সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই শাবান শরীফ আজ।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্য ফরজ।
, ১২ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৫ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৫ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
আজ পবিত্র ১২ই শাবান শরীফ। মহাসম্মানিত, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ তথা মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার সাথে আজকের মহান তারিখ সাযুজ্যপূর্ণ। তাই আজকের তারিখটিই মহিমান্বিত হয়ে ১২ই শরীফ উনার মর্যাদায় মর্যাদাবান হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
বলার অপেক্ষা রাখেনা, মহিমান্বিত এ তাজদীদ মুবারক করার ক্ষমতা কেবলমাত্র ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনারই। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
কারণ পৃথিবীর ইতিহাসে তিনিই প্রথম এ অনন্তকালের পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ উনার তাজদীদ মুবারক করেছেন, ধারণ মুবারক করেছেন, বিচ্ছুরণ মুবারক ঘটিয়েছেন, কুল-কায়িনাতবাসীকে বিতরণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
কিন্তু বর্তমান মুসলমান এই সুমহান নিয়ামত মুবারক পাওয়ার পরও তার শোকরিয়া মুবারক তো করছেইনা এমনকি উপলব্ধিও করতে পারছেনা। নাউযুবিল্লাহ!
বলাবাহুল্য, এসব কারণে মুসলমান দুনিয়াতেও রিযিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানসিকভাবে বিকৃত হচ্ছে। যাপিত জীবনে বিধ্বস্ত হচ্ছে। সমাজে লাঞ্চিত হচ্ছে। আমলে গোমরাহ হচ্ছে। পরকালে নিকৃষ্ট আবাসস্থল জাহান্নামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
তবে কোনো কোনো মুসলমান এ বিষয়গুলো কিছুটা উপলব্ধি করলেও তার পেছনের কারণগুলো বিশ্লেষণ করতে পারছেনা। প্রতিবাদ জানাতে পারছেনা। প্রতিহত করার প্রেরণা, চেতনা কোনোটাই পাচ্ছেনা।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, মুসলমান কোন গণতান্ত্রিক দেশে তার দ্বীনী অধিকার ও চেতনা এবং পৃষ্ঠপোষকতা পেতে পারেনা। ধর্মনিরপেক্ষতাকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিকে নিছক ধর্মহীনতা ছাড়া কিছুই বলা যায়না। গণতান্ত্রিক দেশে সংস্কৃতির নামে সব সময় চলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার উপর কুঠারাঘাত। নাউযুবিল্লাহ! বেপর্দার নামে মুসলমানকে অবাধে দাইয়্যূস বানিয়ে অকাতরে জাহান্নামী করা হয়। গণতান্ত্রিক মিডিয়ার প্রচারণায় অশ্লীলতায়, পরকীয়ায়, জ্বিনায় তথা তাবৎ পাপাচারে পঙ্কিলতায় মুসলমানদের ঈমান পর্যদুস্ত করা হয়। মুসলমান তখন মুসলমান থাকা তো দুরের কথা বরং বালহুম আদলে পরিণত হয়। নাউযুবিল্লাহ!
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ (যেখানে মুসলমানরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আখিরী রসূল এবং হাজির-নাজির বলে বিশ্বাস করেন) কোন অভাব, অস্বচ্ছলতা, অনিয়ম, অরাজকতা, অপ্রাপ্তি, অনিশ্চয়তা, অনিরাপত্তা, অসততা ইত্যাদি থাকার কথা ছিল না।
কিন্তু তারপরেও এদেশে এখনও প্রায় ৪ কোটি লোক না খেয়ে থাকে। ভাল বা পুষ্টিকর খাবারের অভাবে ভোগে প্রায় ৮ কোটি লোক। রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত এমনকী সাধারণ মসজিদগুলোতে পর্যন্ত নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই। প্রায় সব লোকই বিভিন্ন প্রকার অপ্রাপ্তিতে অপূর্ণ। গুম, খুন, ছিনতাই, রাহাজানি, প্রতিনিয়ত সম্ভ্রমহরণ, গণধর্ষণ, হরহামেশা দুর্ঘটনা ইত্যাদি নানাধরণের অনিরাপদ নাগরিক জীবনকে মহাহতাশাগ্রস্থ করেছে।
অপরদিকে দুঃখজনক হলেও সত্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানদের মহিমান্বিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার চেতনাবোধে উজ্জীবিত করতে সম্পূর্ণ শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এতে করে সরকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। কারণ সংবিধানের ১৭(খ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে, “সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছাপ্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”
সমাজ বিজ্ঞানী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, অভিজ্ঞমহল, পর্যবেক্ষক, সুশীল সমাজ এবং ইসলামী চিন্তাবিদ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কী করণীয় তাও রাষ্ট্রের সংবিধানেই বর্ণিত রয়েছে। সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “প্রজাতন্ত্রের দ্বীন (ধর্ম) হচ্ছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম।”
আর এই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা প্রসারে যদি রাষ্ট্র প্রয়োজনীয়, যথাযথ ও সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতা এবং কর্মসূচি গ্রহণ করতো তাহলে নাগরিকের মধ্যে সম্মানিত ইসলামী শিক্ষা, আদর্শ, চেতনা উজ্জীবিত থাকতো। দেশ থেকে অভাব, অরাজকতা, অনিয়ম, অসততা, অনিরাপত্তা ইত্যাদি নির্বাসিত হতো। সোনার বাংলা শুধু সম্পদ ও সমৃদ্ধিতেই নয় আদর্শ ও নৈতিকতায়ও সোনার মানুষে ভরপুর হয়ে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ দেশে পরিণত হতো। কিন্তু রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা থেকে দেশের নাগরিকদের বঞ্চিত করে, সরকার সংবিধানের ২(ক), ১৭(খ), ১৮(ক) ৩২ ইত্যাদি অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক কাজ করছে।
উল্লেখ্য, সরকার তার দৃষ্টিতে অপরাধ তথাকথিত বাল্যবিবাহ হলেই শক্তভাবে পাকড়িয়ে ধরে। তাহলে নিজেই যে সংবিধানের অনেক অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছে এসবের বিচার করবে কে? অপরদিকে সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ মতে জনগণই দেশের মালিক। কিন্তু জনগণ তার মালিকানা ভোগ করতে জানেনা, চায়না, বুঝেনা, পারেনা। মূলত সরকার ও জনগণ উভয়েই তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবে যখন তারা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ অর্থাৎ ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জওক, শওক সহকারে পালন করবে যথাযথ মূল্যায়ন করবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যা উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ত্বাহিরাহ, ত্বইয়িবাহ, বিনতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বর্জ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগালেও বাংলাদেশ এখনো বহু পিছিয়ে। অথচ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে হাজার হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব; রয়েছে বায়োফুয়েল উৎপাদনের সম্ভাবনা। সরকারের উচিত- দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সমৃদ্ধির উৎসে পরিণত করা।
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় হলেও পেয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ব্যর্থতার দায়ভার শুধুই সরকারের।
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শিল্প-কলকারখানায় এক্ষুনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ!
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৮২ ভাগ এলাকা কংক্রিটে ঢাকা- তপ্তনগরী ‘ঢাকার’ উত্তাপ কমাতে হলে ঢাকার সুযোগ-সুবিধা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। যথাযথ বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ: ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প শুধুমাত্র ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ দিয়েই পূরণ হবে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে রফতানির সম্ভাবনাও সৌর-সম্ভাবনাকে বিকশিত করলে বাংলাদেশ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ১২ই রবীউছ ছানী শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্য ফরয।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বন্যা পরবর্তী পূণর্বাসন বন্যায় দুর্ভোগের চেয়েও কঠিন বন্যা দুর্গতদের এ কঠিন লড়াইয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আসন্ন অর্থনৈতিক মহা বিপর্যয় ঠেকাতে গার্মেন্টস অস্থিরতা এক্ষনই বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)