সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহাপবিত্র ০৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ০৭ই মাহে রজবুল হারাম শরীফ আজ।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান-মান মুবারক অনুভব করা, ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ ও নেক ছোহবত মুবারক হাছিল করা বর্তমান যামানায় সব নারীদের জন্য ফরয।
, ০৭ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০১ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৩০শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৬ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
আজ মহাপবিত্র ৭ই রজবুল হারাম শরীফ। বিশেষ দিনের মধ্যে সর্বোত্তম দিবস মুবারক হচ্ছে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ০৭ই রবীউল আউওয়াল শরীফ। আর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ০৭ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে প্রতি হিজরী মাসের ০৭ই শরীফ অর্থাৎ আজ ৭ই রজবুল হারাম শরীফও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে যে মুবারক নিয়ামত দান করেছেন তার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। আর আমাকে মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক সন্তুষ্টি লাভ করার জন্য। আর আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য।” সুবহানাল্লাহ!
মূলত উনার মুবারক ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযূর্গী সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণেই অনেকে উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিলে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই উনার সম্পর্কে জানা সকলের জন্যই ফরয। কেননা, যে বিষয়টা আমল করা ফরয সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয।
বলাবাহুল্য, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বর্তমান মুসলিম উম্মাহর জন্য সুমহান আদর্শ। উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করেই মুসলিম নারী বুঝতে পারবে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শান-মান, মর্যাদা, বুযূর্গী-সম্মান এবং হাছিল করতে পারবে নিসবত।
প্রসঙ্গত, পরিবার মানব সমাজের অন্যতম মূল ভিত্তি। পারিবারিক বন্ধনের মাধ্যমেই গোটা সমাজব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা, শান্তি-শৃঙ্খলা, অগ্রগতি ইত্যাদি নির্ভর করে। কিন্তু বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় পরিবার ব্যবস্থা, পারিবারিক বন্ধন বিলুপ্তির পথে। বিশেষ করে পশ্চিমাদের মধ্যে বিয়ে, দাম্পত্য জীবন, পরিবার, সন্তানের পরিচয়, সন্তান লালন পালন ইত্যাদির ক্ষেত্রে একেবারেই ছন্নছাড়া পরিস্থিতির সূচনা হয়েছে। পাশ্চাত্যে বিয়ের চেয়ে এখন লিভ টুগেদারই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে।
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, পাশ্চাত্যে বর্তমানে পার্টনারশিপে বিয়ের সংস্কৃতি বেশি প্রচলিত। সেখানে একজন নারী-পুরুষ চুক্তির ভিত্তিকে একসাথে অবস্থান করে। ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জন্ম নেওয়া শিশুদের বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে ৪১%, কানাডায় ৩৩%, ফ্রান্সে ৫৭%, সুইডেনে ৫৪%, ব্রিটেনে ৪৮% এবং অস্ট্রেলিয়ায় ৩৩% শিশু বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের ফসল। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই দুই কোটি ২০ লাখ শিশুর দায়িত্ব পড়েছে দেড় কোটি নারীর ওপর। এসব নারীর ৩৬ শতাংশই অবৈধ সম্পর্কের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়েছে। দেশটির বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ বিয়ে ছাড়াই পরস্পরের সাথে স্বামী-স্ত্রীর মতই বসবাস করছে। কিন্তু দীর্ঘদিন একসাথে বসবাস করে সন্তান গ্রহণ করার পরও যখন তারা বিয়ে করে তখন তাদের সেই বিয়ে আর টিকে না। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
কারণ, পাশ্চাত্যের নারী পুরুষরা পরিবারে যে দায়িত্ব রয়েছে বা অধিকার রয়েছে সে সম্পর্কে কোনো গুরুত্বই প্রদান করে না। তারা পরিবারকে বোঝা মনে করে থাকে। স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পারিবারিক দায়িত্বগুলোকে এড়িয়ে চলে। এমনকি সন্তান গ্রহণের তারা বর্তমানে অনীহা প্রকাশ করছে। সন্তানের জন্ম, সন্তানের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি অনুভূতিগুলো তাদের মধ্যে নেই। এজন্য পশ্চিমা দেশগুলোতে জনসংখ্যা ক্রমাগত কমে আসছে। জনসংখ্যা কমে যাওয়ার কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। যা তাদের সমাজ ও অর্থনীতির জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। এজন্য বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার সন্তান গ্রহণে ভাতা প্রদানেরও ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু এরপরও কোনো সমাধান হচ্ছে না।
মূলত নারী পুরুষের মধ্যকার দাম্পত্য সম্পর্কের ভিত্তিতেই একটি পরিবারের সূচনা হয়। পারিবারিক বন্ধন অনেক শৃঙ্খল। এখানে নারী পুরুষের মধ্যে মুহব্বত, দায়িত্বশীল আচরণ, জবাবদিহিতা, সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তাকে উপযুক্ত পরিচর্যার মাধ্যমে বড় করা ইত্যাদি বিষয়গুলো থাকে। যা মানবজীবনের সুখ শান্তির অন্যতম একটি কারণ। কিন্তু পাশ্চাত্যের জনসাধারণ বল্গাহারা জীবনযাপন করায়, নারী পুরুষের সম্পর্ককে শুধু যৌন আচরণের পন্থা হিসেবে দেখায় তারা পরিবার তথা পারিবারিক বন্ধনের যে সুখ, যে স্বাচ্ছন্দ তা থেকে তারা সব সময় বঞ্চিত থাকে। একজন মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার জন্য যে সুস্থ নৈতিক পরিবেশ তার দেখাও তারা পায় না।
মূলত; দাম্পত্য জীবন, পরিবার, পারিবারিক বন্ধন ইত্যাদির সুখ শান্তি শৃঙ্খলা সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের চর্চা ছাড়া কখনই লাভ করা সম্ভব নয়। কারণ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যেই পারিবারিক জীবন, দাম্পত্য জীবন, সন্তান লালন-পালন ইত্যাদির বিষয়ে সাবলীলভাবে নির্দেশনা মুবারক দেয়া হয়েছে। তবে সেই নির্দেশনা মুবারক তখনই একজন ব্যক্তি লাভ করতে পারবে যখন তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে লাভ করতে পারবে এবং সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের একজন পথপ্রদর্শক উনার নেক ছোহবত মুবারক লাভ করতে পারবে। আর বর্তমান যামানায় এ বিষয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ দিক নির্দেশক হচ্ছেন কায়িম মাকামে উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত আরো উল্লেখ্য যে, বর্তমান নারীদের অবস্থা অবলোকন করলে আফসোস করতে হয় যে, তারা শুধু নামেই ‘মুসলিম মহিলা’। কিন্তু তাদের হাল-হাক্বীক্বত, সীরত-ছূরত বতিলপন্থীদের মতো। প্রগতিশীল নারীবাদীদের দ্বারা উন্মুক্ত ‘নারী স্বাধীনতা’র বিষয় আজ ব্যাপক আলোচিত। ‘নারী স্বাধীনতা’র নামে ঘর থেকে মহিলাদের বের করতে উদ্বুদ্ধ করা, বেপর্দা হওয়া, ছেলে-মেয়ে একত্রে বাজারে বাজারে ঘুরে বেড়ানোর প্রচলন ইত্যাদি কর্মকা-ের দাপটে আজ নারী সমাজ ডুকরে কাঁদছে। নিজেরাই বিসর্জন দিচ্ছে নিজ নিজ মান-সম্ভ্রম। বিচ্যুত হচ্ছে স্বামীর সংসার, পরিবার, সমাজ থেকে। নিক্ষিপ্ত এসিডে ঝলসে যাচ্ছে, খুন হচ্ছে পরকীয়া প্রেমের কারণে। আর বিপরীতে এসব সামাজিক অবক্ষয় থেকে মুক্তিতে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ফায়িয-তাওয়াজ্জুহ মুবারকই হতে পারে একমাত্র সমাধান। কারণ এতে করে সব নারীরাই রূহানী যোগ্যতা হাছিল করবে এবং এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের সন্তানরাও ভালো হয়ে যাবে। সুতরাং এভাবেই গোটা দেশ-জাতিই শুদ্ধ হয়ে যাবে।
কাজেই প্রতি মাসেই মহাসম্মানিত ৭ই শরীফ যথাযথভাবে পালনের সর্বোচ্চ গোলামীর আঞ্জাম দেয়ার তথা সার্বিক গোলামীর আঞ্জাম দেয়ার চেতনাই হোক আমাদের আরজি। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম এবং উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম ও উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক উসীলায় ও ফায়েয বরকতে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে মহিমান্বিত এ দিন যথাযথভাবে পালনের ও ফযীলত, মা’রিফাত ও নিয়ামত হাছিলের তাওফীক দেন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যাংক গ্রাহকদের খালি হাতে বা নাম মাত্র অর্থে ফেরানো যাবে না কথিত অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিশ্চয়তার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশ্বে জ্বালানীর দাম এমনেই কমছে পাশাপাশি শুধুমাত্র কাঠামো সংস্কারই ১৫ টাকা কমানো সম্ভব হলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না কেন অন্তর্বর্তী সরকার? জ্বালানী তেলের দাম কমালে দ্রব্যমূল্যের দাম সহজেই কমবে
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)