সাতক্ষীরা উপকূলে ধান হয় না, ঘেরে মারা যাচ্ছে মাছও
, ০১ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) দেশের খবর
সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার কারণে একদিকে ব্যাহত হচ্ছে ধান চাষ; অন্যদিকে ঘেরে পানি ধরে রাখতে না পারায় দাবদাহে মরে যাচ্ছে বাগদা মাছ। ধান, মাছ কোনোটিরই আবাদে সফল না হওয়ায় আর্থিক সংকট প্রকট হচ্ছে উপকূলীয় এলাকার চাষিদের। তবে সংকট উত্তরণে ক্লাস্টার পদ্ধতিতে মাছ চাষের পরামর্শ মৎস্য কর্মকর্তাদের।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার প্রধান অর্থকরী খাত সাদা সোনা খ্যাত বাগদা। জেলায় ১ লাখ ৫০ হাজার টন মাছ উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে বাগদা ৩০ হাজার টন। তবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে চলতি বছর প্রায় ৭ কোটি টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর এলাকার চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর পানচ্ছ্বিাসে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার মাছ। আবার গরমকালে ঘেরে পানি কম থাকায় দাবদাহে মাছ মারা যাচ্ছে। বর্ষাকালে পানিবদ্ধ থাকায় কৃষক রোপা আমন ধান ফলাতে পারছেন না। এ ছাড়া গরমকালে মিঠাপানির অভাবে বোরো আবাদ করতে না পারায় অনাবাদি থাকছে বহু হেক্টর জমি।
প্রতাপনগর ইউনিয়নের তালতলা এলাকার আরশাদ আলী বলেন, একদিকে লবণাক্ততা, অন্যদিকে দাবদাহ। ফলে মাছ যেমন হচ্ছে না, ধানও হচ্ছে না। টেকসই বেড়িবাঁধ ও পরিকল্পিত স্লুইসগেট হলে ধানও হবে, মাছও হবে।
জেলা মৎস্য চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, লবণপানির কারণে ধান চাষ সম্ভব হচ্ছে না। আবার মাছ চাষও আশানুরূপ নয়। তাই উপকূলীয় পরিবেশকে মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা দরকার, যাতে আমরা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারি।
জেলায় সাধারণত মাছ চাষ হয় সনাতন পদ্ধতিতে। কয়েক গুণ বেশি হারে মাছ পেতে গুচ্ছ (ক্লাস্টার) পদ্ধতিতে চাষের পরামর্শ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিছুর রহমানের। তিনি বলেন, বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি নতুন নতুন এলাকা লবণাক্ততায় ভরে যাচ্ছে।
চাষিরা সনাতন পদ্ধতিতে মাছ চাষ করায় কাঙ্খিত লাভ পাচ্ছে না। সাসটেইন্যাবল কোস্টাল মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায় বাগদার চাষ সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে সরকার। চাষিদের ক্লাস্টার পদ্ধতিতে মাছ চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
উদাসীনতায় নীরবে বেড়েছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই করছে মন্ত্রণালয়
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আগুন নেভাতে এত সময় লাগল কেন, নেপথ্যে ষড়যন্ত্র?
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বছরজুড়ে নিত্যপণ্যের দামে নৈরাজ্য, সিন্ডিকেট দমনে ব্যর্থ সব পক্ষ
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি -ফায়ারের ডিজি
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় সতর্ক আছে সেনাবাহিনী
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় সামনে আসছে যেসব প্রশ্ন
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সঙ্কট বাড়ছে ব্রিটিশ বাহিনীতে, স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ছে হাজার হাজার সেনা
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সচিবালয়ের আগুনে পুড়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বৈধতা অর্জনের সময়সীমা বেঁধে দিলো সরকার
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর নিহত
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জানুয়ারির শুরুতেই বাড়বে শীত, থাকবে মাসজুড়ে
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)