২ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের সব দেশে কৃষি পণ্য রপ্তানির যোগ্যতা অর্জন করবে- কৃষি সচিবের এ আশাবাদকে আশাতীত সাফল্যে পরিণত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ১৪ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩১ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
গতকাল কৃষি সচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের যেকোন দেশে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি করার যোগ্যতা অর্জন করবে।
আয়তনে বিশ্বে ৯৪তম দেশ হলেও বাংলাদেশ ফসল উৎপাদনে এগিয়ে। উৎপাদন বাড়ায় আমদানি কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে।
বাংলাদেশ ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
আমদানি-রফতানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণে কৃষিপণ্যের রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা। বিদেশে বাংলাদেশী কৃষিপণ্যের রয়েছে প্রচুর চাহিদাও। প্রযুক্তির আধুনিকায়ন ও মানসম্মত পণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করার ফলে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। এছাড়া কর রেয়াত ও নগদ সহায়তার মতো সরকারের নীতিসহায়তা কৃষিপণ্য রফতানিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বিগত সময়ে বাংলাদেশ থেকে যে ১০০ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রফতানি হয়েছে, তার মধ্যে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের অংশই বেশি। কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে বড় ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান আছে ২০টি। আর রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১০০টিরও বেশি। বর্তমানে কৃষিপণ্য রফতানি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ পণ্য রফতানিতে কর রেয়াত ও ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। যার ফলে চার বছর ধরে এ খাতে রফতানি আয় বেড়েছে। কৃষিপণ্যের রফতানির বড় অংশ দখল করে আছে প্রাণ গ্রুপ। গত অর্থবছরে তাদের রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৪ কোটি ডলার। পৃথিবীর অনেক দেশেই প্রচুর পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদিত হয় না এবং তারা মূলত আমদানিনির্ভর। তাই আগামী দিনে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের চাহিদা আরো বাড়বে। সে কারণে কৃষিপণ্য রফতানি বাড়াতে হলে আমাদের দেশের কৃষিকে আরো বেশি উৎপাদনমুখী হতে হবে। কিন্তু রফতানির ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের শুল্ক ও অশুল্ক জটিলতা রয়ে গেছে, যা দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে দূর করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া দরকার।
কৃষিপণ্য রফতানির সম্ভাবনার পাশাপাশি রয়েছে অনেক প্রতিবন্ধকতা। এর মধ্যে অন্যতম হলো পণ্য রফতানির জন্য বিমানে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় জায়গা না পাওয়া। এছাড়া বিভিন্ন পণ্যের প্রয়োজনীয় টেস্ট করার জন্য পরীক্ষাগারের অভাব, বিমানবন্দরে হিমাগারের পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকা, বিভিন্ন কৃষিপণ্যের কাক্সিক্ষত জাতের অভাব, ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট প্রাপ্তি, দুর্বল প্যাকেজিং, সমন্বিতভাবে কাজ না করা ইত্যাদি।
কৃষিপণ্য রফতানি উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একযোগে কাজ করার বিকল্প নেই। প্রয়োজনীয় করণীয়গুলোকে চিহ্নিত করে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করা গেলে আমরা কৃষিপণ্য রফতানি খাতকে লাভজনক ও আস্থাপূর্ণ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব ইনশাআল্লাহ।
সারা পৃথিবীতে তাজা কৃষিপণ্যের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কমে যাচ্ছে কিন্তু বাড়ছে প্রক্রিয়াজাত পণ্যের চাহিদা। উন্নত বিশ্বে এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে রেডি টু ইট বা রেডি টু কুক পর্যায়ের খাদ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ছে। আমাদের কাছের দেশ ভিয়েতনাম নিজের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এবং আমদানীকৃত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে রফতানি করে যাচ্ছে। তাদের এ খাতে রফতানি আয়ের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, যেখানে আমরা মাত্র ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের কৃষিপণ্য রফতানি করে থাকি। সুতরাং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পকে এখনই প্রাধান্য দিয়ে উন্নত করতে হবে। এ লক্ষ্যে কৃষিপণ্য থেকে বৈচিত্র্যময় ও চাহিদাসম্পন্ন খাদ্যসামগ্রী উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রমকে জোরদার করতে হবে। বিশ্ব উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে তুলনা করলে পাট ও কাঁঠাল উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। উৎপাদন পর্যায়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে পেঁয়াজ, সবজি ও ধান। একইভাবে আলু ও আম উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম এবং পেয়ারা উৎপাদনে আমাদের অবস্থান সপ্তম। উৎপাদন ও চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত গবেষণার অভাবে এসব পণ্য থেকে প্রক্রিয়াজাত পণ্য বাজারজাত করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। নির্দিষ্ট ও গতানুগতিক কিছু পণ্যের মধ্যে রফতানি বাণিজ্যকে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্যময় পণ্য রফতানির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বর্তমানে যেসব দেশের সঙ্গে আমাদের রফতানি বাণিজ্য চালু রয়েছে তার বাইরে আরো নতুন দেশে বাজার খোঁজার চেষ্টা করতে হবে। পৃথিবীর কোন দেশে কোন ধরনের পণ্যের চাহিদা রয়েছে তা জানতে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনগুলো উপযুক্ত ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারিভাবে যোগাযোগ করতে হবে। অন্যদিকে রফতানি বাণিজ্যের বিকাশ ঘটাতে হলে আমাদের উৎপাদিত পণ্যের মান উন্নত করতে হবে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কারণে বাংলাদেশী বিভিন্ন ধরনের পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন দেশে। বিশেষ করে খাদ্য ও কৃষিজাত শিল্পপণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশের কয়েকটি ব্র্যান্ড যেমন প্রাণ, স্কয়ার ইত্যাদির প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় বর্তমানে এ খাতের বাজার বিস্তৃতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং নতুন বাজার সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যাংক গ্রাহকদের খালি হাতে বা নাম মাত্র অর্থে ফেরানো যাবে না কথিত অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিশ্চয়তার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশ্বে জ্বালানীর দাম এমনেই কমছে পাশাপাশি শুধুমাত্র কাঠামো সংস্কারই ১৫ টাকা কমানো সম্ভব হলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না কেন অন্তর্বর্তী সরকার? জ্বালানী তেলের দাম কমালে দ্রব্যমূল্যের দাম সহজেই কমবে
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)