সড়কে এত মৃত্যু হার রাষ্ট্রের জন্য নাগরিক হত্যার অপরাধ ইসলামী অনুভূতির উজ্জীবনই সরকারকে হত্যার দায় থেকে রক্ষা করতে পারে
, ০৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ মে, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
এপ্রিল মাসে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৩২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ)। এই মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৫৮টি। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮৬৬ জন মানুষ।
দেশের সড়ক-মহাসড়ক কী ভয়াবহ মৃত্যুফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে- এর সাক্ষ্য দিচ্ছে খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআরটিএর তথ্য। তাদের তথ্যসূত্রের বরাত দিয়ে ১২ মে এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি মাসেই ছাড়িয়ে যাচ্ছে আগের মাসের মৃত্যুসংখ্যা!
সড়ক দুর্ঘটনা সব দেশেই কমবেশি হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশের মতো এই হার আর কোথাও এত ঊর্ধ্বমুখী কি না এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমরা জানি, সড়কে যানবাহন চলাচলের আইন আছে, পথচারীদের জন্যও আছে আইন। কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন নিয়েও প্রশ্ন আছে।
বিআরটিএর মতো দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটির মধ্যেও অনিয়ম-দুর্নীতি জেঁকে বসেছে। তারাও জবাবদিহির বাইরে থাকতে পারে না। আমরা মনে করি, সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর ক্ষেত্রে কোনোভাবেই তাদের দায়হীন থাকার অবকাশ নেই। পাশাপাশি আমরা এও মনে করি, শুধু নীতিবাক্য-সচেতনতাই নয়; শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়িত্বশীল আইন প্রয়োগকারীদের নির্মোহ ও কঠোর অবস্থান জরুরি। আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই, অবকাঠামোগত ত্রুটি-বিচ্যুতি সারাতে সময় লাগতে পারে, কিন্তু নীতিনৈতিকতার প্রতিফলন একই সঙ্গে আইনের বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপণ হবে কেন? সড়কের অপর নাম যেন মৃত্যুফাঁদ। প্রশ্ন হচ্ছে, এই মৃত্যুফাঁদ থেকে কি মুক্তি নেই? অনেক ক্ষেত্রে কোনো কোনো দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে স্পষ্টতই এও প্রতীয়মান হয়, এগুলোর অনেকটিই নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং বলা যায় কাঠামোগত হত্যাকা-। এমনটি চলতে পারে না।
সড়ক নিরাপত্তায় হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প, শত শত সুপারিশ, টাস্কফোর্স- কিছুই কাজে আসছে না।
যাদের অনিয়ম রোধ করার কথা, তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করে না বলেই দুর্ঘটনার আগে ত্রুটি ধরা পড়ে না। তদন্তেও গলদ থাকছে। যে তদন্ত কমিটি করা হয়, তাতে বিআরটিএ, পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, সওজ প্রতিনিধিরা থাকেন। ফলে সংস্থাগুলোর নিজেদের দায় কিংবা ঘাটতি তদন্তে উঠে আসে না। তাই তদন্তে কমিটি নয়, উন্নত দেশগুলোর মতো স্বাধীন কমিশন থাকা উচিত।
মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটলেও জড়িতদের উল্লেখ করার মতো কোনো শাস্তি হয়নি। শাস্তি হলেও সেটা সীমাবদ্ধ ছিল চালক ও হেলপারের মধ্যে।
কিন্তু যাদের গাফেলতিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়নি।
এর বড় কারণ দুর্ঘটনার পর গঠন করা তদন্ত কমিটিগুলো।
সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি হলেও সেগুলো স্বাধীন নয়, তদন্ত কমিটি করা হয়, তাতে বিআরটিএ, পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, সওজ প্রতিনিধিদের। যেখানে কিনা তারাই এই নিরাপত্তা ঘাটতির জন্য দায়ী।
কমিটিতে কোন সেফটি বিশেষজ্ঞরা থাকেন না। এ কারণে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ যেমন উঠে আসে না, তেমনি কমিটির সুপারিশও বাস্তবায়নও হয় না।
সব মিলিয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সংস্থাগুলোর নিজেদের দায় কিংবা ঘাটতি তদন্তে উঠে আসে না।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে যদি হাইওয়ে পুলিশের সদস্য, বিটিআরসির লোক নিয়ে কমিটি হয় তাহলে কেমন তদন্ত হবে?
এসব পদক্ষেপ তখনই স্বচ্ছ ও সফল হবে কিংবা নিয়মনীতি মানার প্রবণতা তখনই সম্ভব হবে যখন ব্যক্তিপর্যায়ে মানুষের উচ্ছৃঙ্খল মনোবৃত্তির পরিবর্তন ঘটবে, চালক ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে দায়িত্বশীলতার উপলব্ধি উদয় হবে। আর দায়িত্বশীলতার অনুভূতি তখনই হবে যখন তাদের মধ্যে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার হাক্বীকী সমঝ আসবে। তারা হক্কুল ইবাদ এর ইলম ও আমল দ্বারা অনুশীলিত হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার বিশাল নথিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখলদার ১ লাখ ৬০ হাজার নাম এসেছে শুধু নাম সর্বস্ব না করে বনভূমি উদ্ধারের বাস্তব নজীর চাই
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফুটপাতের প্রান্তিক হকারদের কাছ থেকে অসৎ ও লুটেরা মহল প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করছে শত শত কোটি টাকা; অথচ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ অর্থ দিয়ে বারবার উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসন সম্ভব; অন্যদিকে এই অর্থ যোগ হতে পারে জাতীয় অর্থনীতিতে। সরকারের আশু নজর কাম্য।
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)