সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ
হায়াতুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্তালা’ আলাল গ¦য়িব, আল হাদ্বির ওয়ান নাযির, আল মুবাশশির, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ ১০খানা
, ১১ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৯ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৭ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০২ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
(৫)
চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়ার মহাসমম্মানিত ও মহাপবিত্র মু’জিযা শরীফ: আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালত মুবারক প্রকাশের ৬ষ্ঠ বৎসর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই যিলহজ্জ শরীফ রাতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শক্ব মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আঙ্গুল মুবারক) উনার ইশারায় চন্দ্র দ্বিখ-িত হয়। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দায়িমীভাবে ২৪ ঘন্টাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করা ফরয (৫)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اُحْضُرُوا الْمِنْبَـرَ فَحَضَرْنَا فَلَمَّا اِرْتَقَى الدَّرَجَةَ قَالَ اٰمِيْـنَ فَلَمَّا اِرْتَقَى الدَّرَجَةَ الثَّانِيَةَ قَالَ اٰمِيْـنَ فَلَمَّا اِرْتَقَى الدَّرَجَةَ الثَّالِثَةَ قَالَ اٰمِيْـنَ فَلَمّاَ نَزَلَ قُلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ سَـمِعْنَا مِنْكَ الْيَوْمَ شَيْئًا مَا كُنَّا نَسْمَعُهٗ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ حَضْرَتْ جِبْـرِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَرَضَ لِـىْ فَقَالَ بَعُدَ مَنْ اَدْرَكَ رَمَضَانَ فَلَمْ يُغْفَرْ لَهٗ قُلْتُ اٰمِيْـنَ فَلَمَّا رَقِيْتُ الثَّانِيَةَ قَالَ بَعُدَ مَنْ ذُكِرْتَ عِنْدَهٗ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْكَ قُلْتُ اٰمِيْـنَ فَلَمَّا رَقِيْتُ الثَّالِثَةَ قَالَ بَعُدَ مَنْ اَدْرَكَ اَبَوَيْهِ الْكِبَـرَ اَوْ اَحَدَهُـمَا فَلَمْ يُدْخِلَاهُ الْـجَنَّةَ قُلْتُ اٰمِيْـنَ
অর্থ: “হযরত কা’ব ইবনে উজরাতা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদিন আমাদেরকে সম্মানিত মিম্বর শরীফ উনার নিকটবর্তী হতে বললেন। আমরা সকলে সম্মানিত মিম্বর শরীফ উনার নিকটবর্তী হলাম। অতঃপর তিনি সম্মানিত মিম্বর শরীফ উনার প্রথম ধাপে আরোহণ করেই বললেন, আমীন! দ্বিতীয় ধাপে আরোহণ করেও বললেন, আমীন! তৃতীয় ধাপে আরোহণ করেও বললেন, আমীন! এরপর খুতবা মুবারক শেষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সম্মানিত মিম্বর শরীফ থেকে অবতরণ করলেন, তখন আমরা বললাম- ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আজকে আমরা আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যবান মুবারক) থেকে এমন কিছু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ শুনলাম, যা আমরা আর কখনো শুনিনি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, (আমি যখন সম্মানিত মিম্বর শরীফ উনার প্রথম সিঁড়িতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পা মুবারক রাখলাম,) তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আসলেন এবং বললেন, সে ব্যক্তি ধ্বংস বা হালাক হোক, যে ব্যক্তি সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ মাস পেলো, অথচ তারপরও নিজের গুনাহখতাগুলো ক্ষমা করাতে পারলো না। আমি বললাম আমীন! অর্থাৎ সে ধ্বংস হোক। অতঃপর দ্বিতীয় সিঁড়িতে যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক রাখলাম, তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সে ব্যক্তি ধ্বংস বা হালাক হোক, যে ব্যক্তির সম্মুখে আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক উচ্চারণ করা হলো অথচ সে আপনার প্রতি ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক’ পাঠ করলো না। আমি বললাম, আমীন! অর্থাৎ সেও ধ্বংস হোক। অতঃপর যখন তৃতীয় সিঁড়িতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক রাখলাম, তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সে ব্যক্তি ধ্বংস বা হালাক হোক, যে ব্যক্তি পিতা-মাতা দু’জনকে অথবা দু’জনের একজনকে বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা অবস্থায় পেয়েও উনাদের খিদমত করে সম্মানিত জান্নাত মুবারক হাছিল করতে পারলো না, সে ব্যক্তি হালাক বা ধ্বংস। আমি বলালাম, আমীন! অর্থাৎ সে ধ্বংস হোক। (মুস্তাদরাকে হাকিম ৪/১৭০, শু‘আবুল ঈমান ৩/১৩৪, ফাদ্বলুছ ছলাতি আলান নাবিয়্যী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১/৩৪, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)
সুতরাং উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ থেকে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, যখনই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক উচ্চারণ করা হবে এবং শ্রবণ করা হবে, তখনই উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করা ফরয। কেউ যদি তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ না করে, তাহলে সে বখীল অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার শত্রুতে পরিগণিত হবে, সে হালাক বা ধ্বংস হবে এবং সে জাহান্নামীও হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। বরং যারা সন্দেহ করবে অথবা চু-চেরা করবে তারাও ধ্বংস হয়ে জাহান্নামী হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ!
তাহলে এই ফতওয়া কিভাবে শুদ্ধ হতে পারে যে, জীবনে মাত্র একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করা ফরয? না‘ঊযুবিল্লাহ! কস্মিনকালেও শুদ্ধ নয়; বরং সম্পূর্ণরূপেই ভুল এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত উনার খিলাফ হওয়ার কারণে তা কখনোই গ্রহণযোগ্য তো নয়ই; বরং তা সম্পূর্ণরূপেই পরিত্যাজ্য। না‘ঊযুবিল্লাহ!
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু সৃষ্টির শুরু থেকে অদ্যবধি দায়িমীভাবে ২৪ ঘণ্টা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করে যাচ্ছেন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করতেই থাকবেন অর্থাৎ পাঠ করে যেতেই থাকবেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করতেই থাকবেন, তাই সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরয হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশক্রমে ও উনার অনুসরণে দায়িমীভাবে ২৪ ঘণ্টা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করা, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করা। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৭)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)