সম্পাদকীয় (১)
৮২ ভাগ এলাকা কংক্রিটে ঢাকা- তপ্তনগরী ‘ঢাকার’ উত্তাপ কমাতে হলে ঢাকার সুযোগ-সুবিধা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। যথাযথ বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ১৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৮ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ০২ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
ঢাকা শহরের কেন্দ্রীয় নগর এলাকায় বর্তমানে কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা মোট এলাকার প্রায় ৮২ ভাগ এবং নীরাভূমির পরিমাণ মোট এলাকার প্রায় ৪.৩৮ ভাগ।
অপরদিকে প্রতিদিন যেন মানুষের ঢল আসছে রাজধানী ঢাকাতে। কিছু একটা পাওয়ার আশায়। তাই অন্য শহরের চেয়ে ঢাকায় জনসংখ্যা বাড়ছে খুব বেশি, কিছু জন্মসূত্রে আর কিছু অন্য শহর থেকে আসছে। গ্রাম থেকেও দলে দলে মানুষ আছে ঢাকায়। প্রতিদিন ঢাকার বাসিন্দা হিসেবে যোগ হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন।
দেশের সব ধরনের সেবা রাজধানীকেন্দ্রিক, তাই মানুষও ভিড় জমাচ্ছে ঢাকায়। শিক্ষার অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্ট, আবহাওয়া অধিদফতর, বন ভবন, খাদ্য ভবন, পানি ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ঢাকায়।
এর ফলে যত দিন যাচ্ছে, শহরের পরিবেশ ততই খারাপ হচ্ছে। যদি ১৫-২০ বছর আগের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তা এখনকার চেয়ে পরিবেশ ভালো ছিল। এর কারণ ভাগ করা এবং ভালো থাকার যত আয়োজন। কিন্তু সেভাবে কি ভালো থাকা হচ্ছে?
ঢাকা শহরে মানুষ আসে কর্মসংস্থানের আশায়। যদি ঢাকার বাইরে কর্মসংস্থান হতো, তা হলে ঢাকার বাইরের মানুষ ঢাকায় আসত না, এমনিতেই জনস্রোত থেমে যেত। পদ্মা সেতু হয়েছে, যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতু হয়েছে। কিন্তু এই দুই সেতুর ওপারে শিল্পায়নের কথা ভাবা হয়নি। সেখানে শিল্প কারখানা গড়ে উঠলে মানুষ কাজের সন্ধানে সেখানেই যেত। ঢাকায় ভিড় করত না। পদ্মা সেতু হওয়ার পর ঢাকা-মাওয়ার মধ্যবর্তী স্থানেও বড় বড় আবাসিক প্রকল্প গড়ে উঠেছে। যার লক্ষ্য এই ঢাকা শহর। দেশের উত্তরাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে হবে। ঢাকায় একটা মেট্রোরেল হয়েছে, এরপর হয়তো আরও পাঁচটা হবে। কিন্তু এসব মেগা প্রকল্প করে ঢাকাকে বাঁচানো যাবে না। মেগা প্রকল্পের জন্য এ শহর দেশের জন্য বোঝা হয়ে যাবে। যেভাবেই হোক ঢাকামুখী কর্মসংস্থান বাইরে নিয়ে যেতে হবে। তুরাগ ও কেরানীগঞ্জ প্রকল্প করলে হবে না।
উন্নয়ন বিকেন্দ্রীকরণের প্রথম শর্ত হলো প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ। আমাদের অনেক মন্ত্রণালয় আছে, যেগুলোর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকার প্রয়োজন নেই। যেমন-
কৃষি, প্রাণিসম্পদ, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়। হাওর উন্নয়ন বোর্ড বা পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢাকায় না থাকলেও চলে। এসব মন্ত্রণালয় ঢাকার বাইরে নেওয়া দরকার, তাই এখন দরকার প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ। এখনই যদি কাজগুলো না হয় তা হলে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ হবে না। যানজট এবং পরিবেশ দূষণের কারণে অনেকেই এখন ঢাকায় থাকতে চায় না। যদি বিভাগ ও অন্য জেলাগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয় মানুষ সানন্দে ঢাকা থেকে স্থানান্তরিত হবে। এতে এ নগরীতে ধীরে ধীরে যানজট কমবে, পরিবেশ দূষণের কারণগুলো দূর হবে, এ শহর বাসযোগ্যতা ফিরে পাবে।
মাত্র ৫০ বছর আগেও ঢাকা নগরী ছিল একটি সবুজ জনপদ, অন্য শহর থেকে এসে মানুষ মুগ্ধ হয়ে দেখত। অথচ কিছু দিনের ব্যবধানে এ শহর কংক্রিটের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
ঢাকা বলা হচ্ছে বসবাসের অযোগ্য নগরী, ইট-কংক্রিটের বস্তি। এ ধরনের নানা অনাকাক্সিক্ষত অভিধা সত্ত্বেও ঢাকার জনসংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না ঢাকামুখী জনস্রোতকে। বসবাসের অযোগ্য নগরী হওয়া সত্ত্বেও পেটের দায়ে মানুষ ঢাকামুখী হচ্ছে।
কর্মসংস্থানের সিংহভাগ সুযোগ ঢাকায় হওয়ায় বাধ্য হয়ে আসছে তারা। এ প্রবণতা ঠেকাতে হবে। রাজধানীর বাইরে কর্মসংস্থানের সব ধরনের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। শিল্প কারখানা স্থাপন করতে হবে দেশের প্রতিটি প্রান্তে। ছোট শহরগুলোতেও নাগরিক সুবিধা সৃষ্টি করতে হবে। রাজধানীর জনযট ছড়িয়ে দিতে হবে সারাদেশে। এবং এ কাজটি করার সময় এখনই।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা শিশুরাও এখন মাদকের বাহক, ক্রেতা, এমনকি মওজুদ কারক কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায় মদ ও মাদকের প্রতি কঠিন ঘৃণাবোধের সঞ্চার সম্ভব
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গ: আলু ও আলু বীজের দাম বৃদ্ধি ও সঙ্কট আমদানী বাদ দিয়ে উৎপাদন খরচ কম ও উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে অতীতের মত বর্তমান সরকারেরও নজর নেই কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই পাওয়া যাবে প্রকৃত প্রজ্ঞা ও পরিক্রমা
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৯শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৮ জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বানুল নাস বা’দাল আম্বিয়া, ছাহিবু রসূলিল্লাহি ফিল গার, মুছাদ্দিকুল হুসনা, আশ শাহিদু আলান নাস, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যে আসন্ন রোযার প্রস্তুতি ভালো নয় রোযা-ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা বরদাশতের বাইরে যাবে দায়িত্ব নিতে হবে বর্তমান সরকারকেই
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজুন নবুওয়াহর পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পতিত সরকারের আমলের চেয়ে আরো উর্ধ্বগতি হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের আমদানী শুল্ক কমানো নয় বরং সঠিক চাহিদা নিরূপণ ও উৎপাদন এবং সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা যথাযথ করার মাধ্যমেই দ্রব্যমূল্য কমানো সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নদী রক্ষায় অনেক সংস্থা আছে কিন্তু সমন্বিত পদক্ষেপ নেই, সক্রিয় তৎপরতা নেই নদী রক্ষায় কার্যকর নদী আদালত গঠন ও প্রয়োগ করে প্রতিকার পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নগরের সুবিধা বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারলেই কেবল নগরমুখী জনস্রোত ঠেকানো যাবে
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বছরে ৩০ লাখ টন ই-বর্জ্য দেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি অথচ সঠিক ব্যবস্থাপনায় এই ঝুঁকিই হতে পারে অমিত সম্ভাবনাময় সমৃদ্ধির পূজি।
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জনসংখ্যা বোঝা নয় বরং জনসম্পদ জনশক্তিকে আরও দক্ষ করতে হবে।
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের জোয়ারের প্রচারনার বিপরীতে অল্প বয়সী বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, তালাক্বপ্রাপ্তা লাখো-কোটি মহিলা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দেশের অসহায় মহিলাদের প্রতি সরকারের বিশেষ হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী।
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)