সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আমল মুবারক
, ০১ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৬ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আমল ছিল আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিপূর্ণ ইতায়াতপূর্ণ। প্রতিটি আমলের ক্ষেত্রে তিনি উনাকে পরিপূর্ণ অনুসরণ-অনুকরণ করতেন। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, ইলমে তাছাওউফের কিতাবগুলোতে উল্লেখ রয়েছে। যিনি শায়খ বা মুর্শিদ তথা হিদায়েতের সঠিক পথ প্রদর্শন করবেন তিনি ফরয-ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদা তো অবশ্যই আমল করবেন। এমনকি সুন্নতে যায়িদা বা মুস্তাহাবও পরিত্যাগ করতে পারবেন না। যিনি সুন্নতে যায়িদা ইচ্ছাকৃত পরিত্যাগ করবেন তার নিকট বাইয়াত হওয়া জায়িয নেই। সেক্ষেত্রে যিনি ইমাম, আহলু বাইতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উনার আমল ও আখলাকের বিষয় আমরা কি লিখবো। সাধারণ মানুষ যা জানবে বা লিখবে উনারা তার অনেক উপরে।
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রাত জেগে ইবাদত করতেন। ফলে উনার নূরুদ দারাজাত মুবারক বা পা মুবারক ফুলে যেত। উম্মুল মু’মিনীন হযরত হযরত আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি আরয করতেন- ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক আপনার পূর্বাপর সকল কিছুই কি কবুল করেননি? অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তো আপনাকে মা’ছুম হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। জাওয়াবে তিনি বললেন- হে উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম! আমি কি মহান আল্লাহ পাক উনার শোকর-গোজার বান্দা হবো না?
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সেই সুন্নতটি পালনেও সর্বদা তৎপর ছিলেন। তিনিও রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করতেন। প্রতিরাতে তিনি- একশত পঞ্চাশ রাকায়াত নফল নামায আদায় করতেন। (হিলয়াতুল আউলিয়া- ৩/২১৪, সিয়ারু আলামিন নুবালা-৪/৪০৩)
উল্লেখ্য যে, রাত জাগরণ আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের বিশেষ আমল। উনারা নিজেরা যেমন- রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করতেন, তেমনি স্বীয় মুরীদ-মু’তাকিদ, আশিকীন-মুহিব্বীনদেরকে জাগরণের জন্য বিশেষ উৎসাহ দিতেন। আশিক ও মাশুকের মহামিলন ঘটে রাতে। সারা পৃথিবীর সবাই যখন নিরব-নিস্তব্ধ তখন আশিক তার মাশুকের নৈকট্যের পরম সাধ পায়। আর মাশুক মহান আল্লাহ পাক ও তাকে স্বীয় নৈকট্যের জন্য পরম আগ্রহ ভরে ডাকতে থাকেন। এই জন্য সকল আউলিয়ায়ে কিরামগণই বলেছেন- “যারা যত নিয়ামত পেয়েছেন তা রাত জাগরণের মাধ্যমেই পেয়েছেন। আর যারা পাবেন তারাও সেভাবেই পাবেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একজন খাদিম বর্ণনা করেছেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রাতের ইবাদত-বন্দেগী শেষ করে মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবারে উচ্চস্বরে দোয়া-মুনাজাত করতেন- “হে আমার রব! রাত আগমন করেছে। দুনিয়ার বাদশাহদের কর্মতৎপরতা থেমে গেছে। আকাশে তারকা দেখা দিয়েছে। সমস্ত জগত সুপ্ত যেন জনমানবহীন এ পৃথিবী। মানুষের কোন সাড়াশব্দ নেই। চোখ নিদ্রিত। বণী উমাইয়াও আপনার কোলে শায়িত। তারা তাদের মূল্যবান সম্পদ লুকিয়ে রেখেছে এবং তাদের কাছ থেকে স্বীয় মনোবাঞ্ছা পূর্ণকারীদের দল তাদের আশা ত্যাগ করে চলে গেছে। কিন্তু আপনি! হে আমার রব! আপনি জাগ্রত, আপনি চিরঞ্জীব, আপনি মহাজ্ঞানী এবং সর্বজ্ঞাত। নিদ্রা ও তন্দ্রা আপনার নেই। এটা আপনার জন্য উচিত বা উপযুক্তও নয়।
যে ব্যক্তি আপনার এ গুনাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ, সে ব্যক্তি আপনার নিয়ামত পাওয়ার যোগ্য নয়। হে মহান আল্লাহ পাক! আপনি এমনি এক সত্তা যাঁর কাজে কেউ কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে না। রাত ও দিন উভয়ই যাঁর নিকট সমান। আপনার রহমতের দ্বার সবসময় উন্মুক্ত। আপনাকে আহবানকারী, আপনার প্রশংসাকারী কখনো আপনার দ্বার হতে শূন্য হাতে ফিরে আসে না। যমীন ও আসমানে যা কিছু আছে যারা আপনার নিকট কামনা করে, তারা তা থেকে বঞ্চিত হয় না। হে মহান আল্লাহ পাক! যখন মৃত্যুর ভয়াবহতা, কবরের আযাব এবং হিসাবের কথা মনে পড়ে, তখন কিভাবে আমি এ দুনিয়ায় হাসি মুখে থাকতে পারি? যখন মৃত্যুর ফেরেশ্তার কথা স্মরণ করি তখন দুনিয়া থেকে কিভাবে উপকার লাভ করব? আমি সব কিছুই আপনার নিকট কামনা করছি। আপনাকে একমাত্র রব বলে মনে করি। মৃত্যুর সময় আপনি আমাকে এমন আনন্দ দান করুন যাতে সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়। এবং হিসাবের সময় এমন প্রফুল্লতা দান করুন যাতে সমস্ত ভয়-ভীতি লাঘব হয়ে যায়।
উক্ত খাদিম আরো বর্ণনা করেন, তিনি প্রতি রাতে এমনিভাবে কান্নাকাটি করে দোয়া করতেন। একদিন আমি আরজ করলাম, “হে আমাদের সাইয়্যিদ! আর কতকাল আপনি এমনিভাবে কান্নাকাটি করবেন?” তিনি বললেন, হযরত ইয়াকূব আলাইহিস্ সালাম তিনি উনার এক ছেলেকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। আর আমি হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালামসহ আঠারজন আপন লোক হারিয়েছি। তাই আমার রবের সমীপে ফরিয়াদ করা থেকে কিভাবে বিরত থাকবো?
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাইলাতুর রগ্বাইব শরীফ
মালিকুল জান্নাহ, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্, মালিকুল কায়িনাত, আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে মালিকুল জান্নাহ, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্, মালিকুল কায়িনাত, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক
‘আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছেন, “হযরত হাসান বিন আহমদ বাকরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রেহেম শরীফ-এ) স্থানান্তরিত করার ইচ্ছা মুবারক করলেন, তখন সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আছল মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অন্তর মুবারক-এ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ করার আগ্রহ মুবারক সৃষ্টি করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! ফলে সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম! আমি আশা করি, আপনি আমার পক্ষ থেকে এমন একজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মেয়ে উনার কাছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার বিষয়ে সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক দিবেন, যিনি হবেন সর্বশ্রেষ্ঠা, সর্বোত্তম চরিত্র মুবারক উনার অধিকারিণী, অতি উত্তম জিসিম মুবারক উনার অধিকারিণী, সুদর্শনা, ন্যায়পরায়ণা, উজ্জ্বল দীপ্তিময়ী, সর্বদিক থেকে পরিপূর্ণতার অধিকারিণী, বেমেছাল মান-সম্মান-ইয্যত মুবারক উনার অধিকারিণী, সর্বশ্রেষ্ঠা ও সুউচ্চ বংশীয়া। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহাস সালাম তিনি উত্তরে বললেন, হে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্নেহের পুত্র আলাইহিস সালাম! আপনার জন্য সম্মানিত মুহব্বত মুবারক ও সম্মান-ইয্যত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত কুরাইশ বংশ উনার ও আরবের সকল গোত্রের সমস্ত কুমারী মেয়ে উনাদের ব্যাপারে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সংবাদ নিলেন। কিন্তু তিনি একমাত্র সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ব্যতীত অন্য কাউকে উপরোক্ত সমস্ত গুণাবলী মুবারক উনাদের অধিকারিণী পেলেন না। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম, আপনি দ্বিতীয়বারের মতো আবারো উনাকে দেখুন। তারপর তিনি পুনরায় দেখতে গেলেন এবং উনার দিকে তাকালেন। তখন তিনি উনাকে এমতাবস্থায় দেখলেন যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেন মুক্তা সাদৃশ্য তারকার ন্যায় নূর মুবারক বিচ্ছুরণ করছেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনাদের উভয়ের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ সুসম্পন্ন করে দিলেন।” সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠান মুবারক
আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ পরিপূর্ণরূপে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী কায়দায় অনুষ্ঠিত হয়েছিলেন। সুবহানাল্লাহ! নির্দিষ্ট সময়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ নিয়ে আসা হলো। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ২৪ বছর ১১ মাস ২৯ দিন অর্থাৎ পূর্ণ ২৫ বছর এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ১৮ বছর ৩ মাস ২৫ দিন। সুবহানাল্লাহ! অনেক দিন পূর্ব থেকেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তুতি মুবারক চলছিলেন। দিন যতই নিকটবর্তী হতে থাকলেন, প্রস্তুতি মুবারক ততোই ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছিলেন। ইয়াওমুল খমীস শরীফ (বৃহস্পতিবার) সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার আয়োজনের ধূম পড়ে গেলো। সম্মানিত কুরাইশ বংশীয় সাইয়্যিদযাদাহ সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ। তাই সকলের মাঝে আনন্দের মহাজোয়ার বইছে। জিন, ফেরেশতা, হুর-মালায়িক সকলে খুশি প্রকাশ করছেন। আরশে আ’লা হতে তাহতাছ ছারা পর্যন্ত খুশির জোয়ার বইছে। শুভ মুহূর্ত নিকট থেকে নিকটবর্তী হচ্ছেন। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার পাশেই সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ। সেখানেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার সম্মানিত মজলিস মুবারক অনুষ্ঠিত হবেন। তাই অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে সাজানো হয়েছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার সম্মানিত মজলিস মুবারক। সকলেই সম্মানিত মজলিস মুবারক-এ উপস্থিত হতে লাগলেন। পূর্ণ প্রস্তুতি মুবারক সম্পন্ন হলেন। পবিত্র জুমাদাল উখরা শরীফ উনার সূর্য অস্তমিত হয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার চাঁদ উঁকি দিলেন। বা’দ মাগরিব এবং সম্মানিত ইশা উনার ওয়াক্ত শুরু। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার অনুষ্ঠানে সকলে উপস্থিত হলেন। এমনি শুভক্ষণে সকলের মধ্যমণি সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি উক্ত সম্মানিত মজলিস মুবারক-এ উপস্থিত হয়ে সকলকে ধন্য করলেন। সুবহানাল্লাহ! তখন উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মালাহা মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ললাট মুবারক অর্থাৎ কাপাল মুবারক-এ) এবং সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক থেকে মুক্তা দানার ন্যায় অবিরত ধারায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক বিচ্ছূরিত হচ্ছিলেন। যেন সম্মানিত মজলিস মুবারক-এ নিশির পূর্ণ চাঁদ উদিত হয়ে সকলকে আলোকিত করছেন অথবা দিবালোকের সূর্য সকলের উদ্দেশ্যে আলো বিতরণ করছেন। সুবহানাল্লাহ! সকলের দৃষ্টি উনার দিকে। জিন, ফেরেশতা ও হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই সেই সম্মানিত মজলিস মুবারক-এ উপস্থিত। সকলের মাঝে আনন্দের মহাজোয়ার বইছে। এমতাবস্থায় সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক অনুযায়ী প্রথমে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা ও ছানা-ছিফত মুবারক করেন। তারপর সকলের উদ্দেশ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি বলেন, সেই মহান আল্লাহ পাক উনার অসংখ্য শুকরিয়া আদায় করছি, উনার প্রশংসা মুবারক করছি যিনি আমাদেরকে অফুরন্ত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছেন, আমাদেরকে দয়া-ইহসান মুবারক করেছেন এবং আমাদের হৃদয়ে উনার সম্মানিত শুকরিয়া, প্রশংসা, ছানা-ছিফত মুবারক করার উপলব্ধি দিয়েছেন এবং তা করার তাওফীক্ব মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি আমাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শহর মক্কা শরীফ উনার অধিবাসী বানিয়েছেন। তিনি অন্যান্য গোত্রের উপর আমাদেরকে মর্যাদাবান করেছেন এবং দুর্যোগ ও দুরবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! সেই মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা করছি যিনি আমাদের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ বৈধ করেছেন এবং অবৈধ সংসর্গ নিষিদ্ধ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এইভাবে অনুষ্ঠান মুবারক সূচনা করে তিনি বলেন, এখন আপনাদের অবগতির জন্য পেশ করছি যে, আমাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আপনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ হতে চান এবং আপনাদের সম্মতি হলে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ নিষ্পন্ন করতে চান। আপনারা কি এ প্রস্তাবে রাজি রয়েছেন?
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “অতঃপর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বাজান খাজা সাইয়্যিদুনা হযরত ওয়াহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমরা এই প্রস্তাব মুবারক গ্রহণ করলাম। সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনিও মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা ও ছানা-ছিফত মুবারক করার পর সকলের উদ্দেশ্যে কিছু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি বলেন, সেই মহান আল্লাহ পাক উনার অসংখ্য শুকরিয়া আদায় করছি, উনার প্রশংসা মুবারক করছি যিনি আমাদেরকে দ্বীনে হানীফ উনার উপর প্রতিষ্ঠিত রেখেছেন, উনার সম্মানিত শুকরিয়া, প্রশংসা, ছানা-ছিফত মুবারক করার তাওফীক্ব দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি আমাদেরকে সম্মানিত কুরাইশ গোত্র উনার বিশেষ শাখা সম্মানিত যুহরা গোত্র উনার অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শহর মদীনা শরীফ উনার অধিবাসী বানিয়েছেন। তিনি অন্যান্য গোত্রের উপর আমাদেরকে মর্যাদাবান করেছেন এবং মানুষের খিদমত করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! সেই মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা করছি যিনি আমাদের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ বৈধ করেছেন এবং অবৈধ সংসর্গ নিষিদ্ধ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
এভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা ওয়াহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম তিনি উনার সংক্ষিপ্ত নছীহত মুবারক শেষ করেন। এতে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত খুশি মুবারক প্রকাশ করেন। অতঃপর তিনি হাসিমুখে সায় দিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সকলে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কাজের সাক্ষী থাকলেন। সুবহানাল্লাহ!
তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় করেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ-মুনাজাত মুবারক পরিচালনা করেন। সুবহানাল্লাহ!
এইভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী তরতীব মুবারক অনুযায়ী সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ সুসম্পন্ন হন।” সুবহানাল্লাহ!
সময়টি ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৮ মাস ১২ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা তারীখ ইয়াওমুল খমীস শরীফ (বৃহষ্পতিবার) দিবাগত রাত অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
خَرَجْتُ مِنْ نِكَاحٍ وَّلَـمْ اَخْرُجْ مِنْ سِفَاحٍ مِّنْ لَّدُنْ حَضْرَتْ اٰدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ اِلـٰى اَنْ وَّلَدَنِـىْ اَبِـىْ وَاُمِّـىْ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ لَـمْ يُصِبْنِـىْ مِنْ سِفَاحِ الْـجَاهِلِيَّةِ شَىْءٌ مَّا وَلَدَنِـىْ اِلَّا نِكَاحٌ كَنِكَاحِ الْاِسْلَامِ
অর্থ: “(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,) আমি সর্বোত্তম বিশুদ্ধ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছি; কস্মিনকালেও এর ব্যতিক্রমটি ঘটেনি। সুবহানাল্লাহ! আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার থেকে শুরু করে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের পর্যন্ত আমি যেই সকল সুমহান ব্যক্তিত্ব ও ব্যক্তিত্বা মুবারক উনাদের মাঝে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেছি, উনারা প্রত্যেকেই উনাদের সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন সর্বোত্তম বিশুদ্ধ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার মাধ্যমে। যাতে জাহিলী যুগের কোনো অপকর্ম কস্মিনকালেও স্পর্শ করেনি। আমি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র নিকাহ মুবারক উনার ন্যায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল আওসাত্ব লিত ত্ববারনী ৫/৮০, আল বাদরুল মুনীর ৭/৬৩৭, আল মাত্বালিবুল আলীয়াহ ১৭/১৯৮, মাজমাউয যাওয়াইদ ৮/১৪৯, আল জামিউছ ছগীর ১/৩৬৪, আল ফাতহুল কাবীর ২/৮২, দায়লামী শরীফ ২/১৯০, জামিউল আহাদীছ ৯/৪৯৮, আল খছাইছুল কুবরা ১/৬৫, সীরাতে হালবিয়্যাহ ১/৬৮, দালাইলুন নুবুওওয়াহ লিআবী নাঈম ১/১৯, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/২৩৭ ইত্যাদি)
এই সমস্ত দলীল-আদিল্লাহ উনাদের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী তরতীব মুবারক অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মূলত এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তরতীব মুবারক অনুযায়ী বিবাহ অনুষ্ঠান করা সকলের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছেন। অর্থাৎ উনারা সকলকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক শিক্ষা দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারক:
আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারক ছিলেন নগদ এক উকিয়া স্বর্ণ ও এক উকিয়া রৌপ্য। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক:
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন সমস্ত কুরাইশ সম্প্রদায় উনাদের সাইয়্যিদ। তিনি তো জিন-ইনসানকে খাওয়াতেনই; শুধু তাই নয়, বরং বন্যপশু-পাখীদেরকেও তিনি খাদ্য খাওয়াতেন। সুবহানাল্লাহ! তাই তিনি সকলের মাঝে ‘মুত্ব‘ইমুল ইন্সি ওয়াল ওয়াহ্শি ওয়াত ত্বইর’ অর্থাৎ মানুষ, বন্য পশু ও পাখীদেরকে খাদ্যদানকারী এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক-এ পরিচিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! তাহলে তিনি উনার সবচেয়ে প্রিয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার ওলীমা মুবারক-এ কত বিশাল বড় অনুষ্ঠান মুবারক করেছেন, কতো বেমেছালভাবে আয়োজন মুবারক করেছেন এবং জিন-ইনসান ও পশু-পাখীকে কি পরিমাণ মেহমানদারী মুবারক করেছেন, খাদ্য খায়িয়েছেন, তা সকলের চিন্তা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! তবে কিতাবের এক বর্ণনায় দেখা যায় যে, তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক উপলক্ষে একশত উট, একশত গরু, একশত বকরী জবাই করে প্রচুর পরিমাণে খাবার প্রস্তুত করেছেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ ও তৎসংলগ্ন এলাকার সবাইকে দাওয়াত করে মেহমানদারী মুবারক করেছেন। এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মেহমানদারী মুবারক চারদিন পর্যন্ত চলেছে। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাইলাতুয যুফাফ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রগ্বাইব শরীফ
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ফুল সজ্জিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ-এ নিয়ে যাওয়া হলো। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ ছোহবত মুবারক অর্থাৎ সাক্ষাৎ মুবারক-এ গেলেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার থেকে কুদরতীভাবে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রাত্র মুবারক উনাকে ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাইলাতুর রগ্বাইব শরীফ’ বলা হয়। সুবহানাল্লাহ! সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় রাতখানা ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা তারীখ এবং ইয়াওমুল খমীস (বৃহষ্পতিবার) দিবাগত রাত মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জুমু‘আহ্ শরীফ উনার রাত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত যায়িদ বিন হারেছাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বেমেছাল মুহব্বত মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৪)
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক উনার গুরুত্ব এবং আবশ্যকতা
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৩)
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারকই হচ্ছেন মুসলমান উনাদের একমাত্র শাসন ব্যবস্থা
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (২)
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক উনার পরিচিতি
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)