হাইকোর্টের মন্তব্য: চুনোপুঁটি নিয়ে টানাটানি দুদকের, রাঘব-বোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
দুদককে পূর্ণ সক্ষমতা ও স্বাধীনতা দিলে দেশের দুর্নীতি নির্মূল শুধু সময়ের ব্যাপার। সরকারের উচিত- দুদককে দুর্নীতিমুক্ত করে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে সত্যিকার স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।
, ৪ঠা জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৪ হিজরি, ৩১ সাদিস, ১৩৯০ শামসী, ২৯শে নভেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
অর্থশালীরা পাওয়ারফুল (শক্তিশালী)। তারা বিচারের ঊর্ধ্বে কিংবা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে কিনা- দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি এমন প্রশ্ন রেখেছে হাইকোর্ট। দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত জানায়, রাঘববোয়ালদের ধরবে কে? আপনারা ধরছেন চুনোপুঁটি। একটি ব্যাংকের প্রায় ১১০ কোটি টাকার অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় দুই আসামির জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল শুনানিতে গত রোববার এমন প্রশ্ন রাখে বিচারক নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারক খিজির হায়াতের বেঞ্চ। এর আগেও হাইকোর্ট মন্তব্য করেছিলো যে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে নখ-দন্তবিহীন বাঘ হলে চলবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, দেশের দুর্নীতি দমনের জন্য দুদক নামক প্রতিষ্ঠানটি তৈরী করা হলেও প্রতিষ্ঠানের এত বছরে এসে দুদক কতটা দুর্নীতি দমন করতে পেরেছে, কতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পেরেছে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কতটা স্বাধীন এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিশেষজ্ঞরা। এক কথায় মানুষের প্রত্যাশা পূরণে দুদকের ঘাটতি রয়েছে। ছোট ও মধ্য পর্যায়ের লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও উচ্চপর্যায়ের লোকজনের বিরুদ্ধে দুদক উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এমনকি বিগত সময়ে দুদকের পরিচালক পর্যন্ত দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হয়েছে। এ কারণে দুর্নীতির বিস্তার ঘটছে। প্রকারান্তরে উচ্চপর্যায়ের লোকজনকে সুরক্ষা দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছে, দুদককে যদি শক্তিশালী ও উন্নত করা যায়, তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সত্যিকার ক্ষমতা দেয়া হয়, উন্নত অবকাঠামো সুবিধা তাদের দেয়া হয় তাহলে বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূলে বিশাল অবদান রাখতে পারবে এই দুদক।
দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও এর কর্মকান্ডে তা খুব কমই প্রতিফলিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি যেন কোথায় বাঁধা পড়ে আছে। অদৃশ্য এক শক্তির ইশারায় যেন এটি পরিচালিত হচ্ছে। যেখানে বড় বড় দুর্নীতি হয় এবং হচ্ছে, সেখানেই সে তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত অনেক রাঘববোয়ালের কাছে ঘেঁষতেই পারে না। বেসরকারি পর্যায়ের কোনো প্রভাবশালীর অর্থ পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তে দুদককে অনেক হিসাব করে হাত দিতে হয়। কারণ দুদক আইনে কেবল সরকারি পদে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ বিদেশে অর্থ পাচার করলে তাকেই আটঘাট বেঁধে ধরা যায়। ২০১৫ সালে মানি লন্ডারিং আইন সংশোধন করে দেশের বাইরে অর্থ পাচারের তদন্তভার বিএফআইইউসহ অন্য কয়েকটি সংস্থাকে দেয়া হয়। বাদ পড়ে দুদক। এর কারণে পিকে হালদারের মতো কুখ্যাত দুর্নীতিবাজরা বিদেশে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি পাচার করলে তার বিরুদ্ধে তখন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি দুদক।
বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, রাঘববোয়ালদের যত এড়িয়ে যাওয়া যায়, ততই যেন ভালো। শুধুমাত্র সৌজন্যমূলক চিঠি দিয়ে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার জন্য দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয়। তারপর আর কোনো খোঁজ থাকে না। পত্র-পত্রিকায় তথ্য প্রমাণসহ তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও দুদক তা দেখেও না দেখার ভান করে।
কিছুদিন আগে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো, দেশের স্বাস্থ্যখাত ও সড়ক/যোগাযোগ খাত সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু এরপরও সেই খাতগুলোতে আশানুরুপ হানা দিতে দুদককে দেখা যায়নি। বাঁধ নির্মাণসহ নদ-নদী ড্রেজিংয়ে যে বড় বড় দুর্নীতি হয়, তা অনেকটা ওপেন সিক্রেট। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোতে কাজের গতি ধীর হয়ে যাওয়া এবং সময় মতো শেষ না হওয়ার পেছনে দুর্নীতিই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরেও দুর্নীতির কথা সবাই কম-বেশি জানে। এসব জায়গায় বড় বড় দুর্নীতির সাথে অনেকেই জড়িত। দেখা যাচ্ছে, দুদক এসব জায়গার দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার ক্ষমতা ও সক্ষমতা দেখাতে পারছে না। এর বিপরীতে যেখানে ছোট-খাটো দুর্নীতি হয়, সেখানে প্রতিষ্ঠানটি তার সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দুদকের এই একচোখা নীতির বিষয়টি এখন সর্বজনবিধিত।
অথচ, গত ১০ বছরে ১০টি কেলেঙ্কারিতে ব্যাংক খাত থেকে লোপাট হয়েছে ২২৫০২ কোটি টাকা, পাচার হয়েছে ১২ লাখ কোটি টাকা, দুর্নীতির কারণে জিডিপি থেকে গায়েব হচ্ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা, পিকে হালদার গংরা লোপাট করছে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি, সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে যেখানে লুটপাটের অংক সবসময় লাখো কোটি টাকার উপরে, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের মতো জায়গায় শতকোটি টাকা লুট, সেবা খাতে সেবা নিতে বছরে ঘুষের পেছনে যায় জনগনের ৮৮২২ কোটি টাকা, পাসপোর্ট করতে গেলে বাড়তি বড় অঙ্কের ঘুষ দিতে হচ্ছে, গাড়ির লাইসেন্স করতে গেলে ঘুষ দিতে হচ্ছে, বিদেশ গমনে যেখানে বছরে ঘুষের পেছনেই যাচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা, নদী নাব্যতার ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাটের জন্য যেখানে সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হচ্ছে সেদিকে দুদকের কোন নজর নেই। এজন্য দুদকের প্রতি ক্ষোভও প্রকাশ করেছে আদালত।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের এমন কোনো খাত নেই যেখানে দুর্নীতি নেই। সরকার দেশকে উন্নয়নশীল, স্বয়ংসম্পূর্ণ, ডিজিটাল ইত্যাদি বিভিন্ন নামে প্রচার করলেও দুর্নীতিতে আজ রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের জনগন সর্বশান্ত, পেরেশান। আর এই জন্য এই দুদকের প্রতি সাধারণ জনগনের একটু আশা রয়েছে। হাইকোর্ট দুদককে বলেছে, আগে বড় দুর্নীতিবাজদের ধরতে। কিন্তু আমরা মনে করি, দুদক তখনই বড় দুর্নীতিবাজদের কুপোকাত করতে পারবে যখন খোদ দুদক দুর্নীতি ও অনিয়ম থেকে দূরে থাকবে। কারন ইদানিং খোদ দুদকের কর্মকর্তারাই বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে গেছে। এর আগে দেখা গেছে, খোদ দুদক চেয়ারম্যানকে দুর্নীতিতে দায়গ্রস্থ হতে। এতে করে দেখা যাচ্ছে, খোদ দুদকেই দুর্নীতির কালো আচড় পড়েছে। তাই সর্বপ্রথম দুদককে আগে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।
সমালোচকদের মতে, দুদকে সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে একশ্রেণীর মহল শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রেখেছে। যার কারণে দুদক বড় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছে, আটকে যাচ্ছে। তবে দুদককে পূর্ণ স্বাধীনতা ও সক্ষমতা দিলে দুদক যে কি করতে পারে তা শাহেদ, আব্দুল মালেক কিংবা সাবরিনার মতো বড় বড় দুর্নীতিবাজদের গোমর ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর স্পষ্টভাবেই দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে।
প্রসঙ্গকারণেই সরকারের জন্য অবশ্য কর্তব্য হবে, দেশের দুর্নীতির এই মহামচ্ছবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে দুদককে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রদান করা। পাশাপাশি, দুদক যাতে অহেতুক কাউকে হয়রানি করতে না পারে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা।
ছহিবে পবিত্র সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নগরের সুবিধা বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারলেই কেবল নগরমুখী জনস্রোত ঠেকানো যাবে
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বছরে ৩০ লাখ টন ই-বর্জ্য দেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি অথচ সঠিক ব্যবস্থাপনায় এই ঝুঁকিই হতে পারে অমিত সম্ভাবনাময় সমৃদ্ধির পূজি।
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জনসংখ্যা বোঝা নয় বরং জনসম্পদ জনশক্তিকে আরও দক্ষ করতে হবে।
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের জোয়ারের প্রচারনার বিপরীতে অল্প বয়সী বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, তালাক্বপ্রাপ্তা লাখো-কোটি মহিলা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দেশের অসহায় মহিলাদের প্রতি সরকারের বিশেষ হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী।
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সুদ ব্যয়ের কারণে আকার বাড়লেও সুফল নেই বাজেটের। সরকারের উচিত, ঋণের ধারা থেকে সরে এসে আভ্যন্তরীণ আয়ের দিকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেটকে গণমুখী করা।
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আহলান! সাহলান! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল উলা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, খাইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার নিসবাতুল আযীমাহ মুবারক সংঘটিত হওয়ার দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র, মহাসম্মানিত, মহামহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উলা শরীফ। মুবারক হো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আযীমুশ্ শান পবিত্র নিসবাতুল আ’যীম শরীফ দিবস।
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র ২১শে জুমাদাল উলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ছহিবাতুল ইয্যাহ্- সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্যাংক গ্রাহকদের খালি হাতে বা নাম মাত্র অর্থে ফেরানো যাবে না কথিত অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিশ্চয়তার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশ্বে জ্বালানীর দাম এমনেই কমছে পাশাপাশি শুধুমাত্র কাঠামো সংস্কারই ১৫ টাকা কমানো সম্ভব হলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না কেন অন্তর্বর্তী সরকার? জ্বালানী তেলের দাম কমালে দ্রব্যমূল্যের দাম সহজেই কমবে
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)