‘আমার স্বামী আন্দোলনে যাননি, কেন তাকে গুলি করে ঝাঁঝরা করা হলো’

সর্বশেষ খবর

‘পাঠ্যসূচিতে আরবী ভাষাশিক্ষা অতিরিক্ত নয়, বাধ্যতামূলক করতে হবে’ ‘নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপ নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার বক্তব্য অবৈজ্ঞানিক ও বাস্তবতা বিবর্জিত’ পদ্মায় এত পাঙাশ কখনো দেখেননি শরীয়তপুরের জেলেরা সূর্যমুখীর উপকারিতা একটি গ্রামে একটিমাত্র ঘর, দুজনমাত্র মানুষ!

‘আমার স্বামী আন্দোলনে যাননি, কেন তাকে গুলি করে ঝাঁঝরা করা হলো’

, ২৮ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৫ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৮ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) দেশের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘আমার স্বামী তো ছিলেন পোশাক কারখানায় সুপারভাইজার। শ্রমিক আন্দোলনে যাননি। তিনি শ্রমিকনেতাও ছিলেন না। তাহলে কেন তাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে মেরে ফেলল?...আমার মেয়ে এখন কাকে বাবা বলে ডাকবে?’

ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে বসে এভাবেই আহাজারি করছিলেন নার্গিস পারভিন। নার্গিসের স্বামী জালাল উদ্দিন (৪০) গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

গত বুধবার সকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জালাল উদ্দিন শরীরে ছররা গুলি লাগে। তিনি ইসলাম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় সুপারভাইজার পদে চাকরি করতেন। একই সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার পোশাকশ্রমিক আঞ্জুয়ারা খাতুন (৩০) মারা যান।

নার্গিস পারভিন বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকালে আমার স্বামী কারখানায় গিয়েছিলেন। আন্দোলনের কারণে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় তিনি বাসায় ফিরছিলেন। ঠিক বাসার গলির সামনেই জালালকে গুলি করে ঝাঁঝরা করল। কেন আমার স্বামীকে এভাবে মেরে ফেলা হলো?’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে নার্গিস বলেন, ‘ওরা আমার কলিজা ছিদ্র করেছে। আরেকটা বুলেট মেরে আমার বুকটাও ছিদ্র করে দাও। স্বামীকে ছাড়া সন্তান দিয়ে আমি কীভাবে বাঁচব? আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই। ’

ট্যাগসমূহঃ