সরকারের তরফ অনেক ধরনের হন্বি-তন্বি প্রকাশের পর এবারো রোজায় পণ্যদ্রব্যের দাম ঠিকই বাড়লো পণ্যমূল্য বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেট ছাড়াও সাধারণের বেশী বেশী কেনার প্রবণতা, যানজট, চাঁদাবাজি ইত্যাদির অবসান ঘটাতে হবে। সর্বপোরি পুজিবাদী মানসিকতা রোধে ইসলামী মূল্যবোধের বিস্তার ঘটাতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ১৫ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
প্রতিবার রোযা এলেই নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের দাম বাড়ে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। যদিও সরকার অভয় দিয়ে বলেছিল যে, এবারের রোযায় জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না। কিন্তু রোযার ঢের আগেই বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছিল। রোযা যত ঘনিয়ে আসছে দাম তত ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।
খুচরা বাজারে চিনি, ছোলা ও ডালের দাম বেড়েছে। গরুর গোশত ও মাছের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বাড়ছে মুরগির দামও। রমজান মাসে প্রয়োজন হয় এমন সবজির দাম বাড়ছে। নাগরিক মনে প্রশ্নÑ রোজায় দ্রব্যমূল্য আর নিয়ন্ত্রণে থাকল কোথায়।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম কমিয়েছে সরকার। কিন্তু খুচরা বাজারে নতুন দরে তেল মিলছে না। তেলের দাম যখন বাড়ে তখন বাজারে তার প্রভাব পড়তে সময় লাগে না। কিন্তু দাম কমলে তার সুফল পেতে ভোক্তাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।
রোজাকে কেন্দ্র করে যে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে সেটা সংশ্লিষ্টদের অজানা নয়। প্রতিবারই রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়। হাঁকডাক দেয়া হয়, বক্তৃতা-বিবৃতি দেন নীতিনির্ধারকরা। এবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা কিছু কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে তারা দ্রব্যমূল্য কমানোর অনুরোধ করেছেন, হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছিলেন। সেসব বৈঠক বা কর্মপরিকল্পনা কাজে এসেছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। কর্মপরিকল্পনা কাজে না আসার কারণ কী, সমস্যা কোথায় তা ভেবে দেখা দরকার।
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ায় লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না। রোজার মাসেও সেটা সম্ভব হয়নি। রোজার মাসে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে নিত্যপণ্যের দাম কমে। অথচ বাংলাদেশে এর বিপরীত চিত্র দেখা যায়। রোজা এলেই দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে ভোক্তারা।
আইন প্রয়োগ করে এবং নির্দিষ্ট পণ্যে ভর্তুকি দিয়ে দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা শুধু আইন দিয়ে বা প্রশাসনিক পদক্ষেপের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিনা সেটা পুরনো প্রশ্ন। কার্যকর বাজার ব্যবস্থাপনা থাকলে, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হলে হয়তো পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারত।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এবার পবিত্র মাহে রামাদ্বান শরীফে বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। আমদানী করা এবং দেশে উৎপাদিত পণ্য সবকিছুর সরবরাহ পর্যাপ্ত।
তারপরও দাম বাড়ছে কেন রমজানে? ভিন্ন দৃষ্টির পর্যবেক্ষক মহল বলেন, রোজার মাসে ভোগ্যপণ্য কেনার যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। তিনমাসে যা কেনেননি তা একমাসে কিনছেন সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীদের পাগল হওয়ার মতো অবস্থা। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ভোগ্যপণ্য সরবরাহ করতে গিয়ে তারা হিমশিম খাচ্ছে।
এতে অনেক ব্যবসায়ীরা জানান, এই মাসে মানুষ বেশি কিনছেন। কেউ পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে করছেন। কেউ প্রয়োজনের চেয়েও বেশি কিনছেন। আবার সাধারণ মাসের চেয়ে রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের ব্যবহারও বেশি হয়। এসব কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়।
আরেক বড় সমস্যা হচ্ছে যানজট। চট্টগ্রাম থেকে মাল ঢাকায় আনতে হয়। রোযার কয়েকদিন আগে থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট শুরু হয়েছে। ফলে পরিবহণ খরচ বেড়ে গেছে। এ কারণে দামও কিছুটা বেড়েছে।
তবে আমদানি করা ভোগ্যপণ্যের একটি শক্ত সিন্ডিকেট আছে আমাদের দেশে। তারা অতিরিক্ত মুনাফার জন্য শুধু রোযা নয়, বিভিন্ন সময় বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে অনেক ভোগ্যপণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কম হলেও আমাদের এখানে বেশি। আর দেশীয় ভোগ্যপণ্যে মধ্যস্বত্বভোগীরা মুনাফার জন্য পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে চাহিদার দিকে খেয়াল করে দাম বাড়িয়ে দেয়। ভারতে পিঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১২ রুপি আর সেই পিঁয়াজ আমাদের এখানে ১০০ টাকা কেজি। এটা কিভাবে হয়?''
পবিত্র রমাদ্বান শরীফে নিত্যপণ্যের বাজার সামলাতে আছে সরকারের ১১ সংস্থা। এই ১১ সংস্থার প্রায় ৩০-৩৫টি টিমের বাজার মনিটর করার কথা। কিন্তু ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে ঠিকই মুনাফা লুটে নিচ্ছে। তারা বলছেন, এসব সংস্থার নির্দেশ অনেকেই মানছে না। কখন কোন সংস্থা কোন নির্দেশ দিচ্ছে, তা কে মানছে আর কে মানছে না, তা তদারকির কেউ নেই।
বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর ও সিটি কর্পোরেশন। এর বাইরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করার কথা। একইসঙ্গে বাজারে আগে থেকেই কাজ করছে সরকারের চারটি গোয়েন্দা সংস্থা। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বাজারে মূল্য পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ৫টি নিত্যপণ্য মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, চিনি, খেজুর ও ছোলা বিক্রি করছে। অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে খোলা বাজারে বিক্রি করছে।
পর্যবেক্ষকমহল বলেন, এই মনিটরিং টিমগুলো ঠিকমতো কাজ করছে বলে মনে হয় না। বাজারে তাদের দৃশ্যমান উপস্থিতি দরকার। আগে আমরা বিক্রেতারা দাম বেশি নেয়ায় তাদের শাস্তির আওতায় আনতে দেখেছি। এখন আর সেরকম হচ্ছে না। এইসব দৃশ্যমান তৎপরতা অব্যাহত থাকলে অযথা দাম বাড়ানোর প্রবণতা কমবে।
অভিজ্ঞমহল বলেন, টিসিবির মাধ্যমে কিছু পণ্য বাজারে ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করলে তাতে আসলে কোনো ফল আসবে না। প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই পণ্যের দাম ঠিক করতে হবে৷ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। আমদানি পণ্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দূর করতে হবে।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, পুঁজিবাদী মানসিকতার কারণে একটি গোষ্ঠী রোজার মাসে মানুষকে জিম্মি করে, সিন্ডিকেট করে অতিরিক্তি মুনাফা আদায়ের চেষ্টা করে। আমরা এটা অনেক দিন ধরেই দেখে আসছি। কিন্তু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম এই সিন্ডিকেট ও পণ্য জমা করে দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে বলেছে। মুসলমান হিসেবে আমাদের এ ধরণের মানসিকতা পরিত্যাগ করা উচিত।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার বিশাল নথিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখলদার ১ লাখ ৬০ হাজার নাম এসেছে শুধু নাম সর্বস্ব না করে বনভূমি উদ্ধারের বাস্তব নজীর চাই
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফুটপাতের প্রান্তিক হকারদের কাছ থেকে অসৎ ও লুটেরা মহল প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করছে শত শত কোটি টাকা; অথচ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ অর্থ দিয়ে বারবার উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসন সম্ভব; অন্যদিকে এই অর্থ যোগ হতে পারে জাতীয় অর্থনীতিতে। সরকারের আশু নজর কাম্য।
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)