সম্পাদকীয়-২
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ অবিলম্বে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাঁচতে হলে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই পাওয়া যাবে প্রকৃত নিরাপত্তা ও সফলতা ইনশাআল্লাহ
, ১২ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ২৮ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
দরিদ্রদের আয় বাড়াতে সরকার সামাজিক নিরাপত্তামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আয়ের উৎস সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখতে কাজ করছে এই কর্মসূচি। এ কর্মসূচিতে প্রতি বছর বরাদ্দের অংক বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে সুবিধাভোগীর সংখ্যাও। তারপরও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বড় অংশ এখনো সামাজিক সুরক্ষার বাইরে রয়ে গেছে। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) তথ্যমতে, দরিদ্রদের প্রায় ৭১ শতাংশ এখনো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বাইরে রয়েছে। তথ্যমতে, দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ। এসব মানুষের মাত্র ২৯ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় রয়েছে। বাকি ৭১ শতাংশই রয়েছে এর বাইরে।
২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে সমাজের চরম দরিদ্র ও সর্বাধিক ঝুঁকিগ্রস্তদের অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করলেও মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা বলছে, এই খাতে সরকার যে বরাদ্দ দিচ্ছে তা দরিদ্র মানুষের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। শুধু তাই নয়, সুশাসনের অভাব এবং রাজনৈতিক দোষে দুষ্ট হওয়ায় এসব কর্মসূচির সুফলও পাচ্ছে না অনেক প্রকৃতজন, পাচ্ছে চিহ্নিত কিছু মানুষ। এ কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ইস্যুতে সরকারের সদিচ্ছা।
প্রসঙ্গত, কোনো ধরনের নীতিমালা ও সুসংহত কাঠামোগত কার্যকর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও জবাবদিহিতা না থাকায় বর্তমান সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটি লুটপাটের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতাভোগী ও গ্রামীণ শক্তি কাঠামো নিজেদের কায়েমি স্বার্থ পূরণে সামাজিক নিরাপত্তাকে ব্যবহার করছে। যার পরিণতি, যাদের পাওয়া উচিত তারা বাদ পড়ছে। পরিকল্পনা কমিশনই বলছে, ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধ ভাতা নিচ্ছে যাদের বয়স ৬০ বছর হয়নি। যদিও ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত, তথাপি এখনো ৫৭ শতাংশ হতদরিদ্র ও দরিদ্রদের ৬৬ শতাংশ এসব সহায়তা কর্মসূচির বাইরে আছে। এ থেকেই চলমান সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মূল চরিত্রটি বোঝা যায়। খোদ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের প্রতিবেদন বলছে, এখনো ৫৭ শতাংশ হতদরিদ্র ও দরিদ্রদের ৬৬ শতাংশই এসব সহায়তা কর্মসূচির বাইরে রয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি পেনশনের অংশ বাদ দিলে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকারের বরাদ্দ জিডিপি’র ১.৬ শতাংশ। বাংলাদেশে ২৫ শতাংশ মানুষ বিত্তশালী। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদেরও ২৭ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে সেফটি নেটের সুবিধা ভোগ করছে। এমনিতেই এ কর্মসূচির বরাদ্দযোগ্য ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। তার উপর বরাদ্দে এভাবে ভাগ বসালে তা উপরে উপরে গরিবের জন্য বরাদ্দ হলেও পুরো সুবিধা বিত্তশালীরা লুটে নিয়ে যাবে।
সঙ্গতকারণেই বলতে হয়, অতি দারিদ্র্য হ্রাসে সরকার সফলতা দাবি করলেও সত্যিকার অর্থে অতি দারিদ্র্যের যাঁতাকল থেকে মানুষ আদৌ মুক্তি পায়নি। তাই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। তবে এক্ষেত্রে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বরাদ্দের বিভিন্ন স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনা। পাশাপাশি বরাদ্দের পরিমাণ অনেক বাড়ানো। এদিকে পেনশনকে সর্বজনীন করার বিষয়ে ভাবতে হবে, মনে রাখতে হবে, দ্রুত নগরায়নের ফলে বিশেষ ধরনের দারিদ্র্য সৃষ্টি হচ্ছে। এর জন্যও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া অপরিহার্য। সেইসাথে এই সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের সুফল যাতে দেশের দুস্থ-দরিদ্র জনগোষ্ঠী সঠিকভাবে লাভ করতে পারে, সেজন্য উপযোগী ব্যক্তি নির্ধারণের সময় যাতে কোনো প্রকার অনিয়মের সৃষ্টি না হয়, সেদিকে কঠোরভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মূলত, এসব বিষয় বাস্তবায়নের অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা এবং পরিক্রমা থেকে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পথশিশুদের নিয়ে পতিত জালিম সরকারের মতই অনুষ্ঠান সর্বস্ব আর বাক সর্বস্ব তৎপরতা চলছে। পথশিশুদের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং বাজেট আলাদা বরাদ্দসহ কার্যকর পদক্ষেপ চাই
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাংলাদেশে এ বছর আরও ৩০ লাখ মানুষ ‘অতিদরিদ্র’ হবে এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে হবে ৩.৩ শতাংশ। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা ও ভুল পদক্ষেপ দেশকে অতল গহ্বরে নিক্ষেপ করতে পারে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮২ ভাগ এলাকা কংক্রিটে ঢাকা- তপ্ত নগরী ‘ঢাকার’ উত্তাপ কমাতে হলে ঢাকার সুযোগ-সুবিধা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। যথাযথ বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত না করায় রপ্তানীতে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। অপরদিকে দিন দিন রোগাক্রান্ত হচ্ছে দেশবাসী। দূষিত খাদ্য উৎপাদন এবং ভেজাল খাদ্য বাজারজাত দুটোই সরকারকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সুদ ব্যয়ের কারণে আকার বাড়লেও সুফল নেই বাজেটের। সরকারের উচিত, ঋণের ধারা থেকে সরে এসে আভ্যন্তরীণ আয়ের দিকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেটকে গণমুখী করা।
২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে মারাত্মকভাবে বাড়ছে বিষন্নতা তথা আত্মহত্যার প্রবণতা প্রতিরোধে ইসলামী মূল্যবোধের বিস্তারে বিকল্প নেই
২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৫শে শাওওয়াল শরীফ। সাইয়্যিদাতুনা, শাফিয়াতুনা, হাবীবাতুনা, হযরত ওয়ালিদাতু সুলত্বানিন নাছীর আলাইহিস সালাম আমাদের মহাসম্মানিতা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুমহান পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৪শে শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার করায় হারিয়ে গেছে উত্তরাঞ্চলের নদী পরিবেশ, প্রকৃতি ও কৃষির ক্ষতি হচ্ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের পাকিস্তানের কাছে ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পাশাপাশি ভারতের কাছেও বাংলাদেশের নদী ও পরিবেশের এবং কৃষির তথা জীবন জীবিকার ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪০ বিলিয়ন ডলার চাইতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনসংখ্যা বোঝা নয় বরং জনসম্পদ জনশক্তিকে আরও দক্ষ করতে হবে।
২২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো ২২ শাওওয়াল শরীফ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মু আবীহা, বিনতে সুলত্বানিন নাছীর, সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার এবং নূরে মদীনা, গুলে মুবীনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আওলাদে রসূল, বিনতে সুলত্বানিন নাছীর, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের মহিমান্বিত ও আযীমুশ শান নিসবাতিল আযীম শরীফ দিবস। মুবারক হো ২২ শাওওয়াল শরীফ! সুবহানাল্লাহ!
২১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে শাওওয়াল শরীফ! যা বিশ্ব বাল্যবিবাহ দিবস। সুবহানাল্লাহ! কেননা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র আক্বদ্ মুবারক ও নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্নের বরকতময় সুমহান দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)