স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত সালাম মুবারক জানিয়েছেন
, ০৭ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৬ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১৪ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
قَالَ حَضْرَتْ اَبُوْ جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِـىٍّ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ اَجْلَسَنِـىْ جَدِّىَ الْـحُسَيْنُ بْنُ عَلِـىٍّ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ فِـىْ حِجْرِهٖ وَقَالَ لِـىْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقْرِئُكَ السَّلَامُ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, একদা (আমি স্বপ্ন মুবারক-এ দেখলাম) আমার মহাসম্মানিত দাদাজান সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আযহার মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কোল মুবারক-এ) নিয়ে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনাকে সম্মানিত সালাম মুবারক জানিয়েছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (তারীখে দিমাশক্ব ৫৪/২৭৬)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِـىٍّ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ قَالَ اَتَانِـىْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ وَاَنَا فِـى الْكِتَابِ فَقَالَ لِـىْ اِكْشِفْ عَنْ بَطْنِكَ فَاَلْزَقَ بَطْنَهٗ بِبَطْنِـىْ وَقَالَ لِـىْ اَمَرَنِـىْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنْ اَقْرَئُكَ السَّلَامُ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, একদা আমি সম্মানিত কিতাব মুবারক পাঠ করছিলাম। এমতাবস্থায় বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি আমার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এসে আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আপনি আপনার সম্মানিত ও পবিত্র পেট মুবারক থেকে আপনার সম্মানিত ও পবিত্র কাপড় মুবারক সড়িয়ে নিন। তারপর তিনি উনার সম্মানিত পেট মুবারক উনাকে আমার সম্মানিত ও পবিত্র পেট উনার সাথে লাগিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! আর তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন যে, আমি যেন উনার পক্ষ থেকে আপনাকে সম্মানিত সালাম মুবারক জানাই। ” সুবহানাল্লাহ! (তারীখে দিমাশক্ব ৫৪/২৭৬)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِى الزُّبَيْرِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ كُنَّا عِنْدَ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ فَدَخَلَ عَلَيْهِ حَضْرَتْ عَلِـىُّ بْنُ الْـحُسَيْنِ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ وَمَعَهُ ابْنُهٗ فَقَالَ حَضْرَتْ جَابِرٌ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ مَنْ هٰذَا يَا بْنَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ابْنِـىْ حَضْرَتْ مُحَمَّدٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَضَمَّهٗ حَضْرَتْ جَابِرِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اِلَيْهِ وَبَكٰى ثُـمَّ قَالَ اِقْتَرَبَ اَجْلِـىْ يَا حَضْرَتْ مُحَمَّدُ عَلَيْهِ السَّلَامُ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقْرِئُكَ السَّلَامُ فَسَئَلَ وَمَا ذَاكَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ لِـحَضْرَتْ الْـحُسَيْنِ بْنِ عَلِـىٍّ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ اِنَّهٗ يُوْلَدُ لِابْنِـىْ هٰذَا ابْنٌ يُقَالُ لَهٗ عَلِـىُّ بْنُ الْـحُسَيْنِ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ وَهُوَ سَيِّدُ الْعَابِدِيْنَ اِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ يُنَادِىْ مُنَادٍ لِّيَقُمْ سَيِّدُ الْعَابِدِيْنَ فَيَقُوْمُ حَضْرَتْ عَلِـىُّ بْنُ الْـحُسَيْنُ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ وَيُوْلَدُ لِـحَضْرَتْ عَلِـىِّ بْنِ الْـحُسَيْنِ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ اِبْنٌ يُقَالُ لَهٗ حَضْرَتْ مُحَمَّدٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ اِذَا رَاَيْتَهٗ يَا حَضْرَتْ جَابِرُ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ فَاقْرَئْهُ مِنِّـى السَّلَامُ يَا حَضْرَتْ جَابِرُ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اِعْلَمْ اَنَّ الْـمَهْدِىَّ مِنْ وَّلَدِهٖ وَاعْلَمْ يَا حَضْرَتْ جَابِرُ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ بَقَاءَكَ بَعْدَهٗ قَلِيْلٌ
অর্থ: “হযরত আবূ যুবাইর রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, একদা আমরা বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেসহ সেখানে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক রাখলেন। সুবহানাল্লাহ! তখন হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, হে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম! ইনি কে? জবাবে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তিনি হচ্ছেন আমার মহাসম্মানিত আওলাদ হযরত মুহম্মদ (বাক্বির) আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। সুবহানাল্লাহ! তখন হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লøাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উনার সম্মানিত বক্ষ মুবারক উনার সাথে জড়িয়ে নিলেন এবং কান্না মুবারক করতে লাগলেন। তারপর তিনি বললেন, হে ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার সম্মানিত ইন্তেকাল মুবারক ঘনিয়ে এসেছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনাকে সম্মানিত সালাম মুবারক জানিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি বললেন, সেটা কিভাবে? হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি সরাসরি (আমার নিজ কান মুবারক-এ) শুনেছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেছেন, নিশ্চয়ই আমার এই মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার একজন মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করবেন। সুবহানাল্লাহ! উনাকে ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আলী (আওসাত্ব) ইবনে হুসাইন আলাইহিস সালাম’ বলা হবে। তিনি হচ্ছেন ‘সাইয়্যিদুল ‘আবিদীন অর্থাৎ সম্মানিত আবিদগণ উনাদের সাইয়্যিদ’। সুবহানাল্লাহ! ক্বিয়ামতের দিন একজন সম্মানিত ঘোষক সম্মানিত ঘোষণা মুবারক দিবেন, যিনি সাইয়্যিদুল ‘আবিদীন আলাইহিস সালাম রয়েছেন, তিনি যেন দয়া করে দ-ায়মান হন। সুবহানাল্লাহ! তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত দ-ায়মান হবেন। সুবহানাল্লাহ! আর ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একজন মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করবেন, উনাকে ‘সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ (বাক্বির) আলাইহিস সালাম’ বলা হবে। সুবহানাল্লাহ! হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! আপনি যখন উনাকে দেখবেন, তখন আপনি আমার পক্ষ থেকে উনাকে সম্মানিত সালাম মুবারক জানাবেন। সুবহানাল্লাহ! হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! আপনি আরো জেনে রাখুন যে, নিশ্চয়ই হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত বংশধর হবেন। সুবহানাল্লাহ! আর হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! নিশ্চয়ই উনার সম্মানিত দীদার মুবারক লাভ করার পর আপনি অল্প সময়ই দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (তারীখে দিমাশক ৫৪/২৭৭)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! আপনি আমার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আবী তালিব আলাইহিমুস সালাম উনাকে (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা উনাকে) দেখা পর্যন্ত হায়াত মুবারক-এ থাকবেন, (দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করবেন)। উনার সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক সম্মানিত তাওরাত শরীফ-এ ‘সাইয়্যিদুনা হযরত বাক্বির আলাইহিস সালাম’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। যখন উনার সাথে আপনার সাক্ষাৎ মুবারক হবে, তখন উনাকে আমার পক্ষ থেকে সম্মানিত সালাম মুবারক জানাবেন। ” সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ মুতাবিক হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি দীর্ঘ দিন হায়াত মুবারক-এ ছিলেন। একদিন তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বাড়ী মুবারক-এ এসে ইমামুল খামিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অল্প বয়স মুবারক-এ দেখলেন এবং উনার সম্মানিত চেহ্রা-ছূরত মুবারক, হাটা-চলা মুবারক ভালোভাবে লক্ষ্য করে বললেন, সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার রব মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আপনাকে দেখতে হুবহু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুরূপ। সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কে? সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তিনি আমার মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি আমার পরে সম্মানিত ইমাম হবেন। সুবহানাল্লাহ! সাথে সাথে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উঠে দাঁড়ালেন এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খামিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ক্বদম মুবারক-এ বুছা দিয়ে বললেন, হে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম! আপনার জন্য আমার জীবন মুবারক কুরবান হোক। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনাকে সম্মানিত সালাম মুবারক দিয়েছেন। দয়া করে আপনি তা গ্রহণ করুন। সুবহানাল্লাহ! এ কথা মুবারক শুনে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খামিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুনাওওয়ার মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চক্ষু মুবারক) অশ্রুশিক্ত হয়ে গেলেন। তিনি অনেক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করলেন (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কান্না মুবারক করলেন) এবং বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ অনন্তকাল যাবৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত এবং সালাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! আর আপনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সালাম মুবারক আমার নিকট পৌঁছে দেয়ার কারণে আপনাকেও সালাম। সুবহানাল্লাহ!
তাহলে এই সকল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মাধ্যমেই দিবালোকের অত্যন্ত সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খামিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল। যেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকালের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! এক কথায় তিনি শুধু যিনি খ্বাালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
এজন্যই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ اِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ اِنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ
অর্থ: “ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলিম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ অর্থাৎ বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন। ” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর ৬/৬০৬, তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)
খ্বাালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়ি-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উপলব্ধি করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত যায়িদ বিন হারেছাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বেমেছাল মুহব্বত মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৪)
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক উনার গুরুত্ব এবং আবশ্যকতা
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৩)
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)