বুলন্দী শান মুবারক
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরানী হুলিয়া মুবারক
, ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৯ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০১ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
لَوْلَاكَ لَمَا خَلَقْتُ الْأَفْلَاكَ
পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, “আমি (মহান আল্লাহ পাক) আমার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি না করলে আসমান-যমীন কিছুই সৃষ্টি করতাম না। ”
আরো ইরশাদ মুবারক করেন, আমার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি না করলে আমি নিজেই আত্মপ্রকাশ করতাম না। ”
যাঁর সৃষ্টিতে এত বড় মাহাত্ম, বেমেছাল সম্মান আর অপরিসীম গৌরব, উনার প্রকৃত সৌন্দর্য পেশ করার সাধ্য কার? এ নিতান্তই এক অনুভবের বিষয়।
তাইতো প্রত্যক্ষদর্শী সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, “যাঁরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেছেন উনারা বর্ণনা করেন যে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেয়ে সুদর্শন কাউকে উনারা পূর্বেও কখনো দেখেননি এবং পরেও নয়। ” (তিরমিযী শরীফ)
তবু মানসপটে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সীরত-ছূরত এবং আকৃতি মুবারক পরিস্ফুটনের লক্ষ্যে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নিম্নরূপ উপমা সম্বলিত একটি চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরানী অবয়ব মুবারক সম্পর্কে হযরত হিন্দ ইবনে আবি হালাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেছেন যে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন স্বাভাবিক গড়নের তুলনায় ঈষৎ দীর্ঘ একজন সুঠামদেহী ব্যক্তিত্ব মুবারক। উনার পবিত্র নূরুল হুদা মুবারক (মস্তক মুবারক) মোটামুটিভাবে বড় হলেও উনার পবিত্র জিসিম মুবারকের (দেহ মুবারক) সঙ্গে ছিল চমৎকার মিল। সেই সঙ্গে সামান্য ঢেউ আকৃতির পবিত্র নূরুল ফাতাহ মুবারক (কেশ মুবারক) বিন্যাসে আর চওড়া পবিত্র নূরুল মালাহাহ মুবারকে (কপাল মুবারক) তিনি ছিলেন নজরকাড়া সুদর্শন। পবিত্র নূরুত তানউয়ীর মুবারক (ভুরু মুবারক) ছিলো পাতলা, ধনুকের ন্যায় বক্র এবং অসংযুক্ত। পবিত্র নূরুন আলা নূর মুবারক (নাসিকা মুবারক) ছিলো দীর্ঘ, যা থেকে এক ধরনের আভা ও দ্যুতি ছড়াতো। পবিত্র নূরুন নিয়ামাহ মুবারক (দাড়ি মুবারক) ছিলো অত্যন্ত মনোরম। পবিত্র নূরুল আনওয়ার মুবারক (গাল মুবারক) ছিলো মসৃণ এবং হালকা পুর ভরাট, যা তুলতুলে বা ঢলঢলে ছিল না। মুবারক চোখের পবিত্র নূরুল র্ফাহাহ্ মুবারক (মণি) ছিলো ঘন কালো। পবিত্র নূরুর রহমাহ মুবারক (মুখমন্ডল বা চেহারা) মোটামুটিভাবে চওড়া। পবিত্র নূরুল্লাহ মুবারক (দাঁত) ছিলো ছোট, যা সর্বদাই ছিল সফেদ-শুভ্র, সুমসৃণ ও উজ্জ্বল। সম্মুখের দু’টি নূরুল্লাহ মুবারকের (দাঁত) মাঝে ঈষৎ ফাঁক ছিলো লক্ষণীয়।
উনার পবিত্র নূরুন নুবুওওয়াহ মুবারক (ঘাড়) ছিলো সরু ও সুন্দর। পবিত্র নূরুল মাগফিরাহ মুবারক (হাত) ও পবিত্র নূরুদ দারাজাহ মুবারক (পা) ছিলো পরিমিতভাবে পেশল। পবিত্র নূরুল ইলিম মুবারক (বুক) ও পবিত্র নূরুল ওয়ারা’ মুবারক (পেট) ছিলো সমতল ও মসৃণ। কিন্তু উনার পবিত্র নূরুল ইলিম মুবারক (বক্ষ) ছিলো চওড়া এবং পবিত্র নূরুল কুরবত মুবারকের (দু’বাহু) মাঝে দূরত্ব ছিলো কিছুটা বড়। যখন তিনি পবিত্র জিসিম মুবারকের (দেহ) পবিত্র নূরুত তাক্বওয়া মুবারক (লিবাস বা পোশাক) খুলতেন, তখন উনার পবিত্র নূরুল আনওয়ার মুবারক (ত্বক বা গাল মুবারক) দেখাতো উজ্জ্বল ও দ্যূতিময়। উনার পবিত্র নূরুল ইলিম মুবারক (বুক মুবারক) ও পবিত্র নূরুল ওয়ারা’ মুবারকের (পেট মুবারক) মাঝে একটি সরু পবিত্র নূরুল ফাত্হ্ মুবারকের (চুল) রেখা ছিলো লক্ষণীয়। এছাড়া অন্য কোন পবিত্র ফাত্হ্ মুবারক (চুল) এস্থানে পরিলক্ষিত হয়নি। কিন্তু উনার উভয় পবিত্র নূরুল কুরবত মুবারক (বাহু), পবিত্র নূরুল মাগফিরাহ মুবারক (হাত) এবং পবিত্র নূরুল ইলিম মুবারকের (বুক) উপরের অংশে পবিত্র নূরুল ফাত্হ্ মুবারকের (চুল) উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যনীয়। উনার কব্জি মুবারক এবং পবিত্র নূরুল মু’জিযাহ মুবারক (হাতের তালু) ছিলো চওড়া। হাত ও পা মুবারকের অঙ্গুলী মুবারক ছিলো সামঞ্জস্যভাবে দীর্ঘাকৃতির। উনার উভয় পবিত্র নূরুদ দারাজাহ মুবারক (পা মুবারক) ছিলো ভরাট ও মসৃণ এবং পায়ের তলা মুবারক ছিলো ধনুকের ন্যায় বাঁকা। ” (শামায়েলে তিরমিযী শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দর্শন মুবারক সর্ম্পকে হযরত জাবির ইবনে সামুরাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেছেন যে, “আমি একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জোছনা রাতে দর্শন করি। উনার পরিধানে ছিলো খয়েরী রংয়ের একটি পোশাক মুবারক। আমি অপলক দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম এবং লক্ষ্য করলাম, তিনি চাঁদের তুলনায় আরও কতবেশি আকর্ষণীয় ও সুদর্শন। ” সুবহানাল্লাহ! (দারিমী শরীফ)
হযরত কা’ব ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন যে, যখনই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সন্তুষ্ট হতেন উনার পবিত্র নূরুর রহমাহ মুবারক (চেহারা মুবারক) চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল রূপ ধারণ করতো। আর এভাবে আমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খুশিভাব বুঝতে পারতাম। ” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহরে নুবুওওয়াত মুবারক সর্ম্পকে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন যে, “আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুন নুবুওওয়াহ মুবারকের (ঘাড় মুবারক) উপর কবুতরের ডিমের ন্যায় একখন্ড গোশ্ত মুবারক দেখেছি, যার রং ছিলো হালকা লাল” এটিই ছিলো মহরে নুবুওওয়াত মুবারক। ” (শামায়েলে তিরমিযী শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুন নিয়ামাহ মুবারক (দাড়ি মুবারক) সর্ম্পকে হযরত হিন্দ ইবনে আবি হালাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেছেন যে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুন নিয়ামাহ মুবারক (দাড়ি মুবারক) ছিলো অত্যন্ত ঘন ও মনোরম যা উনার পবিত্র নূরুল ইলিম মুবারকের (বক্ষ মুবারক) একাংশ আবৃত করতো। ” (শামায়েলে তিরমিযী শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল ফাত্হ্ মুবারক (চুল মুবারক) সর্ম্পকে হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেছেন যে, “আমি কখনও চৌদ্দটির বেশী সাদা পবিত্র নূরুল ফাত্হ্ মুবারক (চুল মুবারক) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল হুদা মুবারকে (মাথা মুবারক) ও পবিত্র নূরুন নিয়ামাহ মুবারকে (দাড়ি মুবারক) পাইনি। ” (শামায়েলে তিরমিযী শরীফ)
হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আরো বর্ণনা করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল ফাত্হ্ মুবারক (চুল মুবারক) কখনই একেবারে সরল অথবা বক্র ছিল না। বরং তা ছিলো ঢেউ আকৃতির যা উনার পবিত্র নূরুল হায়া’ মুবারকের (কান মুবারক) নীচ পর্যন্ত দীর্ঘ ছিলো। ” (শামায়েলে তিরমিযী শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল মু’জিযাহ মুবারক (হাতের তালু মুবারক) সর্ম্পকে হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন যে, “আমি কখনও এমন কোন মখমল বা রেশমী বস্তু স্পর্শ করিনি যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল মু’জিযাহ মুবারক বা তালু মুবারক অপেক্ষা অধিকতর নরম। ” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুত তীব মুবারক (ঘাম মুবারক) সর্ম্পকে হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি বর্ণনা করেছেন যে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রায়শই উনার বাড়ীতে সামান্য সময়ের জন্য দিনের বেলা পবিত্র নূরুল মুত্বমাইন্নাহ মুবারকের (ঘুম মুবারক) জন্য যেতেন। তিনি এক খন্ড চামড়ার চাদর বিছিয়ে উনার বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন অনেক ঘামতেন তখন তিনি সেই পবিত্র নূরুত তীব মুবারকগুলো (ঘাম মুবারক) একটি শিশিতে সংগ্রহ করতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইহার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলতেন, “আমরা আপনার পবিত্র নূরুত তীব মুবারক (ঘাম মুবারক) সংগ্রহ করি। কারণ সকল সুগন্ধি দ্রব্যের চেয়েও ইহা অধিকতর সূরভিত। ” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুত্ তাবারুক মুবারক (মুছাফাহা মুবারক) সর্ম্পকে হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেছেন যে, যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কারো সাথে মুছাফাহা করতেন। তিনি কখনও উনার পবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (হাত মুবারক) সরিয়ে নিতেন না যতক্ষণ পর্যন্ত অপর ব্যক্তি উনার হাত নিজ থেকে সরিয়ে না নিতেন। ” (তিরমিযী শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাসি-খুশি মুবারক সর্ম্পকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন যে, আমি কখনও উনাকে অট্টহাস্যে ফেটে পড়তে দেখিনি। তিনি শুধুই পবিত্র নূরুত তাক্বরীর মুবারক প্রকাশ করতেন অর্থাৎ মুচকি হাসতেন।
উনার হাসি মুবারক সম্পর্কে হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন যে, আমি এমন কাউকে দেখিনি যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেয়েও বেশি মুচকি হাসতেন। ” (তিরমিযী শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাঁটা-চলা মুবারক সর্ম্পকে হযরত হিন্দ ইবনে আবি হালাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন যে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাটির উপর হালকাভাবে উনার নূরুদ দারাজাত মুবারক (পা মুবারক) রাখতেন এবং সম্মুখের দিকে ঝুঁকে এমনভাবে হাঁটতেন যেমন মনে হত তিনি পাহাড় থেকে নেমে আসছেন। তিনি কখনই ছোট ছোট পদক্ষেপে হাঁটতেন না। ” (শামায়েলে তিরমিযী শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আলাপ মুবারক সর্ম্পকে হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেছেন যে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাধারণতঃ কোন একটি বক্তব্য মুবারক তিনবার পুনরাবৃত্তি করতেন, ফলে উপস্থিত শ্রোতারা সহজেই তা বুঝে অনুধাবন করতে পারতেন। (তিরমিযী শরীফ)
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেছেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনও দ্রুতগতিতে কথা বলতেন না। এমনভাবে কথা বলতেন যে, কেউ চাইলে উনার পবিত্র নূরুস সালাম মুবারকের (জবান মুবারক) সবগুলো শব্দ মুবারক গুণতে পারতেন। ” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে সুন্নত মুবারকের পরিপূর্ণ অনুসরণ ও অনুকরণের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ সন্তুষ্টি এবং মুহব্বত মুবারক দান করুন। আমীন!
-মুহম্মদ আব্দুল্লাহ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুলি মুবারক করা পানি কূপে পতিত হওয়ার কারণে কুপ থেকে মেশকের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন আলা নূর মুবারক উনার মাঝে দায়িমীভাবে নূর মুবারক চমকানো
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাসি মুবারককালে পাশ্ববর্তী দেয়ালসমূহ আলোকিত হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)