সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক কায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া (৮)
, ১৫ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২১ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
হযরত মূসা ইবনে আয়মন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
كانت الأسد والغنم وَالْوَحْشُ تَرْعَى فِي خِلَافَةِ حَضْرَتْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ العزيز رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ في موضع واحد فعرض ذات يوم لِشَاةٍ مِنْهَا ذِئْبٌ فَقُلْتُ إِنَّا لِلَّهِ مَا أَرَى الرَّجُلَ الصَّالِحَ إِلَّا قَدْ هَلَكَ قَالَ فَحَسَبْنَاهُ فَوَجَدْنَاهُ قَدْ هَلَكَ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ
অর্থ: “হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে সিংহ, ছাগল, ভেড়া, মেষ এবং অন্যান্য হিং¯্রপ্রাণী একই চারণভূমিতে অবস্থান করতো। সুবহানাল্লাহ! একদিন একটি বাঘ একটি বকররি পিছু নিলো। তখন আমি ইন্না লিল্লাহ্ পড়ে ভাবলাম, আমার তো মনে হয় মহান আল্লাহ পাক উনার সেই নেক বান্দা অর্থাৎ হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সম্মানিত বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা দিন গণনা করে হিসাব করে দেখলাম, হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সেই রাতেই সম্মানিত বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন। ” (মুখতাছারু তারীখে দিমাশক্ব ৬/৮২, আল বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ্ ৯/২২৮)
হযরত মূসা ইবনে আয়মন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
كنا نرعى الشاء بكرمان في خلافة حَضْرَتْ عمر بن عبد العزيز رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فكانت الشاة والذئب ترعى في مكان واحد فبينا نحن ذات ليلة إذ عرض الذئب للشاة قلت ما نرى الرجل الصالح إلا قد هلك فحسبوه فوجدوه مات تلك الليلة
অর্থ: “হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে আমি কিরমানে ছাগল চরাতাম। সেই সময় বাঘ ও বকরি একত্রে থাকতো। কিন্তু বাঘ বকররি উপর আক্রমন করতো না। সুবহানাল্লাহ! একরাতে বকররি উপর বাঘকে হামলা করতে দেখে বললাম, মনে হয় আজ সেই ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিত্ব মুবারক তিনি সম্মানিত বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন। বস্তুত অনুসন্ধান করে জানা গেল, তিনি সেই রাতেই সম্মানিত বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল খুলাফা ২০১ নং পৃষ্ঠা)
হযরত কছাব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে বাঘ ও ছাগল এক সাথে চরতে দেখে বললাম- ‘সুবহানাল্লাহ! বাঘ-বকরি একত্রে থেকেও কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। ’ এই কথা শুনে রাখাল বললো- ‘মাথা বিশুদ্ধ হলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না’। ” সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল খুলাফা ২০১ নং পৃষ্ঠা)
হযরত মালিক বিন দীনার রহমতুল্লহি আলাইহি তিনি বলেন, “হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি খলীফা মনোনীত হওয়ার পর জনৈক রাখাল বিস্ময় প্রকাশ করে বলে, এমন কোন ব্যক্তিত্ব মুবারক খলীফা মনোনীত হয়েছেন যে, বাঘ আমার ছাগলের ক্ষতি করে না! সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল খুলাফা- ২০১)
এখন বলার বিষয় হচ্ছে, হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে বনের প্রাণীদের মাঝে যদি এতটুকু ইনছাফ থাকে, তাহলে মানুষের মাঝে কতটুকু ইনছাফ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, তা চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়। সুবহানাল্লাহ!
বিশ্ববাসী যদি এই ইনছাফ প্রত্যাশা করে, সত্যিকারার্থেই সুখ-শান্তি ও ইতমিনান লাভ করতে চায়, তাহলে তাদেরকে অবশ্যই সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক উনার পথে এগিয়ে আসতে হবে, কোশেশে নিয়োজিত হতে হবে।
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুলি মুবারক করা পানি কূপে পতিত হওয়ার কারণে কুপ থেকে মেশকের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন আলা নূর মুবারক উনার মাঝে দায়িমীভাবে নূর মুবারক চমকানো
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাসি মুবারককালে পাশ্ববর্তী দেয়ালসমূহ আলোকিত হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)