সম্পাদকীয় (২)
হোটেল-রেস্তোরাঁয় দেদারসে বিক্রি হচ্ছে মরা মুরগি। দেখার কেউ নেই।
, ১১ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৯ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৭ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০২ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
প্রতিদিন সারা দেশ থেকে ঢাকায় আসার পথে শত শত মুরগি মারা যায়। মরে যাওয়ার পরও এসব মুরগি ফেলে দেওয়া হয় না। প্রশ্ন হলো তাহলে এসব মুরগি কি করা হয়?
মরা মুরগি সংগ্রহকারীরা বলছেন, মাছের খামারিদের কাছে তারা এসব মুরগি বিক্রি করেন। তবে পাইকারি মুরগির বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব মরা মুরগি বিভিন্ন খাবারের হোটেল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে সরবরাহ করা হয়।
তথ্য অনুযায়ী ঢাকার তেজগাঁও, কাপ্তান বাজার এবং ফকিরাপুল মুরগির আড়ত থেকে প্রতিদিন দেড় লাখের অধিক মুরগি বিক্রি হয়। এসব মুরগির বেশিরভাগ হোটেল রেস্তোরাঁ, বিপণি বিতান ও বাসাবাড়িতে খাওয়ার জন্য বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে ট্রাকযোগে ঢাকায় আনা হয় মুরগিগুলো। জানা গেছে, ঢাকায় পৌঁছাতে অনেক ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এর মধ্যে ফার্মের মুরগি, যাদের সহনক্ষমতা একেবারেই কম দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে ঢাকায় আসতে মারা যায়। কিছু মারা যায় ট্রাকে চাপাচাপির কারণে। আবার যেসব মুরগির সহনক্ষমতা কম একটু গরমেই হিটস্ট্রোকে এগুলো মারা যায়। মরা মুরগি বিক্রেতাদের হিসাব মতে, প্রতিদিন ৩ হাজারেরও বেশি মুরগি ঢাকায় আনতে মারা যায়। আবার গরম বেশি পড়লে মরা মুরগির সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। কোনো কোনো মুরগি যেগুলো ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা আগে মারা যায় সেগুলোও ঢাকায় আসতে আসতে গন্ধ ছড়ায়।
মুরগি বহনকারী ট্রাক ঢাকায় আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ জনের একটি চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে মুরগি সংগ্রহের কাজে। প্রত্যেক ট্রাকে ১০ থেকে ১৫টি মরা মুরগি পাওয়া যায়। চক্রটি মরা মুরগিগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহ করে আড়তের আড়ালে নিয়ে যায় এবং চামড়া ছাড়িয়ে ফেলে। একবার চামড়া ছাড়িয়ে নিলে কেউ আর বুঝতে পারে না যে মুরগিগুলো মরা ছিল। আবার যেসব মুরগি মরে গন্ধ বের হয় সেগুলোতে লেবুর রস স্প্রে করে পলিথিনে ভরে সরিয়ে ফেলে। এদের সঙ্গে আরেকটি চক্র জড়িত যারা তাদের কাছ থেকে মুরগি কিনে নিয়ে যায় উত্তরা, গুলশানসহ রাজধানীর বিভিন্ন হোটেল রেন্টুরেন্ট ও বিপণি বিতানে। ৪০ টাকায় কেনা এসব মুরগি নামি-দামি এসব হোটেল ও বিপণি বিতানে বিক্রি হয় ২শ’ টাকায়। তখন কেউ আর বুঝতে পারে না মুরগিগুলো মরা ছিল। আর না বুঝে অনেকে মরা মুরগি কিনে বাসায় নিয়ে যায়। আবার হোটেলেও খাবার হিসেবে বিক্রি হয়।
এভাবে রাজধানীসহ সারা দেশের হোটেল রেস্তোরাঁয় দেদারসে বিক্রি হচ্ছে মরা মুরগি। এসব ব্যবসার সঙ্গে অর্ধশত শক্তিশালী চক্র জড়িত। চক্রের সদস্যদের সহযোগিতা করছে স্থানীয় সন্ত্রাসী, পুলিশ ও ডিসিসির বাজার শাখার অসৎ কর্মচারীরা। মাঝে মধ্যে মুরগি ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি সন্ত্রাসীরা পুলিশকে দিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিচ্ছে।
প্রতারকরা বিভিন্ন কৌশলে আড়ত থেকে মরা মুরগিগুলো অন্যত্রে সরিয়ে নিচ্ছে। প্রতারক চক্রের এক সদস্য জানায়, প্রায় তিন বছর ধরে ঢাকার নামি-দামি হোটেলগুলোতে মরা মুরগি সাপ্লাই দিয়ে আসছি। এই এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন সন্ত্রাসী এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তবে প্রকৃত মুরগি ব্যবসায়ীরা এসব কাজে জড়াচ্ছে না। পুলিশকে প্রতি মাসে টাকা দিতে হচ্ছে। আবার ডিসিসির একাধিক কর্মচারী প্রতারকদের সহযোগিতা করছে।
মূলত: এই মরা মুরগীর ব্যবসা করে প্রতারক গং লাখোপতি থেকে কোটিপতি বনে গেছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দেখেও না দেখার ভান করছে। তাদের নাকের ডগায়ই সব চলছে। মূলত কমিশন বাণিজ্য দিয়েই বহাল তবিয়তে এই মরা মুরগির ব্যবসা চলছে। যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মরা মুরগির ব্যবসা ধরার কথা সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিজেই মারা গেছে। তাহলে মরা মুরগিওয়ালাদের ধরবে কে?
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যাংক গ্রাহকদের খালি হাতে বা নাম মাত্র অর্থে ফেরানো যাবে না কথিত অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিশ্চয়তার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশ্বে জ্বালানীর দাম এমনেই কমছে পাশাপাশি শুধুমাত্র কাঠামো সংস্কারই ১৫ টাকা কমানো সম্ভব হলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না কেন অন্তর্বর্তী সরকার? জ্বালানী তেলের দাম কমালে দ্রব্যমূল্যের দাম সহজেই কমবে
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)