১০০ টি চমৎকার ঘটনা
ঘটনা-৭৪ -যেভাবে শায়েখ মুরীদকে ফায়িয দেন
, ২৩ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৬ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২২ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
একদিন সেই আলিম, মুরীদ লোকটিকে আটকালেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি প্রতিদিন কোথায় যান?’ মুরীদ লোকটি উত্তর দিলেন, ‘আমি আমার সম্মানিত শায়েখ হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে যাই।’ আলিম বললেন, ‘ঠিক আছে। আমি আপনাকে একটি মাসয়ালা জিজ্ঞেস করবো। যদি উত্তর দিতে পারেন তাহলে আপনি যেতে পারবেন। নইলে আমি এই রাস্তা দিয়ে আপনার যাওয়া বন্ধ করে দিব।’ আলিমের এই কথা শুনে সেই মুরীদ মনে মনে বিচলিত হয়ে পড়লেও চেহারায় তেমন কোনো ভাব প্রকাশ করলেন না। কারণ আলিম লোকটি তো অনেক পড়াশোনা করে বড় আলিম হয়েছেন। কিন্তু মুরীদ লোকটি ছিলেন সাধারণ মানুষ। তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ইলম কালাম ছিল না। তাই তিনি স্বাভাবিকভাবেই এতে একটু চিন্তিত হয়ে পড়লেন!
আলিম প্রশ্ন করলেন, ‘ওযূর ফরয কয়টি?’ মুরীদ লোকটি উত্তর দিলেন, ‘চারটি। সম্পূর্ণ মুখমন্ডল এক বার ধোয়া, দুই হাত কনুই পর্যন্ত একবার ধোয়া, মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করা আর দুই পা গিরা পর্যন্ত একবার ধোয়া।’
তখন আলিম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তাহলে কেন হাতের কবজি ধুতে হয়, কুলি করতে হয়, নাকে পানি দিতে হয়?’ এগুলোর কি প্রয়োজন?’ মুরীদ লোকটি উত্তর দিলেন, ‘দেখুন, ওযূ পানি দিয়ে করতে হয়। আর পানির তিনটি গুণ রয়েছে। রঙ, স্বাদ ও গন্ধ। এই তিনটি গুণ যদি ঠিক থাকে তাহলে সেই পানি দিয়ে ওযূ করাটা সহজ-সম্ভব হয়। তাই ওযূর ফরযগুলো আদায়ের আগে হাতে পানি নিয়ে তার রঙ, কুলি করে তার স্বাদ আর নাকে পানি দিয়ে তার গন্ধের বিষয়টা ফায়সালা করা হয়।’ সুবহানাল্লাহ!
আলিম জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই মাসয়ালা কি হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি শিক্ষা দিয়েছেন?’ মুরীদ লোকটি উত্তর দিলেন, ‘না তিনি আমাকে সরাসরি শিক্ষা দেননি। কিন্তু আপনি যখন আমাকে মাসয়ালাটা জিজ্ঞেস করলেন, তখন আমি আমার সম্মানিত শায়েখ উনার দিকে রুজু হলাম। আরয করলাম, ইয়া গাউসুল আ’যম! আপনি দয়া করে আপনার ইলম মুবারক থেকে আমাকে এই মাসয়ালা শিখিয়ে দিন। তখন আপসেআপই আমার অন্তরে উত্তরটা চলে আসলো।’ সুবহানাল্লাহ!
তখন আলিম বললেন, ‘এই মাসয়ালার জবাব আমি নিজেও জানতাম না। আমি এটা জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনাকে আটকানোর জন্য। কিন্তু এখন আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। আপনি দয়া করে আমাকে হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে নিয়ে চলুন। আমিও উনার নিকট বাইয়্যাত হবো।’ সুবহানাল্লাহ!
একজন হক্কানী ওলীআল্লাহ ইলমে লাদুন্নীর (মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত বিশেষ ইলম) অধিকারী হয়ে থাকেন। এটা এমন এক ইলম যার সাথে যাহিরী ইলমের কোন তুলনাই চলে না। আর যারা হক্কানী ওলীআল্লাহ উনার কাছে বাইয়াত গ্রহণ করেন, তারাও উনার তরফ থেকে নিজ যোগ্যতা অনুসারে এই ইলমের হিস্যা পেয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
ইনশাআল্লাহ চলবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
‘বিনয়’ প্রকাশ করা ঈমানদার মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত উত্তম এক আমল
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘বিনয়’ প্রকাশ করা ঈমানদার মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত উত্তম এক আমল
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘বিনয়’ প্রকাশ করা ঈমানদার মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত উত্তম এক আমল
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘বিনয়’ প্রকাশ করা ঈমানদার মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত উত্তম এক আমল
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহিলাদের ইমামতি জায়িয নেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহিলাদের ইমামতি জায়িয নেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহিলাদের ইমামতি জায়িয নেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহিলাদের ইমামতি জায়িয নেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য (১৫)
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ আহলিয়ার কাজে আহালের সহযোগিতা
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৭)
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের ইজ্জত-সম্মান, পর্দা রক্ষা করার বিষয়ে সুখবর! সুখবর! সুখবর!
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)