সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠকারী উনাদের জন্য বিশেষ সুসংবাদ মুবারক (২)
, ১৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০১ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২০ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ উনার সম্মানার্থে কবরবাসীদের নাজাত লাভ:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
رُوِىَ اَنَّ اِمْرَاَةً رَاَتْ وَلَدَهَا بَعْدَ الْمَوْتِ يُعَذَّبُ فَحَزِنَتْ لِذٰلِكَ وَبَكَتْ ثُمَّ رَاَتْهُ بَعْدَ ذٰلِكَ وَهُوَ فِـى النُّوْرِ وَالرَّحْمَةِ فَسَاَلَتْهُ عَنْ ذٰلِكَ فَقَالَ مَرَّ رَجُلٌ بِالْمَقْبَرَةِ فَصَلّٰى عَلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاَهْدٰى ثَوَابَهَا لِلْاَمْوَاتِ فَحَصَلَ نَصِيْبِىْ مِنْ ذٰلِكَ الْمَغْفِرَةِ فَغُفِرَ لِىْ
অর্থ: “বর্ণিত রয়েছেন যে, একজন মহিলা উনার ছেলে মারা যাওয়ার পর তিনি স্বপ্নে দেখলেন, উনার ছেলেকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। ফলে তিনি চিন্তিত হলেন এবং কান্না করলেন। এর কিছুদিন পর ঐ মহিলা তিনি উনার ছেলেকে স্বপ্নে দেখলেন যে, উনার ছেলে সম্মানিত নূর এবং সম্মানিত রহমত মুবারক উনাদের মধ্যে রয়েছেন। তিনি উনার ছেলেকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন। জবাবে ছেলে বললেন, ‘একজন ব্যক্তি কবরস্থানের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করেন এবং সেই নেকী সমস্ত মৃত ব্যক্তিদের জন্য হাদিয়া করেন। সেই (সম্মানিত রহমত, বরকত,) মাগফিরাত মুবারক উনার একটা অংশ আমার নছীবে অর্জিত হয়েছেন। তাই আমাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! (তাযকিরাতুল ওয়ায়িযীন)
নফসের অনুসারী ও নেশাগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করার কারণে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে সুউচ্চ মাক্বাম লাভ:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَالَ بَعْضُ الصُّوْفِيَّةِ كَانَ لِىْ جَارٌ مُّسْرِفٌ عَلٰى نَفْسِهٖ لَا يَعْرِفُ مِنْ سَكْرِهٖ يَوْمَهٗ مِنْ اَمْسِهٖ وَكُنْتُ اَعِظُهٗ فَلَا يَقْبَلُ وَاٰمُرُهٗ بِالتَّوْبَةِ فَلَا يَفْعَلُ فَلَمَّا مَاتَ رَاَيْتُهٗ فِى الْمَنَامِ فِىْ اَرْفَعِ مَقَامٍ وَعَلَيْهِ مِنْ حُلَلِ الْجَنَّةِ لِبَاسِ الْاِعْزَازِ وَالْاِكْرَامِ فَقُلْتُ لَهٗ بِمَ نِلْتَ هٰذِهِ الْمَنْزِلَةَ وَالْمَقَامَ فَقَالَ حَضَرْتُ يَوْمًا مَجْلِسَ الذِّكْرِ فَسَمِعْتُ الْمُحَدِّثَ يَقُوْلُ مَنْ صَلّٰى عَلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَفَعَ صَوْتَهٗ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ ثُمَّ رَفَعَ الْمُحَدِّثُ صَوْتَهٗ بِالصَّلَاةِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَفَعْتُ اَنَا صَوْتِىْ مَعَهٗ وَرَفَعَ الْقَوْمُ اَصْوَاتَهُمْ فَغُفِرَ لَنَا جَمِيْعًا فِىْ ذٰلِكَ الْيَوْمِ فَكَانَ نَصِيْبِىْ مِنَ الْمَغْفِرَةِ اَنْ جَادَ عَلٰى مَوْلَاىَ بِهٰذِهِ النِّعْمَةِ
অর্থ: “একজন ছূফী-আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি তিনি বলেন, আমার একজন প্রতিবেশী ছিলো- যে নফসের অনুসরণ করতো। তার নেশাগ্রস্ততার কারণে বিগত দিন থেকে আজ পর্যন্ত কেউ তাকে সহ্য করতো না, দেখতে পারতো না অর্থাৎ সবাই তাকে অত্যন্ত ঘৃণা করতো, অপছন্দ করতো। (এভাবেও বলা যেতে পারে যে,) তার নেশাগ্রস্ততার কারণে সে বিগত দিন থেকে আজকের দিন পার্থক্য করতে পারতো না। না‘ঊযুবিল্লাহ! আমি তাকে অনেক ওয়ায-নছীহত করতাম; কিন্তু সে তা গ্রহণ করতো না। আমি তাকে তওবা করার জন্য আদেশ করতাম; কিন্তু সে তওবাও করতো না। যখন সে মারা গেলো, তখন আমি তাকে স্বপ্নে অনেক সুউচ্চ মাক্বামে অধিষ্ঠিত অবস্থায় এবং তার পরিধানে সম্মানিত জান্নাতী পোষাক, ইয্যত ও সম্মানের পোষাক পরিহিত অবস্থায় দেখলাম। আমি তাকে বললাম, তুমি কিভাবে এই মর্যাদা-মাক্বাম লাভ করলে? জবাবে সে বললো, আমি একদিন এক আলোচনা মজলিসে উপস্থিত ছিলাম। তখন আমি একজন মুহাদ্দিছ ছাহেব উনাকে বলতে শুনেছি- ‘যে ব্যক্তি সুউচ্চ আওয়াজে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করবেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন, উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ! তারপর মুহাদ্দিছ ছাহেব সুউচ্চ আওয়াজে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। উনার সাথে সাথে আমি এবং উপস্থিত সকলেই সুউচ্চ আওয়াজে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করি অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করি। সেদিনই (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করার অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করার সাথে সাথেই) আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! সেই মাগফিরাত মুবারক আমার নছীব হয়েছেন। এই সম্মানিত নিয়ামত মুবারক দ্বারা আমার মাওলা মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার প্রতি দয়া মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাযকিরাতুল ওয়ায়িযীন, আর রওদ্বুল ফায়িক্ব ৭ নং পৃ.)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মালিকুত তামাম, ক্বাসিমুন নিআম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাতহ মুবারক উনার বরকত (১)
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনন্য শান মুবারক তিনি কায়িনাত মাঝে হাযির-নাযির
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ বুলন্দী শান মুবারক
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছলি না
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সিবত্বতু সুলত্বনিন নাছীর আলাইহিস সালাম, জান্নাতী মেহমান, সাইয়্যিদাতুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহ নাওয়াসী আর রবি‘আহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে এবং সিবত্বতু সুলত্বনিন নাছীর আলাইহিস সালাম, জান্নাতী মেহমান, সাইয়্যিদাতুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহ নাওয়াসী আল খ্বমিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে মুহব্বত করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)