়ানিল কুরআন লিন’নাহহাস; লেখক: আবু জাফর নাহহাস আহমদ ইবনে মুহম্মদ ৫/১২৯, ওফাত: ৩৩৮ হিজরী, তাফসীরে মাওয়ারিদী ৪/২০৬; লেখক: আবুল হাসান আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে হাবীব আল বাছরী আল বাগদাদী [ওফাত: ৪৫০])
বাতিল ফিরকার লোকেরা অভ্যাস অনুযায়ী বলতে পারে মায়ানিল কুরআনের লিখক হযরত আবু জাফর নাহহাস রহমতুল্লাহি আলাইহি তো কোন সনদসহ এটা বর্ণনা করেননি। তিনি কি একলাফে ইমাম আছেম রহমতুল্লাহি আলাইহিকে পেয়ে গেলেন? এর কি কোন সনদ আছে?
আসুন আমরা দেখি সনদ আছে কিনা। হযরত ইবনে আবি হাতেম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন-
حَدَّثَنَا أَبُو هَارُونَ الْخَزَّازُ، ثنا عَلِيُّ بْنُ الْجَهْمِ، ثنا عُمَرُ بْنُ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: كَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَةُ كُتِبَ
আমার কাছে বর্ণনা করেছেন আবু হারূন আল খাজ্জাজ, তিনি বর্ণনা করেছেন আলী ইবনু জাহম থেকে, তিনি বর্ণনা করেছেন উমার ইবনু আবিল কায়েস থেকে, তিনি হযরত আছেম রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি ইমাম হযরত শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি বর্ণনা করেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৪ খানা চিঠি লিখেছেন। (তাফসীরে ইবনে আবি হাতিম ৬/২০৩৩; হাদীছ শরীফ: ১০৮৮৫, লেখক: হযরত ইবনে আবি হাতিম রহমতুল্লাহি আলাইহি [ওফাত: ৩২৭])
-খাজা মুহম্মদ নুরুদ্দীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত খলীফা উনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম-নাজায়িয এবং বিদ্রোহীকে কতল করা বৈধ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত খলীফা উনার অনুসরণ-অনুকরণ করা ফরয
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত খলীফা উনার নিকট আনুগত্যতার বাইআত গ্রহণ করা ফরয
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই দায়িমীভাবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (১৬)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত খলীফা উনার শর্তাবলী
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক উনার গুরুত্ব এবং আবশ্যকতা:
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)