সম্পাদকীয় (২)
সড়কে চাঁদাবাজিই পণ্যদ্রব্যের উর্ধ্বগতির বিশেষ কারণ প্রধানমন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশই শেষ নয়; বাস্তবায়নই আসল কথা
, ২৪ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৩ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ০১ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
এ বছরের গোড়ার দিকে ৫ই ফেব্রুয়ারী পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি হলে তা বন্ধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর হাইওয়ে পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ১২ই জুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সড়কে চাঁদাবাজির ক্ষেত্র ‘অনেক বেশি প্রসারিত’। দেশের গণমাধ্যম তার এ মন্তব্যকে শিরোনাম করেছে। কথা হল খোদ প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এরূপ মানার নির্দেশ থাকার পরও বাস্তবে তা বন্ধ হচ্ছে কৈ?
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, পণ্যের দাম বেশি হওয়ার একটা বড় কারণ পণ্য পরিবহনের পথে পথে চাঁদাবাজি। পণ্য পরিবহনের সময় প্রতিটি ট্রাকে রসিদ দিয়ে চাঁদা আদায় করা হয়। এটা হচ্ছে পুলিশের ছত্রছায়ায়। কিছু লোক ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাবের অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি করেন কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করে না বা করতে পারে না, এটা যেমন সত্য, তার চেয়েও দুর্ভাগ্যজনক সত্য হলো, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের একটা অংশের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ আছে। সারাদেশে পুলিশ ৫০-১০০ টাকার জন্য গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে রাস্তা আটকে রাখে এমন অভিযোগও শুনতে হচ্ছে।
টিআইবির একটি গবেষণা বলছে, শুধু যাত্রী পরিবহন খাতের ব্যবসায়ীরাই প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা চাঁদা দেয়। পণ্য পরিবহনের হিসাব করলে চাঁদার অঙ্ক ছাড়াবে ২ হাজার কোটি টাকা। দেশের আন্তজেলা-দূরপাল্লা রুটের বাসের ক্ষেত্রে বাসপ্রতি গড় ঘুষের পরিমাণ ১ হাজার ১৯ টাকা, আন্তজেলা-আঞ্চলিক রুটের বাসের ক্ষেত্রে ১ হাজার ১৩৩ এবং সিটি সার্ভিসের বাসের ক্ষেত্রে গড় ঘুষের পরিমাণ ৫ হাজার ৬৫৬ টাকা। বছরের হিসাবে ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা গুনতে হয় পরিবহন-খাতসংশ্লিষ্টদের।
গণপরিবহনে যেমন রুট মালিক ও মালিক-শ্রমিক সমিতির নামে সরাসরি চাঁদাবাজি চলে, তেমনি আন্তজেলা ট্রাকের ক্ষেত্রে মাসোহারা হিসেবে বিভিন্ন সংগঠন টোকেন দিয়ে নীরব চাঁদাবাজি করে। আর ঢাকায় ঢোকার মুখে চাঁদা তুলতে সরব স্থানীয় মাস্তানদের লাঠিয়াল বাহিনী। পণ্যবাহী ট্রাকচালকরা চাঁদা না দিলে তারা হামলে পড়ে। রাজধানীতে আবার যাত্রীবাহী পরিবহন ও ট্রাকের চাঁদাবাজির ধরন আলাদা। বাসগুলোর ক্ষেত্রে মূলত কেন্দ্রীয়ভাবে মালিক সমিতিগুলো এটি নিয়ন্ত্রণ করে। পণ্যবাহী ট্রাকে এমন কেন্দ্রীয় কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ঢাকার বাইরে ট্রাকে পণ্য ওঠানো থেকে শুরু হয় চাঁদাবাজি। এভাবে সারা দেশ থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার চাঁদা তোলা হয়। চাঁদার এ টাকা বিভিন্ন স্তরে তারা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। টিআইবির গবেষণার থেকেও ভয়াবহ চিত্র বাস্তবে। পণ্য পরিবহনের চাঁদাবাজির চিত্র ছিল না টিআইবির গবেষণায়। অভিযোগ রয়েছে, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, মালিক সমিতি, শ্রমিক সংগঠন সবাই নেয় টাকা এই খাত থেকে।
চাঁদার কারণে পরিবহন মালিক-শ্রমিক তো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেনই, খরচ সমন্বয় করতে গিয়ে দাম বাড়ছে নিত্যপণ্যেরও। সরাসরি এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হওয়া সাধারণ মানুষদের উদ্ধারে তাই সরকারকে কঠোর হতে হবে।
চিহ্নিত করে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া। সরকারের জন্য সহজ এবং সম্ভবও। কারণ, সরকার তথা র্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সকলকেই চেনে। তাদের সহজেই গ্রেফতার করা সম্ভব। এতটুকু সদিচ্ছা ও সক্রিয়তা অনেক দেরীতে হলেও সরকার শুরু করবে- এবার জনপ্রত্যাশা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ পবিত্র ২৬শে যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবাতে আযীমাহ শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ দিবসটির তাৎপর্য অনুধাবন গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরয-ওয়াজিব।
০৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক সাশ্রয় এবং অনেক সফলতার কৃতিত্বধারী বাপেক্সকেই ৬৯টি অনুসন্ধানকূপ খনন করার সক্ষমতা অর্জনে সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করা হোক
০১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সবজি ও ফলের রফতানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের একগুচ্ছ প্রস্তাব ৩০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী আয়ের এ খাতে সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতা করুন
৩০ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
১০ মিনিটে খোতবা ও জুমুয়াহর নামায শেষ করার নির্দেশ দিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টির প্রযুক্তি অর্জনকারী- আমিরাতের শাসকরা নামাজ ব্যবস্থাপনায় অবহেলা আর অবজ্ঞা দেখিয়ে তাদের ইহুদীবাদী মানসিকতারই প্রকাশ ঘটিয়েছে মুসলিম বিশ্বকেই জোরদার ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩০ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্ষায় রাস্তা খোড়াখুড়ির প্রবনতার পেছনে দুর্নীতির বিষয়টি আমলে নিতে হবে খোড়াখুড়ি করার নামে জনদুর্ভোগ আর বরদাশতযোগ্য নয়
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি যত্নশীল না হলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিপন্ন বলে আওয়াজ উঠবে। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধিতা করে কোনো মঞ্চ বা রাষ্ট্রযন্ত্র টিকে থাকতে পারবে না।
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গঃ ভেষজ উদ্ভিদ ও রফতানী
২৮ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাবারে এমনকী মায়ের দুধেও ঢুকছে প্লাষ্টিক কণা বিষয়টি ভয়াবহ- সত্ত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন
২৮ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
২৭ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত মুবারক এবং আখিরী যামানায় মুর্দা দিলের পূনরুজ্জীবন।
২৭ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৪৬ শতাংশ উদ্বৃত্ত থাকছে সক্ষমতার এক-তৃতীয়াংশই অব্যবহৃত অকারণে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির নামে রাষ্ট্রীয় মদদে লাখ লাখ কোটি টাকা লুট বরদাস্তযোগ্য নয়
২৬ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)