সর্বশ্রেষ্ঠ নেক আমল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার মাধ্যমে সর্বোচ্চ নৈকট্য ও সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা মুবারক লাভ (২)
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
, ১৯ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৩ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
فَجَاءَ عَلـٰى بُسْتَانِ الْـجَنَّةِ اِذْ رَاٰى اُمَّهٗ عَلـٰى شَطْرِ الْكَوْثَرِ تَسْقِىْ شَرَابًا طَهُوْرًا مِنْ نِّسَاءِ الصَّالِـحَاتِ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ وَكَانَ مِنْ جَانِــبِهَا كَـرَاسِىُّ جَلَسَتِ النِّسْوَانُ عَلَيْهَا فَسَاَلَ مِنَ الْمَلَكِ مَنْ هٰذِهِ النِّسَاءُ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ قَالَ هُنَّ اُمُّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ الْاُوْلـٰى سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَلْكُـبْـرٰى عَلَيْهَا السَّلَامُ ( سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ خَدِيْجَةُ اَلْكُـبْـرٰى عَلَيْهَا السَّلَامُ) وَاُمُّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ الثَّالِـثَةُ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ )سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ عَائِشَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ( وَالنُّوْرُ الرَّابِعَةُ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَلزَّهْرَاءُ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) وَسَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اُمُّ رُوْحِ اللهِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ مَرْيَـمُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) وَسَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ رَبَّـةُ كَلِـيْمِ اللهِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اٰسِيَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) وَسَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اُمُّ ذَبِـيْحِ اللهِ الثَّانِـيَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ سَارَّةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) وَسَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اُمُّ ذَبِـيْحِ اللهِ الْاُوْلـٰى عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ هَاجَرُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) فَتَعَجَّبَ اِبْـنُهَا وَذَهَبَ اَمَامَهٗ اِذْ رَاٰى هُنَاكَ سَرِيْرًا مُكَلَّلًا مِّنَ الْمُرَصَّعِ وَجَلَسَ عَلَيْهِ رَجُلٌ جَـمِيْلٌ يَعْنِـىْ سَيِّدَنَا مَوْلـٰـنَا مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِـىْ حِجْرِهٖ شَابَّانِ وَحَوْلَهٗ فُرِشَتِ الْكَرَاسِىُّ وَعَلَيْهَا اَرْبَعَةٌ مِّنَ الصُّلَحَاءِ وَهُمْ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقُ الْاَكْـبَـرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ (حَضْرَتْ اَبُوْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ) وَسَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ (حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ) وَسَيِّدُنَا حَضْرَتْ ذُو النُّوْرَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ (حَضْرَتْ عُثْمَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ) وَاِمَامُ الْاَوَّلِ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ (حَضْرَتْ عَلِىٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ) وَاَيْضًا اِلـٰى يَـمِيْنِهٖ كَانَتِ الْكَرَاسِىُّ مِنَ الذَّهَبِ وَعَلَيْهَا جَلَسُوْا كُلُّ الْاَنْۢبِيَاءِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ وَفِـىْ يَسَارِهٖ كُلُّ الْاَوْلِيَاءِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ وَالشُّهَدَاءِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ وَحَوْلَـهُمْ زُمْرَةُ الْمَلَائِكَةِ مِنَ الْمُقَرَّبِـيْـنَ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ اِذْ رَاٰى لِاَبِـيْهِ قَدْ قَامَ عَقْبَ سَيِّدِنَا حَبِـيْـبِـنَا شَفِيْعِنَا مَوْلـٰـنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِـيَدِهٖ مِنْدِيْلًا يَـتَحَرَّكُ عَلـٰى فَرَقِهٖ فَجَاءَ عِنْدَهٗ وَسَلَّمَ وَقَالَ يَا اَبَتِ بِـمَ وَصَلْتَ لِـهٰذِهِ الْمَرْتَبَةِ فَعَرَفَ اِبْنَهٗ وَسَعٰى اِلَيْهِ وَضَمَّ صَدْرَهٗ وَقَالَ اِنِّـىْ وَصَلْتُ فِـىْ هٰذِهِ الْمَقَامِ بِـبَـرَكَةِ مَوْلِدِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا فَتَحَ عَـيْنَيْهِ وَقَامَ وَبَاعَ بَيْتَهٗ مَعَ اَثَاثِهٖ وَاَخَذَ ثَـمَنَهَا وَاشْتَـرٰى اَرُزًّا وَسَـمْنًا وَلَـحْمًا وَطَبَخَ طَعَامًا نَفِيْسَةً فَيُؤْكِلُ لِلْعُلَمَاءِ وَالصُّلَحَاءِ فَاِذَا فَرَغَ جَاءَ اِلـٰى الْمَسْجِدِ وَسَكَنَ فِـيْهَا اِلـٰى ثَلَاثِـيْـنَ سَنَةً فِـىْ عِبَادَةِ اللهِ فَمَاتَ فَرُءِىَ لَهٗ رَجُلٌ بَعْدَ مُدَّةٍ وَسَاَلَهٗ عَنْ حَالِهٖ فَقَالَ اِنِّـىْ وَصَلْتُ عِنْدَ اَبِـىْ بِبَـرَكَةِ فِعْلِ مَوْلِدِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاِذَا اَفَاقَ الرَّجُلُ قَالَ هٰذَا لِقَوْمٍ اٰخِرٍ
অতঃপর তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার বাগানের মধ্যে আসলেন। হঠাৎ তিনি উনার সম্মানিতা মাতা উনাকে মহাসম্মানিত হাউযে কাউছার মুবারক উনার কিনারে এমতাবস্থায় দেখতে পেলেন যে, উনার সম্মানিতা মাতা তিনি সর্বোত্তম নেককার মহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে ‘শারাবান ত্বহূরা’ পবিত্র পানীয় বা পানি মুবারক পান করাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার সম্মানিতা মাতা উনার পাশে অনেকগুলো মহাসম্মানিত আসন মুবারক উনাদের উপর অনেক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনারা বসা রয়েছেন। তখন ঐ ছেলে তিনি একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কারা? হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘উনারা হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত খ¦াদিজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম) তিনি, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশাহ্ আলাইহাস সালাম) তিনি, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, নূরুর রবিয়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহ্রা আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাহ্ আলাইহাস সালাম) তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ্ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারইয়াম আলাইহাস সালাম) তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত রব্বাতু কালীমিল্লাহ্ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত আসিয়াহ্ আলাইহাস সালাম) তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু যাবীহিল্লাহ্ আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত র্সারাহ্ আলাইহাস সালাম) তিনি এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু যাবীহিল্লাহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাজারা আলাইহাস সালাম) তিনি।’ সুবহানাল্লাহ! তখন ঐ মহিলা উনার ছেলে তিনি অত্যন্ত আশ্চর্যান্বিত হলেন এবং সামনে অগ্রসর হলেন। হঠাৎ তিনি সেখানে অত্যন্ত নূরানী সুসজ্জিত একটি মহাসম্মানিত খাট মুবারক দেখতে পেলেন। ঐ মহাসম্মানিত খাট মুবারক উনার উপর অত্যন্ত সুন্দর একজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ব্যক্তিত্ব মুবারক অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বসা রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আযহার মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কোল মুবারক) উনার মধ্যে দুইজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যুবক (হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা) উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার কাছাকাছি কতগুলো সম্মানিত আসন মুবারক বিছানো রয়েছেন। সেই সম্মানিত আসন মুবারক উনাদের উপর চারজন অত্যন্ত নেককার ব্যক্তিত্ব মুবারক উনারা বসা রয়েছেন। উনারা হচ্ছেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি, ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা চারজন। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপভাবে ঐ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার ডান পাশে স্বর্ণের অনেকগুলো সম্মানিত আসন মুবারক রয়েছেন। আসন মুবারকগুলোর উপর সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা বসা রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার বাম পাশে সমস্ত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এবং হযরত শুহাদায়ে ‘ইযাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বসা রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনাদের কাছাকাছি রয়েছেন হযরত মুক্বাররবীন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের একটি দল। সুবহানাল্লাহ! হঠাৎ ঐ ছেলে তিনি উনার সম্মানিত পিতা উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিছনে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখলেন যে, তিনি একটি রুমাল হাতে নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর ঐ ছেলে তিনি উনার সম্মানিত পিতা উনার নিকট এসে সালাম দিয়ে বললেন, ‘হে আমার সম্মানিত পিতা আপনি কিভাবে এই মর্যাদায় পৌঁছলেন?’ তখন ঐ ব্যক্তি তিনি উনার ছেলেকে চিনতে পেরে দ্রুত উনার দিকে এগিয়ে গিয়ে বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আমি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বরকতে এই মর্যাদা মুবারক লাভ করেছি।’ সুবহানাল্লাহ! যখন ঐ ছেলে তিনি উনার দু’চোখ খুললেন এবং ঘুম থেকে জেগে উঠলেন, তখন তিনি উনার ঘর-বাড়ি এবং সমস্ত আসবাবপত্র বিক্রি করে দিলেন। আর তিনি সেই বিক্রিত অর্থ নিয়ে চাউল, ঘি এবং গোস্ত ক্রয় করে উৎকৃষ্ট খাদ্য রান্না করলেন অর্থাৎ তাবারুক প্রস্তুত করলেন। তারপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে বিশেষ মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিজাম করে আলিম-উলামা এবং নেককার ব্যক্তিগণ উনাদেরকে খাওয়ালেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর তিনি এই কাজ শেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ আসেন। আর তিনি সেখানে ৩০ বছর যাবৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগীতে, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে কাটান। সুবহানাল্লাহ! এরপর তিনি ইন্তিকাল করেন। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর এক ব্যক্তি উনাকে স্বপ্নে দেখে উনার অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তখন তিনি বললেন, ‘মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বরকতে আমি আমার সম্মানিত পিতা উনার নিকট পৌঁছেছি অর্থাৎ আমিও আমার সম্মানিত পিতা উনার ন্যায় একই মর্যাদা লাভ করেছি।’ সুবহানাল্লাহ! ঐ ব্যক্তি তিনি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এই ওয়াক্বেয়া মুবারক পরবর্তী সম্প্রদায়ের নিকট বর্ণনা করেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাযকিরাতুল ওয়ায়েযীন, মীযানুল ই’তিদাল ফী বায়ানিল হাক্কি ওয়াদ দ্বলাল)
এখন বলার বিষয় হচ্ছে, বছরে একবার মাত্র মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে যদি এরূপ সর্বোচ্চ নৈকট্য, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা মুবারক লাভ করা যায়, তাহলে কেউ যদি খালিছ নিয়তে সমস্ত কিছু কুরবান করে দিয়ে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন, তাহলে তিনি কিরূপ সর্বোচ্চ নৈকট্য, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক এবং নেয়ামত মুবারক লাভ করবেন? মূলত, এটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মাধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আওলাদি রসূলিল্লাহ, জামিয়াতুল মাক্বামাত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীমাহ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২২)
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (২)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এক নযরে রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৮)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২১)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)