সিন্ডিকেট নির্মূলে সরকারের ব্যার্থতা বরদাশতের বাইরে সিন্ডিকেট নির্মূলে মন্ত্রীদের সমন্বিত ব্যবস্থা নিতে হবে টিসিবির প্রভাব বিস্তার করতে হবে
, ২৭ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৪ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ১২ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৭ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
দেশের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই বাজারে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের রেকর্ড দাম বেড়েছে, যা দেশের ইতিহাসে আগে কখনও দেখা যায়নি।
বাজার সিন্ডিকেটের কারণেই আজ ক্রেতার নাভিশ্বাস। এ সিন্ডিকেটই খেয়ে ফেলছে দেশের মানুষের বাজারের টাকা। দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধি বা হাতেগোনা দুয়েকটি পণ্যের সরবরাহ সঙ্কটের কারণে ওইসব পণ্যের দাম বাড়ছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। বাকি ৮০ শতাংশ দাম বাড়ছে বাজার সিন্ডিকেটের কারণে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে গেলে পণ্যের সংকট দেখা দেবে।’ পরে তিনি বলেছেন, আইন করে পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ তাহলে কীভাবে সম্ভব? আর বাজার তদারকি করবেই-বা কে?
দেশে ভোগ্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। বাজারে পণ্যের নির্ধারিত দামের বিষয়টি তদারকি করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। এ ছাড়া কৃষি অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও বাজার নিয়ন্ত্রণে নজরদারি করে থাকে। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণে এসব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বলতে কিছু নেই। ফলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
অভিজ্ঞমহল মনে করেন, ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ নিয়ে যে আইন রয়েছে সেটা মূলত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইন। এতে পরিষ্কার বলা আছে, ভোক্তার স্বার্থে বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বাজার তদারকি করার জন্য পৃথক একটি কাউন্সিল আছে। এই কাউন্সিলের প্রধান হচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাজার তদারকিতে আইনের কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে এর বাস্তবায়নে।
প্রতিবেশী দেশে রেল ভাড়া কিংবা জিনিসপত্রের দাম বাড়লে মন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে হয়। তাদের পদত্যাগের জোরালো দাবি ওঠে। পদত্যাগ করার উদাহরণও আছে। আমাদের দেশে পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়লেও মন্ত্রীদের টনক নড়ে না। বরং তারা উল্টো সাফাই গাইতে থাকেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী গত বুধবার সচিবালয়ে তার নির্বাচনী এলাকার মানুষদের নিয়ে সাফাই গাইতে গিয়ে বলেন, ‘সেখানকার লোক কষ্টে নেই। নারীরা দিনে তিনবার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে। চারবার করে স্যান্ডেল বদলাচ্ছে।’ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জাঁতাকলে সাধারণ মানুষ যখন পিষ্ট, তখন মন্ত্রীর এ রকম বেফাঁস মন্তব্য মশকরা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে শুধু বাণিজ্যমন্ত্রী কথা বলে। কিন্তু এমনকি মেয়র তাপসও গত পরশু সিন্ডিকেট নির্মূলে বাণিজ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেই কথা বলেছে। ‘সব পণ্যই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়। যেগুলো আমদানি করা হয়, সেগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে। সয়াবিন তেল, চিনি এগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে। এসব পণ্য তদারকিতে দুর্বলতা আছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আবার পেঁয়াজ নিয়ে বিতর্ক আছে। বেশির ভাগ পেঁয়াজ দেশে উৎপাদন করা হয়। কিছু আমদানি হয়। প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, পণ্যভিত্তিক আলোচনা করলে ভালো হয়। ঢালাওভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করা ঠিক নয়।’
আমরা আরো মনে করি, আমদানির অনুমতি দিলেই বাজার ঠিক হয়ে যাবে- এ ধারণা ঠিক নয়। কারণ আমদানি করার জন্য সময় লাগে। সব ব্যবসায়ী পণ্য আনবেন না। আবার আমদানি করলে যেসব পণ্য দেশে উৎপন্ন হয়, তারা বাধা দেয়। কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদের স্বার্থ দেখে। পেঁয়াজ সবাই আনবে না। কারণ পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। কাজেই বাজার নিয়ন্ত্রণে একা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিছু করতে পারবে না। পণ্যভেদে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব নিতে হবে এবং পরস্পরের মধ্যে জোরালো সমন্বয় থাকতে হবে বলে আমরা মনে করি।
কিন্তু মূল্যস্ফীতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী যেভাবে অতিমুনাফার লোভে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাতে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে।
কিছু পণ্য আছে যেমন চাল, আটা, তেল, চিনি- এগুলোর বাজার শক্তভাবে তদারকি করতে হবে। কারণ এখানে সিন্ডিকেট রয়েছে। আমরা মনে করি, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অর্থনীতির বাইরে নয়। সামষ্টিক অর্থনীতির দুর্বলতার কারণেই সবকিছুতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। ডলার সংকট চলছে। এসব বিষয়ে নজর দিতে হবে। অর্থনীতি স্থিতিশীল হলে অন্য সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ মুহূর্তে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বেশি জরুরি বলে আমরা মনে করি।
আমরা মনে করি, সরকার বিভিন্ন উপায়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সরকারের হাতে অনেক পন্থা আছে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার। সরকার বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্দিষ্ট করে দিতে পারে এবং সেই মূল্যে যেন সঠিকভাবে পণ্য কেনাবেচা হয় কঠোর নজরদারির মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করতে পারে। আইনভঙ্গের জন্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও শাস্তির বিধান করতে পারে। মজুতদারি সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে যেন বাজার কোনোভাবেই প্রভাবিত হতে না পারে তার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা এবং পরিধি বাড়াতে পারে।
এ ছাড়া সরকারের হাতে রয়েছে টিসিবির মতো প্রতিষ্ঠান। টিসিবিকে ব্যবহার করে সরকার বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে। চাহিদার ৩০-৪০ শতাংশ সরবরাহ করতে না পারলে টিসিবি বাজারকে প্রভাবিত করতে পারবে না। এ ছাড়া খোলাবাজারে পণ্য বিক্রিও বাজার প্রভাবিত করার একটি বড় হাতিয়ার। এ জন্য ওএমএসের পরিধি আরও বাড়াতে হবে। মূলত: সবার আগে দরকার সদিচ্ছা, সততা আর সক্রিয়তা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যাংক গ্রাহকদের খালি হাতে বা নাম মাত্র অর্থে ফেরানো যাবে না কথিত অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিশ্চয়তার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশ্বে জ্বালানীর দাম এমনেই কমছে পাশাপাশি শুধুমাত্র কাঠামো সংস্কারই ১৫ টাকা কমানো সম্ভব হলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না কেন অন্তর্বর্তী সরকার? জ্বালানী তেলের দাম কমালে দ্রব্যমূল্যের দাম সহজেই কমবে
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)