সুন্নতী বৈবাহিক জীবনের রূপরেখা (২য় পর্ব)
, ১৭ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৮ ছানী ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৮ মে, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ বৈশাখ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
বিবাহের দ্বারা রিযিক বৃদ্ধি পায়
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি-রেযামন্দী মুবারক হাছিল অর্থাৎ নিজের চরিত্রকে পূত-পবিত্র রাখার নিমিত্তে যারা বিবাহ করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের রিযিক বৃদ্ধি করে দেন। সুবহানাল্লাহ!
হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন-
جَاءَ رَجُلٌ اِلَـى النَّبِـيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشْكُوْ اِلَيْهِ الْفَاقَةَ فَأَمَرَه اَنْ يَّتَزَوَّجَ
অর্থ: একদা এক ব্যক্তি মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে হাযির হয়ে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার দারিদ্রতা দূরীভুত হচ্ছে না। তিনি উনাকে বললেন, আপনি বিবাহ করুন। তাহলে দারিদ্রতা দূরীভুত হবে। সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে তাবারী-৯/৩১১, দুররে মানছুর-৬/১৭৩, মুছান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, তারিখে বাগদাদ-১/৩৬৫, কাশফুল খাফা-১/২০২)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
اِلْتَمِسُوا الرِّزْقَ بِالنِّكَاحِ
অর্থ: তোমরা বিবাহের দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট রিযিক তালাশ করো। (দাইলামী শরীফ-১৭/২৭৫)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
تَزَوَّجُوْا فُقَرَاءَ يُغْنِكُمُ اللهُ
অর্থ: হে দরিদ্রগণ! তোমরা বিবাহ করো। মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে সম্পদশালী করবেন। সুবহানাল্লাহ!
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
تَزَوَّجُوْا النِّسَاءَ فَاِنَّـهُنَّ يَاْتِيَنَّكُمْ بِالْـمَالِ
অর্থ: তোমরা মেয়েদেরকে বিবাহ করো। কেননা, তারা অবশ্যই তোমাদের নিকট মাল-সম্পদ নিয়ে আসবে। সুবহানাল্লাহ! (আল মাকাসিদুল হাসানা-১০৮, কাশফুল খাফা-১/২০৩)
রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন-
رَغَّبَهُمُ اللهُ فِـى التَّزْوِيْجِ وَاَمَرَ بِهِ الْاَحْرَارَ وَالْعَبِيْدَ وَوَعَدَهُمْ عَلَيْهِ الْغَنِـىَّ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে (বান্দা) বিবাহ করার ব্যাপারে তারগীব বা উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি স্বাধীন ও গোলামগণকে বিবাহ করার আদেশ দিয়েছেন। আর তিনি তাদেরকে মাল-সম্পদ দানের ওয়াদা করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে তাবারী-১৭/২২৫)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنْ يَّكُوْنُوْا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللهُ مِنْ فَضْلِهٖ
অর্থ: যারা নেককার-পরহেযগার তারা যদি দরিদ্র হয় তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সম্পদশালী করবেন। সুবহানাল্লাহ! (সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)
হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন-
اَطِيْعُوا اللهَ فِيْمَا اَمَركَمْ بِه مِنَ النِّكَاحِ يَنْجِزُ لَكُمْ مَّا وَعَدَكُمْ مِّنَ الْغَنِـىِّ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি বিবাহের ব্যাপারে যা আদেশ মুবারক করেছেন তোমরা তার অনুসরণ (বাস্তবায়ন) করো। তিনি তোমাদেরকে ধন-সম্পদে প্রাচুর্যতার যে ওয়াদা করেছেন তা তিনি পূর্ণ করবেন। সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে হাতিম)
নেককার আল্লাহওয়ালী আহলিয়া (স্ত্রী) শ্রেষ্ঠতম সম্পদ
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয় বান্দাগণকে যত নিয়ামত দান করেছেন তন্মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিয়ামত হচ্ছেন দ্বীনদার, পরহেযগার, আল্লাহওয়ালী আহলিয়া বা স্ত্রী।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَلدُّنْيَا كُلُّهَا مَتَاعٌ وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا اَلْمَرْأَةُ الصَّالِـحَةُ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- দুনিয়ার সবটাই সম্পদ। আর শ্রেষ্ঠতম সম্পদ হচ্ছেন দ্বীনদার-পরহেযগার আহলিয়া বা স্ত্রী। (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
একদা কতিপয় ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বলাবলি করতে লাগলেন-
لَوْ عَلِمْنَا أَىُّ الْمَالِ خَيْرٌ فَنَتَّخِذَه فَقَالَ أَفْضَلُه لِسَانٌ ذَاكِرٌ وَقَلْبٌ شَاكِرٌ وَزَوْجَةٌ مُّؤْمِنَةٌ تُعِيْنُه عَلٰى إِيـمَانِه
অর্থ: যদি আমাদেরকে জানানো হতো, কোন সম্পদ শ্রেষ্ঠ ও উত্তম, তাহলে আমরা তা সঞ্চয় বা জমা করতাম। তখন মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যিকিরকারী জিহ্বা বা যবান, শোকরগোজার অন্তর এবং নেককার অর্থাৎ প্রকৃত মু’মিনা আহলিয়া বা স্ত্রী। যিনি আহাল -স্বামীকে দ্বীনদারীর ক্ষেত্রে সহায়তা করে থাকেন। (ইবনে মাজাহ শরীফ, তিরমিযী শরীফ)
যারা বিবাহের সামর্থ রাখে না তাদের জন্য রোযা রাখা সুন্নত
নিকাহ বা বিবাহের অন্যতম উদ্দেশ্য, পুতঃপবিত্র জীবন যাপন করা। পরহেযগার -মুত্তাক্বী হওয়া। কেননা সর্বাধিক পরহেযগার বা মুত্তাক্বী ব্যক্তিই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সর্বাধিক প্রিয়- মাহবূব।
রোযার দ্বারাও সেই উদ্দেশ্য-লক্ষ্য সাধিত হয়। তাছাড়া রোযার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গভীর নৈকট্য, কুরবত তায়াল্লুক-নিছবত পয়দা হয়। কাজেই যারা নিকাহ বা বিবাহ করতে সামার্থবান নয় তারা রোযার দ্বারা সেই উদ্দেশ্য সাধন করতে পারেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ لَّـمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَاِنَّه لَه وِجَاءُ
অর্থ: যে যুবক বিবাহ করার সামর্থ্য রাখেনা তার উচিত রোযা রাখা। কেননা, রোযার দ্বারা পবিত্রতা হাছিল হয়। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
বিবাহের পূর্বে বরকে ও কনেকে পবিত্র শরীয়তসম্মত পন্থায় দেখা সুন্নত মুবারক
বিবাহ মানব জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আগামী দিনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না এ সময়ই রচিত হয়। এমনকি জান্নাত ও জাহান্নামের রাস্তা খুলে যায়। তাইতো কবি যথার্থ বলেছেন-
زن نیک و پارسہ فرماں بود کند مرد درویش را پادشہ
زن بد در سرائی مرد نکوں ھم دریں عالم است دوزخ او
অর্থ: নেককার স্ত্রী গরীব স্বামীকে বাদশাহ বানায়। আর বদকার স্ত্রীর কারণে নেককার ব্যক্তির দুনিয়াটা জাহান্নামে পরিনত হয়। নাউযুবিল্লাহ্!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الدُّنْيَا كُلُّهَا مَتَاعٌ، وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا اَلْمَرْأَةُ الصَّالِـحَةُ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়লা আনহু তিনি বলেন, মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, দুনিয়ার সবটাই সম্পদ। তবে শ্রেষ্ঠতম সম্পদ হচ্ছে নেককার, পরহেযগার, আল্লাহ্ওয়ালী আহলিয়া বা স্ত্রী। সুবহানাল্লাহ্! (মুসলিম শরীফ)
নেককার, পরহেযগার, আল্লাহওয়ালী আহলিয়া বা স্ত্রী দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম সম্পদ। যারা নেককার, পরহেযগার আল্লাহওয়ালী আহলিয়া বা স্ত্রী লাভ করতে পারে তারা অবশ্যই সৌভাগ্যবান। তাই নিকাহ্ বা বিবাহ করার পূর্বে ছেলে মেয়েকে এবং মেয়ে ছেলেকে পবিত্র শরীয়ত সম্মত পন্থায় দেখা সম্মানিত দ্বীন ইসলামে সুন্নত স্বীকৃত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হযরত আবু হুরায়রাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একদিন আমি মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে বসা ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি উনার খিদমত মুবারকে হাযির হলেন। সেব্যক্তি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্! ইয়া হাবীবাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!!
فَأَخْبَرَه أَنَّه تَزَوَّجَ اِمْرَأَةَ مِّنَ الْأَنْصَارِ. فَقَالَ لَه رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْظَرْتَ إِلَيْهَا ؟ قَالَ لَا قَالَ فَاذْهَبْ فَانْظُرْ إِلَيْهَا، فَإِنَّ فِـيْ أَعْيُنِ الْأَنْصَارِ شَيْئًا
অর্থ: আমি আনসারী একজন মেয়েকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিয়েছি। মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি কি তাকে দেখেছেন? তিনি বললেন, না। আমি তাকে দেখিনি। মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, বিবাহের পূর্বে উনাকে দেখে নিন। কেননা, আনসারীগণের (কোন কোন লোকের) চোখ ত্রুটিযুক্ত (লাল চোখ বিশিষ্ট) হয়ে থাকে। (মুসলিম শরীফ)
উল্লেখ্য যে, মানুষ মাত্রই কিছু না কিছু ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে বিবাহের পূর্বে তা দেখে নিলে পরবর্তীতে ফিতনা-ফাসাদ মুক্ত থাকা সহজ ও সম্ভব হয়। আর তা আহাল-আহলিয়ার মাঝে মুহব্বতের কারণ হয়। মুহব্বত বৃদ্ধি পায়। সুসম্পর্ক সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না। অন্যথায় উত্তরকালে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এমনকি তা বিচ্ছেদের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত মুগীরা ইবনে শো’বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন-
خَطَبْتُ اِمْرَأَةً، فَقَالَ لِـيْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهِ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْظَرْتَ إَلَيْهَا ؟ قُلْتُ لَا، فَقَال اُنْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّه أَحْرٰى أَنْ يَّؤَدِّمَ بَيْنَكُمَا.
অর্থ: আমি একজন মেয়েকে বিবাহের প্রস্তাব করলাম। বিষয়টি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে পৌঁছে গেল। তিনি আমাকে বললেন, আপনি কি উনাকে দেখে নিয়েছেন? আমি বললাম,না, আমি উনাকে দেখিনি। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনি উনাকে দেখে নিন। কেননা, ইহা (পরে) আপনাদের উভয়ের মধ্যে অধিক মুহব্বতের কারণ হবে। (মুসনাদে আহমাদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসায়ী শরীফ, ইবনে মাজাহ্ শরীফ, দারিমী শরীফ)
অথচ মানুষ এক্ষেত্রে ছল-চাতুরীর আশ্রয় নেয়। নাউযুবিল্লাহ! যার ফলশ্রুতিতে বিবাহের পরবর্তী জীবনে অশান্তির ছায়া নেমে আসে।
উল্লেখ্য যে, পবিত্র সুন্নত মুবারক পালনে কামিয়াবী, পবিত্র সুন্নত মুবারক পালনে কল্যাণ, বরকত। পবিত্র সুন্নত মুবারক পালনে সুখ-শান্তি। আর তার বিপরীতে রয়েছে, ফিতনা-ফাসাদ, অশান্তি, দুরাচার, অনাচার, ধ্বংস ও ক্ষতি।
হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمْ الْمَرْأَةَ فَإِنْ اِسْتَطَاعَ أَنْ يَّنْظُرَ إِلٰى مَا يَدْعُوْهُ إِلٰى نِكَاحِهَا فَلْيَفْعَلْ
অর্থ: যখন আপনাদের কেহ কোন মেয়েকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়, তখন যদি তার পক্ষে তার এমন (জায়িয) অঙ্গ দেখা সম্ভব হয় যা তাকে বিবাহের দিকে উদ্বুদ্ধ করে, তাহলে সে যেন তা দেখে নেয়। (আবু দাউদ শরীফ) (চলবে)
-আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নছীহত মুবারক:
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (২)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৮)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শিরক কি? শিরক সম্পর্কে আলোচনা
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শোকরগোযারী দ্বারা নিয়ামত বৃদ্ধি পায় শোকর গোযার না করলে নিয়ামত বন্ধ হয়
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিরক কি? শিরক সম্পর্কে আলোচনা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শোকরগোযারী দ্বারা নিয়ামত বৃদ্ধি পায় শোকর গোযার না করলে নিয়ামত বন্ধ হয়
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শিরক কি? শিরক সম্পর্কে আলোচনা
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
“মানুষের পেট কবরের মাটি ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা পূর্ণ হবে না”
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পুরুষদের ন্যায় মহিলাদেরও দ্বীনী তা’লীম গ্রহণ করা ফরযে আইন
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জন্মের তৃতীয় মাসে যে বিষয়গুলো লক্ষণীয়
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জমিনে ফিতনা-ফাসাদের বড় একটা কারণ বেপর্দা-বেহায়া নারী
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)