ভাষা শিক্ষা:
সৃষ্টির ইতিহাসে এই প্রথম আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুদরত মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক বর্ণনা (৫)
, ১২ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১০ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “ইস্তাওয়া হচ্ছেন এক বিষয়। আর কুদরত মুবারক হচ্ছেন সরাসরি অজুদ মুবারক উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত বিষয়। আর এই কুদরত মুবারক উনার অর্থটা মহান আল্লাহ পাক উনি সরাসরি বাংলায়ই বলেছেন- নিয়ন্ত্রিত আমার দ্বারা। আর আরবীটা বলেছেন, ঐ আয়াত শরীফ-
[قَدَّرَ فَـهَدٰى} [اَلْاَعْلَى: ৩}
‘ক্বদ্দারা’ মানি এখানে তাক্বদীর শব্দ দিয়ে হেদায়াত দিয়েছেন। অর্থাৎ সব নিয়ামত দিয়েই সৃষ্টি করেছি। অর্থাৎ নূর মুবারক উনার কোনো ছূরত মুবারক নেই। সরাসরি অজুদ মুবারক, নূর মুবারক এনে স্থাপন করেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
আর
{قَدَّرَهٗ تَــقْدِيْــرًا} [اَلْفُرْقَانُ: ২]
এটা একই কথা। এই আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে অনেক কিছু লেখে। আসলে এগুলো ওদের ভাষাগত দিক দিয়ে বর্ণনা। কিন্তু হাক্বীক্বত হলো- তাক্বদীরে সব ফায়ছালা করে দেয়া হয়েছে অর্থাৎ সমস্ত নেয়ামত যা কিছু আছে সমস্ত কিছুর মালিকানা সব দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে স্থাপন করেছেন। তখন কিছুই ছিলো না, ফাঁকা। তারপর ওখান থেকে নূর মুবারক নিয়ে ধাপে ধাপে সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এই সৃষ্টির যে বিষয়টা, এই বিষয়টাও সরাসরি মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে দেখিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা তো মানুষ বুঝবে না। এখন যদি বলো মানুষের ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। (না‘ঊযু বি মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) তাহলে সব বলাও মুশকিল। মহান আল্লাহ পাক উনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করলেন, আনলেন, এটা আমাকে দেখালেন। কিভাবে দেখালেন? এটা তো মানুষ বুঝবে না। উনি তো দেখিয়েছেন আমাকে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এখন শুনো, ফিকির করো। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, পরে করলে আমি জওয়াব দিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ। কোনো অসুবিধা নেই। এখন এগুলো মানুষের বুঝের বাহিরে। এগুলো ভাষা দিয়ে সবটা প্রকাশ করা যায় না। এই যে আমি বলেছি। যে কালিমা শরীফ লেখা আছে-
لَا اِلـٰــهَ اِلَّا اللهُ
এরপরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক
مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ
পাশাপাশি। কিন্তু একজনের ভিতরে আরেকজন না। মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে উনি জুদাও না, আবার মহান আল্লাহ পাক উনার ভিতরেও না। কিন্তু পাশাপাশি।
এগুলো তো মানুষ বুঝবে না। এখন যারা শুনছে, এদের অনেকে হয়তো বুঝে নাই। বুঝবে না। এটা ফিকির করতে হবে। আর যদি তোমাদের কোনো প্রশ্ন থাকে, পরে জিজ্ঞাসা করলে আমি বলে দিবো ইনশাআল্লাহ। কিন্তু ভাষা দিয়ে বুঝানো অত্যান্ত কঠিন।
এখন শেষ যে কথাগুলো, এগুলো মহান আল্লাহ পাক উনার নিজের বক্তব্য। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যখন যাহির করা হলো উনি পাশে অবস্থান করতেছেন। উনার অজুদ মুবারক, কুদরত মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
বিষয়টা মানুষের আক্বীদাহর সাথে সম্পৃক্ত। কেউ প্রশ্ন করতে পারে যে, আপনি দেখলেন কিভাবে? আমাকে দেখানো হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এখানে অনেক প্রশ্ন আছে। সব প্রশ্ন দরকার নেই। এখন ফিকির করো সবাই কতটুকু বুঝতে পেরেছো । বুঝতে পেরেছো? হ্যাঁ? এটা ফিকির করতে হবে। বার বার শুনতে হবে এটা। রেকর্ডটা শুনো বার বার। এরপর যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, প্রশ্ন করলে আমি জওয়াব দিবো। ইনশাআল্লাহ!
এখানে আগেই আমি একটা প্রশ্ন বলতে পারি এবং জওয়াবও দিতে পারি। সেটা হলো- অনেকে বলতে পারে- তখন কিছু ছিলো না, তাহলে আপনি ছিলেন কোথায়? আপনি দেখলেন কিভাবে?
এক গোলামের উক্তি: ‘মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনি কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন।’
এটা আমি আগেই বলে দিলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এটা মহান আল্লাহ পাক তিনি দেখিয়েছেন। দেখা তো সম্ভব ছিলো না। এটা একটা কঠিন বিষয়। কুদরত তো আর মানুষ বুঝে নি। তবে শেষের বক্তব্য-কথাগুলি, হুবহু মহান আল্লাহ পাক উনার। উনি সরাসরি স্পষ্টভাবে বলেছেন। সমস্ত নেয়ামত মুবারকসহ যে নূর মুবারক যাহির করলেন, সেই বিষয়টা বা হাক্বীক্বতটা আমাকে স্পষ্ট দেখিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৭)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)