সর্বজনমান্য ও নির্ভরযোগ্য বহু ইমাম-মুজতাহিদ এবং আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কর্তৃক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক উনাকে ‘ঈদ, ঈদে আকবর ও ঈদে আ’যম’ হিসেবে গ্রহণ করার দলীল (১)
, ১২ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৯ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
فَرَحِمَ اللهُ اِمْرَاً اِتَّخَذَ لَيَالِىْ شَهْرِ مَوْلِدِهِ الْمُبَارَكِ اَعْيَادًا
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তির উপর সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করুন, যেই ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাস মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রাত্রসমূহ উনাদেরকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করেছেন বা করবেন।” (আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ্ ১/৯০, শরহুয যারক্বানী ১/২৬২)
(২) মালিকী মাযহাবের বিশিষ্ট ফক্বীহ আল্লামা হযরত ইমাম আবুল আব্বাস আহমদ ইবনে কাযী আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে মুহম্মদ আল আযাফী আল লাখমী আস সাবতী মালিকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৫৫৭ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
فَالْعِيْدُ يَوْمُ الثَّانِىْ عَشَرَ مِنْ رَّبِيْعِ الْاَوَّلِ
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ হচ্ছেন সম্মানিত ঈদের দিন।” সুবহানাল্লাহ! (আদ দুররুল মুনাজ্জাম ফী মাওলিদিন নাবিয়্যিল মু‘আয্যাম লিল আযাফী ১৩৭)
(৩) আল ইমামুল আলাম, আল্লামা, ফক্বীহ হযরত শায়েখ আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আহমদ বান্নীস ফাসী মালিকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ১১৬০ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ১২১৪ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
وَاِذَا ثَبَتَ اَنَّ لَيْلَةَ وِلَادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَبِيْحَتِهَا اَفْضَلُ اللَّيَالِىْ وَالْاَيَّامِ فَهُوَ عِيْدٌ وَمَوْسِمٌ
অর্থ: “আর যখন প্রমাণিত হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রাত্র মুবারক এবং সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রাত্র মুবারক উনার সকাল (ছুবহে ছাদিক্বের সময়) সমস্ত রাত্রসমূহের মধ্যে এবং সমস্ত দিনসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বোত্তম, তাহলে সেটা (অবশ্যই) ঈদ এবং উৎসবকাল।” সুবহানাল্লাহ! (আল ই’লাম)
(৪) বিশিষ্ট সূফী, বুযূর্গ, ওলীআল্লাহ আল্লামা হযরত ইমাম আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে ইবরাহীম ইবনে আবূ বকর আব্দুল্লাহ ইবনে মালেক ইবনে ইবরাহীম ইবনে ইয়াহ্ইয়া ইবনে আব্বাদ রুনদী মালিকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৭৩৩ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ৭৯২ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
وَاَمَّا الْمَوْلِدُ فَالَّذِىْ يَظْهَرُ لِىْ اَنَّهٗ عِيْدٌ مِّنْ اَعْيَادِ الْمُسْلِمِيْنَ وَمَوْسِمٌ مِّنْ مَّوَاسِمِهِمْ
অর্থ: “আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সময় মুবারক- যা আমার নিকট প্রকাশ হয়েছেন, নিশ্চয়ই তা সম্মানিত মুসলমান উনাদের ঈদসমূহের মধ্য থেকে একটি সম্মানিত ঈদ মুবারক এবং উৎসবসমূহের মধ্য থেকে একটি বিশেষ উৎসব মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (আর রসায়িলুল কুবরা, মাওয়াহিবুল জালীল শারহু মুখতাছারিল খলীল ২/৪০৭)
(৫) আল্লামা হযরত ইমাম আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে ইবরাহীম ইবনে আবূ বকর আব্দুল্লাহ ইবনে মালেক ইবনে ইবরাহীম ইবনে ইয়াহ্ইয়া ইবনে আব্বাদ রিনদী মালিকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত শায়েখ বিশিষ্ট ওলীআল্লাহ হযরত শায়েখ ইবনে আশির রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
اِنَّ هٰذَا الْيَوْمَ يَوْمُ فَرْحٍ وَّسُرُوْرٍ
অর্থ: “নিশ্চয়ই (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের) এই দিন খুশি প্রকাশের এবং আনন্দের দিন।” সুবহানাল্লাহ! (আর রসায়িলুল কুবরা, মাওয়াহিবুল জালীল শারহু মুখতাছারিল খলীল, আল মি’ইয়ার ১/৩৩৮)
তিনি আরো বলেন,
اِنَّهٗ يَوْمُ عِيْدٍ
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন মুবারক হচ্ছেন ‘সম্মানিত ঈদের দিন’।” (আল মি’ইয়ার ১/৩৩৮)
(৬) নির্ভরযোগ্য কপিতয় ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেন,
اِنَّهٗ مِنْ اَعْيَادِ الْمُسْلِمِيْنَ
অর্থ: “নিশ্চয়ই এই দিন মুবারক সম্মানিত মুসলমান উনাদের ঈদসমূহের অন্তর্ভূক্ত।” সুবহানাল্লাহ! (শরহুল কুরতুবিয়্যাহ্ ২৪১ নং পৃষ্ঠা)
(৭) বিশিষ্ট ফক্বীহ্, আল আদীব, আল মুর্আরিখ, বদরুদ্দীন হযরত ইমাম আবূ মুহম্মদ হাসান ইবনে উমর ইবনে হাসান ইবনে হাবীব হালাবী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৭৭৯ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
فَمَا اَكْرَمُ اَيَّامِ مَوْلِدِهِ الشَّرِيْفِ عِنْدَ مَنْ عَرَفَ قَدْرَهَا وَمَا اَعْظَمُ بَرَكَتِهَا عِنْدَ مَنْ عَرَفَ سِرَّهَا وَنَشْرَهَا وَحَقِيْقٌ بِيَوْمٍ كَانَ فِيْهِ وُجُوْدُ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنْ يَّتَّخِذَ عِيْدًا
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন মুবারক উনার ক্বদর যে ব্যক্তি বুঝেছেন, উনার নিকট সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন মুবারক কতই না মর্যাদাসম্পন্ন! আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন মুবারক উনার তাৎপর্য এবং বিস্তৃতি যে ব্যক্তি জানতে পেরেছে, তার নিকট সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন মুবারক কতই না সুমহান! আর যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন মুবারক-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল কুদরত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওজূদ পাক মুবারক) উনার প্রকাশ ঘটেছেন, সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন মুবারক উনার হক্ব হচ্ছেন ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন মুবারক উনাকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করা।” সুবহানাল্লাহ! (আল মুক্বতাফা মিন সীরাতিল মুস্ত¡ফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১/৩২)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মাধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আওলাদি রসূলিল্লাহ, জামিয়াতুল মাক্বামাত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীমাহ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২২)
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (২)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এক নযরে রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৮)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২১)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)