১০০ টি চমৎকার ঘটনা
হালাল উপার্জন নেক কাজের দিকে রুজু করে আর হারাম উপার্জন দ্বারা মানুষ গুনাহর দিকে ধাবিত হয়
ঘটনা-৮৪
, ০৬ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
একজন বুযুর্গ ব্যক্তির অত্যন্ত ধনী এক মুরীদ ছিল। সে অনেক ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় তার শায়েখ উনার ছোহবত ইখতিয়ার করতো। খানকা শরীফের নিকটবর্তী সদর রাস্তায় কিছু গরীব ও অন্ধ ভিক্ষুক ভিক্ষা করতো। একদিন এক অন্ধ ভিক্ষুককে দেখে লোকটির দয়া হলো। তাকে পাঁচ টাকা দান করে সে ছোহবতে চলে গেলো।
পরের দিন মুরীদ আবার ছোহবতের জন্য যাওয়ার পথে ঐ অন্ধ ফকীরকে দেখল। সে আরেকজন অন্ধ ফকীরকে বলছে, ‘গতকাল এক ব্যক্তি আমাকে পাঁচ টাকা হাদিয়া দিয়েছে। তা দিয়ে আমি শরাবখানায় গিয়ে শরাব পান করেছি এবং আনুষঙ্গিক আরো কিছু খারাপ কাজ করেছি।’ মুরীদ শুনে আশ্চর্য হলো। কিন্তু ফকীরকে কিছু না বলে ঘটনাটি তার শায়েখ উনাকে জানালো। তিনি তাকে একটা কাঁচা টাকা দিয়ে বললেন, ‘তুমি বাড়িতে চলে যাও। পথে ঐ মোড়ের মধ্যে দেখতে পাবে এক ব্যক্তি চাদর পরিহিত অবস্থায় রাস্তা অতিক্রম করছে। তাকে এই টাকাটি দিবে এবং তাকে অনুসরণ করে তার গতিবিধি লক্ষ্য করবে।’
কথামত মুরীদ বাড়ির দিকে রওয়ানা হলো এবং সত্যিই রাস্তায় চাদর জড়ানো এক ব্যক্তিকে দেখলো। তখন সে দ্রুত কাছে গিয়ে তার হাতে কাঁচা টাকাটি দিলো। টাকাটি হাতে নিয়ে উক্ত ব্যক্তি কিছু না বলে তার গন্তব্যে হাঁটা শুরু করলো। মুরীদ গোপনে তাকে অনুসরণ করলো। কিছু দূর গিয়ে লোকটি এক জঙ্গলের কাছে চাদরের ভিতর থেকে কি যেন বের করে ফেলে দিলো। তারপরে এক বাজারে ঢুকে ঐ টাকা দিয়ে খাদ্য সামগ্রী কিনে বাড়ির পথ ধরলো।
মুরীদ এবার লোকটির কাছে গিয়ে বললো, ‘হে ব্যক্তি, আপনি চাদরের ভিতর থেকে কি জঙ্গলে ফেলে দিলেন? আর এত দ্রুত কোথায় যাচ্ছিলেন?’ লোকটি বললো, ‘দেখুন, আমি আজ তিনদিন ধরে অনাহারে। অনেক কোশেশ করেও কোনো প্রকার খাবারের ব্যবস্থা করতে পারিনি। তাই পথে পড়ে থাকা একটা মরা হাঁস পেয়ে তুলে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম জীবন রক্ষার্থে আমার জন্য এখন মরা হাঁস খাওয়া মুবাহ। কিন্তু ব্যাপারটি কেউ জানুক তা চাইনি। তাই সেটা চাদরের নিচে রেখে দ্রুত রাস্তা অতিক্রম করছিলাম। কিন্তু আপনি যখন হাদিয়া দিলেন তখন আমার জন্য আর মরা হাঁস খাওয়া জায়িয রইলো না। তাই সেটা জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিলাম এবং বাজার থেকে খাদ্যদ্রব্য কিনলাম।’
মুরীদ পরেরদিন শায়েখের দরবারে গিয়ে সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বললো। তিনি শুনে বললেন, ‘তুমি কি কিছু বুঝতে পেরেছো?’ মুরীদ বললো, ‘পুরোপুরি বুঝতে পারিনি।’ শায়েখ বললেন, ‘তোমার টাকা ছিল হারাম পন্থায় উপার্জিত। এজন্যই তা অন্ধ ফকিরকে হারাম কাজে প্রেরণা যুগিয়েছে। আর আমার টাকাটি ছিল হালাল পন্থায় উপার্জিত। যার ফলে তা সেই ব্যক্তিকে হালালের পথে সাহায্য করেছে।’ সুবহানাল্লাহ!
হালাল খাবার খেলে হালাল কাজের প্রতি প্রেরণা জন্মায়, আর হারাম খাবার খেলে মানুষ ইচ্ছায় অনিচ্ছায় হারামের দিকে ধাবিত হয়। হারামভাবে উপার্জিত খাদ্য দ্বারা সাতটি অঙ্গ পাপী হয়। চোখ, কান, জিহ্বা, পেট, হাত, পা ও লজ্জাস্থান। নাঊযুবিল্লাহ।
ইনশাআল্লাহ চলবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
‘বিনয়’ প্রকাশ করা ঈমানদার মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত উত্তম এক আমল
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘বিনয়’ প্রকাশ করা ঈমানদার মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত উত্তম এক আমল
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘বিনয়’ প্রকাশ করা ঈমানদার মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত উত্তম এক আমল
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘বিনয়’ প্রকাশ করা ঈমানদার মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত উত্তম এক আমল
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহিলাদের ইমামতি জায়িয নেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহিলাদের ইমামতি জায়িয নেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহিলাদের ইমামতি জায়িয নেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহিলাদের ইমামতি জায়িয নেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য (১৫)
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ আহলিয়ার কাজে আহালের সহযোগিতা
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৭)
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের ইজ্জত-সম্মান, পর্দা রক্ষা করার বিষয়ে সুখবর! সুখবর! সুখবর!
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)