সম্পাদকীয় (১)
হোটেল-রেস্তোরাঁয় দেদারসে বিক্রি হচ্ছে মরা মুরগি। দেখার কেউ নেই।
, ০৯ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৩ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২৮ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
প্রতিদিন সারা দেশ থেকে ঢাকায় আসার পথে শত শত মুরগি মারা যায়। মরে যাওয়ার পরও এসব মুরগি ফেলে দেওয়া হয় না। প্রশ্ন হলো তাহলে এসব মুরগি কি করা হয়?
মরা মুরগি সংগ্রহকারীরা বলছেন, মাছের খামারিদের কাছে তারা এসব মুরগি বিক্রি করেন। তবে পাইকারি মুরগির বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব মরা মুরগি বিভিন্ন খাবারের হোটেল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে সরবরাহ করা হয়।
তথ্য অনুযায়ী ঢাকার তেজগাঁও, কাপ্তান বাজার এবং ফকিরাপুল মুরগির আড়ত থেকে প্রতিদিন দেড় লাখের অধিক মুরগি বিক্রি হয়। এসব মুরগির বেশিরভাগ হোটেল রেস্তোরাঁ, বিপণি বিতান ও বাসাবাড়িতে খাওয়ার জন্য বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে ট্রাকযোগে ঢাকায় আনা হয় মুরগিগুলো। জানা গেছে, ঢাকায় পৌঁছাতে অনেক ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এর মধ্যে ফার্মের মুরগি, যাদের সহনক্ষমতা একেবারেই কম দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে ঢাকায় আসতে মারা যায়। কিছু মারা যায় ট্রাকে চাপাচাপির কারণে। আবার যেসব মুরগির সহনক্ষমতা কম একটু গরমেই হিটস্ট্রোকে এগুলো মারা যায়। মরা মুরগি বিক্রেতাদের হিসাব মতে, প্রতিদিন ৩ হাজারেরও বেশি মুরগি ঢাকায় আনতে মারা যায়। আবার গরম বেশি পড়লে মরা মুরগির সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। কোনো কোনো মুরগি যেগুলো ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা আগে মারা যায় সেগুলোও ঢাকায় আসতে আসতে গন্ধ ছড়ায়।
মুরগি বহনকারী ট্রাক ঢাকায় আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ জনের একটি চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে মুরগি সংগ্রহের কাজে। প্রত্যেক ট্রাকে ১০ থেকে ১৫টি মরা মুরগি পাওয়া যায়। চক্রটি মরা মুরগিগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহ করে আড়তের আড়ালে নিয়ে যায় এবং চামড়া ছাড়িয়ে ফেলে। একবার চামড়া ছাড়িয়ে নিলে কেউ আর বুঝতে পারে না যে মুরগিগুলো মরা ছিল। আবার যেসব মুরগি মরে গন্ধ বের হয় সেগুলোতে লেবুর রস স্প্রে করে পলিথিনে ভরে সরিয়ে ফেলে। এদের সঙ্গে আরেকটি চক্র জড়িত যারা তাদের কাছ থেকে মুরগি কিনে নিয়ে যায় উত্তরা, গুলশানসহ রাজধানীর বিভিন্ন হোটেল রেন্টুরেন্ট ও বিপণি বিতানে। ৪০ টাকায় কেনা এসব মুরগি নামি-দামি এসব হোটেল ও বিপণি বিতানে বিক্রি হয় ২শ’ টাকায়। তখন কেউ আর বুঝতে পারে না মুরগিগুলো মরা ছিল। আর না বুঝে অনেকে মরা মুরগি কিনে বাসায় নিয়ে যায়। আবার হোটেলেও খাবার হিসেবে বিক্রি হয়।
এভাবে রাজধানীসহ সারা দেশের হোটেল রেস্তোরাঁয় দেদারসে বিক্রি হচ্ছে মরা মুরগি। এসব ব্যবসার সঙ্গে অর্ধশত শক্তিশালী চক্র জড়িত। চক্রের সদস্যদের সহযোগিতা করছে স্থানীয় সন্ত্রাসী, পুলিশ ও ডিসিসির বাজার শাখার অসৎ কর্মচারীরা। মাঝে মধ্যে মুরগি ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি সন্ত্রাসীরা পুলিশকে দিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিচ্ছে।
প্রতারকরা বিভিন্ন কৌশলে আড়ত থেকে মরা মুরগিগুলো অন্যত্রে সরিয়ে নিচ্ছে। প্রতারক চক্রের এক সদস্য জানায়, প্রায় তিন বছর ধরে ঢাকার নামি-দামি হোটেলগুলোতে মরা মুরগি সাপ্লাই দিয়ে আসছি। এই এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন সন্ত্রাসী এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তবে প্রকৃত মুরগি ব্যবসায়ীরা এসব কাজে জড়াচ্ছে না। পুলিশকে প্রতি মাসে টাকা দিতে হচ্ছে। আবার ডিসিসির একাধিক কর্মচারী প্রতারকদের সহযোগিতা করছে।
মূলত: এই মরা মুরগীর ব্যবসা করে প্রতারক গং লাখোপতি থেকে কোটিপতি বনে গেছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দেখেও না দেখার ভান করছে। তাদের নাকের ডগায়ই সব চলছে। মূলত কমিশন বাণিজ্য দিয়েই বহাল তবিয়তে এই মরা মুরগির ব্যবসা চলছে। যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মরা মুরগির ব্যবসা ধরার কথা সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিজেই মারা গেছে। তাহলে মরা মুরগিওয়ালাদের ধরবে কে?
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা শিশুরাও এখন মাদকের বাহক, ক্রেতা, এমনকি মওজুদ কারক কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায় মদ ও মাদকের প্রতি কঠিন ঘৃণাবোধের সঞ্চার সম্ভব
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গ: আলু ও আলু বীজের দাম বৃদ্ধি ও সঙ্কট আমদানী বাদ দিয়ে উৎপাদন খরচ কম ও উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে অতীতের মত বর্তমান সরকারেরও নজর নেই কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই পাওয়া যাবে প্রকৃত প্রজ্ঞা ও পরিক্রমা
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৯শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৮ জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বানুল নাস বা’দাল আম্বিয়া, ছাহিবু রসূলিল্লাহি ফিল গার, মুছাদ্দিকুল হুসনা, আশ শাহিদু আলান নাস, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যে আসন্ন রোযার প্রস্তুতি ভালো নয় রোযা-ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা বরদাশতের বাইরে যাবে দায়িত্ব নিতে হবে বর্তমান সরকারকেই
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজুন নবুওয়াহর পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পতিত সরকারের আমলের চেয়ে আরো উর্ধ্বগতি হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের আমদানী শুল্ক কমানো নয় বরং সঠিক চাহিদা নিরূপণ ও উৎপাদন এবং সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা যথাযথ করার মাধ্যমেই দ্রব্যমূল্য কমানো সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নদী রক্ষায় অনেক সংস্থা আছে কিন্তু সমন্বিত পদক্ষেপ নেই, সক্রিয় তৎপরতা নেই নদী রক্ষায় কার্যকর নদী আদালত গঠন ও প্রয়োগ করে প্রতিকার পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নগরের সুবিধা বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারলেই কেবল নগরমুখী জনস্রোত ঠেকানো যাবে
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বছরে ৩০ লাখ টন ই-বর্জ্য দেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি অথচ সঠিক ব্যবস্থাপনায় এই ঝুঁকিই হতে পারে অমিত সম্ভাবনাময় সমৃদ্ধির পূজি।
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জনসংখ্যা বোঝা নয় বরং জনসম্পদ জনশক্তিকে আরও দক্ষ করতে হবে।
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের জোয়ারের প্রচারনার বিপরীতে অল্প বয়সী বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, তালাক্বপ্রাপ্তা লাখো-কোটি মহিলা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দেশের অসহায় মহিলাদের প্রতি সরকারের বিশেষ হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী।
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)