সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠকারী উনাদের জন্য বিশেষ সুসংবাদ মুবারক (৩)
, ২০ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৩ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০২ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
اِنَّ اِمْرَاَةً كَانَ لَهَا وَلَدٌ مُسْرِفٌ عَلٰى نَفْسِهٖ وَكَانَتْ تَأْمُرُهٗ بِالْخَيْرِ وَتَنْهَاهُ عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ وَفِىْ رِوَايَةٍ اُخْرٰى وَكَانَتْ تَأْمُرُهٗ بِالتَّوْبَةِ فَلَمْ يَفْعَلْ وَالْقَضَاءُ وَالْقَدَرُ غَالِبَانِ عَلَيْهِ فَمَاتَ وَهُوَ مُصِرٌّ عَلٰى مَا كَانَ عَلَيْهِ فَحَزِنَتْ عَلَيْهِ اُمُّهٗ حُزْنًا شَدِيْدًا حَيْثُ مَاتَ عَلٰى غَيْرِ تَوْبَةٍ فَتَمَنَّتْ اَنْ تَرَاهُ فِى الْمَنَامِ فَرَاَتْهُ وَهُوَ يُعَذَّبُ فَازْدَادَتْ عَلَيْهِ حُزْنًا فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ مُدَّةٍ رَاَتْهُ وَهُوَ عَلٰى هَيْئَةٍ حَسَنَةٍ فِىْ فَرْحٍ وَسُرُوْرٍ فَسَاَلَتْهُ عَنْ حَالِهٖ وَقَالَتْ يَا وَلَدِىْ اِنِّىْ رَاَيْتُكَ تُعَذَّبُ فَبِمَ نِلْتَ هٰذِهِ الْمَنْزِلَةَ فَقَالَ يَا اُمَّاهْ اِجْتَازَ رَجُلٌ مُسْرِفٌ عَلٰى نَفْسِهٖ بِالتُّرْبَةِ الَّتِىْ اَنَا فِيْهَا فَنَظَرَ اِلَى الْقُبُوْرِ وَتَفَكَّرَ فِى الْبَعْثِ وَالنُّشُوْرِ وَاعْتَبَرَ بِالْمَوْتٰى فَبَكٰى عَلٰى زِلَّتِهٖ وَنَدَمَ عَلٰى خَطِيْئَتِهٖ وَتَابَ اِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَعَقَدَ التَّوْبَةَ مَعَهٗ اَنْ لَّا يَعُوْدَ فَفَرِحَتْ بِتَوْبَتِهٖ مَلَائِكَةُ السَّمَاءِ ثُمَّ اِنَّهٗ لَمَّا تَابَ وَعَلِمَ اللهُ صِدْقَ تَوْبَتِهٖ وَتَابَ عَلَيْهِ قَرَاَ شَيْئًا مِّنَ الْقُرْاٰنِ وَصَلّٰى عَلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِشْرِيْنَ مَرَّةً وَاَهْدٰى ثَوَابَهَا لِاَهْلِ التُّرْبَةِ الَّتِىْ اَنَا فِيْهَا فَقُسِمَ ثَوَابُهٗ عَلَيْنَا فَنَالَنِىْ مِنْ ذٰلِكَ خَيْرٌ فَغَفَرَ اللهُ لِىْ بِهٖ وَحَصَلَ لِىْ مِنَ الْخَيْرِ مَا تَرَيْنَ فَاعْلَمِىْ يَا اُمَّاهْ اَنَّ الصَّلَاةَ عَلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُوْرٌ فِى الْقُلُوْبِ وَتَكْفِيْرُ الذُّنُوْبِ وَرَحْمَةٌ لِّلْاَحْيَاءِ وَالْاَمْوَاتِ
অর্থ: “একজন মহিলা উনার একটি ছেলে ছিলো। যে নফসের অনুসরণ করতো। ঐ মহিলা তিনি ছেলেটিকে সৎকাজের আদেশ করতেন এবং অশ্লীল-অশালীন ও শরীয়তের খিলাফ কাজ থেকে নিষেধ করতেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে- তিনি তাকে তাওবা করার জন্য বলতেন। কিন্তু সে তাওবা করতো না। ফায়ছালা ও নিয়তি তার উপর প্রবল হলো অর্থাৎ মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসলো। তারপর সে অশ্লীল-অশালীন ও শরীয়তের খিলাফ কার্যকলাপের উপরই দৃঢ় থেকে মৃত্যুবরণ করলো। সে তাওবা করা ব্যতীত মারা যাওয়ার কারণে তার মা অত্যন্ত চিন্তিত হন। এরপর তার মা তাকে স্বপ্নে দেখার জন্য অকাঙ্খা করেন। অতঃপর তার মা স্বপ্নে দেখেন তাকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। এটা দেখে তার মা তার ব্যাপারে আরো বেশি চিন্তিত হন। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর তার মা তাকে আবার স্বপ্নে দেখেন যে, সে উত্তম অবস্থায় অত্যন্ত খুশি ও সুখ-শান্তিতে রয়েছে। তখন তার মা তার অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে বললেন, ‘হে আমার প্রিয় সন্তান! (কিছুদিন আগে) আমি স্বপ্নে দেখেছি তোমাকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে, এখন তুমি এই মর্যাদা কিভাবে লাভ করলে?’ তখন ছেলেটি বললো, ‘হে আমার সম্মানিতা মাতা! আমি যেই মাটিতে (কবরস্থানে) রয়েছি নফসের অনুসারী এক ব্যক্তি সেখান দিয়ে অতিক্রম করছিলো। তখন সে কবরস্থানের দিকে তাকিয়ে পুনরুত্থান ও হাশর-নশরের বিষয়ে চিন্তা করে এবং মৃতব্যক্তিদের থেকে ইবরত-নছীহত গ্রহণ করে। অতঃপর তার পদস্খলনের জন্য অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত থেকে বিমুখ হয়ে যাওয়ার কারণে সে কান্না-কাটি করে এবং সে তার গুনাহ্-খ্বাতার জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট তওবা করে এবং তওবা করার সাথে সাথে সে সংকল্প করে যে, সে আর পাপাচার ও শরীয়ত গর্হিত কাজে ফিরে যাবে না। তার তওবার কারণে আসমানের হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা খুশি প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর যখন তিনি তওবা করলেন আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার তওবার সত্যতা জানলেন এবং উনার তওবা ক্ববূল করলেন, তখন ঐ ব্যক্তি তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার কিছু অংশ তিলাওয়াত করেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ ২০ বার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। আর সেই নেকী আমি যেই মাটিতে রয়েছি, সেই মাটির অধিবাসীদের জন্য অর্থাৎ কবরবাসীদের জন্য হাদিয়া করে দেন। উনার সেই নেকী আমাদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়া হয়। আমার নিকটও সেই খায়ের-বরকত উনার হিস্সা পৌঁছেন। সেই কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আর আমার এই উত্তম অবস্থা অর্জিত হয়েছে, যা আপনি দেখতে পাচ্ছেন।
فَاعْلَمِىْ يَا اُمَّاهْ اَنَّ الصَّلَاةَ عَلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُوْرٌ فِى الْقُلُوْبِ وَتَكْفِيْرُ الذُّنُوْبِ وَرَحْمَةٌ لِّلْاَحْيَاءِ وَالْاَمْوَاتِ
কাজেই হে আমার সম্মানিতা মাতা! আপনি জেনে রাখুন- নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করা অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করা অন্তরের নূর স্বরূপ, গুনাহ্-খ্বাতার কাফফারা স্বরূপ এবং জীবিত-মৃত সকলের জন্য সম্মানিত রহমত মুবারক স্বরূপ।” সুবহানাল্লাহ! (তাযকিরাতুল ওয়ায়িযীন, মাজলাল আসরারি ওয়াল হাক্বাইক্ব)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (১৮)
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক নন; এ ছাড়া সকল মর্যাদা ও মাক্বাম উনার অধিকারী
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
অনুসরণীয় চার মাযহাব উনাদের ফতওয়া মুতাবিক সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশকারী, কটাক্ষকারী, অবমাননাকারীদেরকে শরঈ শাস্তি প্রদান করা ওয়াজিব
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)