সম্পাদকীয়-১
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
, ০২রা জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২০ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
কয়লার অভাবে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। একই সংকটের কারণে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, এসএস পাওয়ার, আদানি পাওয়ার এবং বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি করে ইউনিট চালু করা যাচ্ছে না। কেন্দ্রগুলোর একটি করে ইউনিট চালু থাকলেও পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন করতে পারছে না। এ ছাড়া পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি ইউনিট চালু থাকলেও আর এক সপ্তাহের কয়লা মজুত আছে।
চীন একাই বিশ্বের ৫০ শতাংশ কয়লা জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করলেও বাংলাদেশ মাত্র ১ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন করে। চীন, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ সাতটি কয়লা উৎপাদনকারী দেশ। অথচ সরকারের কয়লা নীতি, সিদ্ধান্ত ও পরিবেশগত সমস্যার কারণে বাংলাদেশে কয়লা অনুসন্ধান কার্যক্রম এবং ব্যাপকহারে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
পেট্রোবাংলা গবেষণায় দিনাজপুরের দীঘিপাড়া, ফুলবাড়ী, জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ ও রংপুরের খালাশপীরের খনিতে কয়লার মজুদ রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে। কিন্তু কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
বড়পুকুরিয়াসহ এখন দেশে ৫টি কয়লা খনিতে মোট ৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লার মজুদ রয়েছে কয়লা নিয়ে সরকারের গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখার সময় হয়েছে। মাটির নিচে কয়লা সম্পদ রেখে দিয়ে লাভ নেই, ব্যবহারেই লাভ। দেশীয় খনির কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর জন্য বড় ধরনের অবদান রাখতে পারে। বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা উঠছে। এখন ফুলবাড়ী ও দীঘিপাড়ার খনি থেকে কয়লা উঠানোর সুযোগ রয়েছে। এটা ব্যাবহার করতে পারলে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাবে।
বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণে উন্নতমানের কয়লার মজুদ রয়েছে। মজুদের পরিমাণ ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন টন, যা ২০০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সমান। ১০ শতাংশ উত্তোলন করা গেলে ২০ টিসিএফ পাওয়া যাবে। অভ্যন্তরীণ কয়লা বহুমুখী সুবিধা দিতে পারে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণ ও আমদানিনির্ভরতা কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। ‘আমদানি করা কয়লার চেয়ে দেশি কয়লা উত্তোলন করলে জ্বালানি খরচ কম হবে। দেশি কয়লা উত্তোলন করতে না পারা আমাদের জন্য বড় দুর্বলতা। ’
‘আমদানির সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো যেকোনো সময় এর দাম অনেক বেড়ে যেতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে। এটি জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ’
জ্বালানি বিভাগের উপস্থাপনায় উঠে এসে এই কয়লার কুড়ি শতাংশ উত্তোলনযোগ্য যার পরিমাণ ১ হাজার ৫৬৪.৬ মিলিয়ন টন। এ পরিমাণ কয়লা ৪০.৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সমান জ্বালানি চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশে কয়লার ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সরকারের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী অদূর ভবিষ্যতে কয়লা থেকে ১০-১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিপুল পরিমাণ কয়লা আমদানি করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশকে প্রতিবছর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হবে। বর্তমান কয়লার আন্তর্জাতিক বাজার দর হিসেবে সেটি ছয় বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও ধারণা করা হয়।
এ পরিস্থিতিতে দেশীয় কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। শুধু দিনাজপুরের দীঘিপাড়া কয়লাখনি থেকে ৯ কোটি টন কয়লা উত্তোলন করা যায়। যার বর্তমান বাজারমূল্য ১৬ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত: আমরা মনে করি, উচ্চ জ্বালানি মূল্যের কারণে স্থানীয় শিল্পখাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে দেশ যখন ব্যাপক সমস্যায় রয়েছে, তারমধ্যে এটি হবে একমাত্র সঠিক পদক্ষেপ। ইশাআল্লাহ! বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে প্রতিবছর কয়লার প্রয়োজন ৩.৬ মিলিয়ন টন, যার মূল্য প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের সহযোগীতার অভাব সমালোচনার ঝড় তুলছে প্রবল বৃষ্টি, খড়া, ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিদের পুনর্বাসনে সত্ত্বর মনোযোগী হউন
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)