সমকামতিা বান্ধব আইনরে খসড়া প্রণয়নরে বরিুদ্ধে প্রতবিাদসহ ১৪ দাবি সচতেন নাগরকি সমাজরে
, ৩০ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৬ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) দেশের খবর
সমকামিতা বান্ধব আইনের খসড়া প্রণয়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে সচেতন নাগরিক সমাজ। গতকাল ইয়াওমুস সাবত (শনিবার) রাজধানী মালিবাগ মোড়ে ফালইয়াফরাহু চত্বরে তারা এই প্রতিবাদ জানায়।
সভায় সচেতন নাগরিক সমাজের বক্তারা বলেন, সম্প্রতি সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ এর ৮টি ধারায় সংশোধনে খসড়া তৈরী করেছে। এর মধ্যে একটি ধারায় ‘লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা’ শব্দদ্বয় ব্যবহার করে, সমকামী বান্ধব ধারা সংযুক্ত করেছে, যার মাধ্যমে সমাজে সমকামীদের বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হবে এবং কেউ সমকামীতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করে শাস্তি দেয়া হবে।
বক্তারা বলেন, পবিত্র কুরআন-সুন্নাহ অনুসারে সমকামীতা নিকৃষ্ট অপরাধ এবং বাংলাদেশের আইনেও নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও সমকামী বান্ধব এ ধরনের আইন তৈরীর উদ্যোগ দেশের জনগণের দ্বীনি অনুভূতির বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর এক ষড়যন্ত্র। আমরা এর তীব্র ও নিন্দা প্রতিবাদ জানাই এবং সরকারের উচিত হবে অবিলম্বে উক্ত খসড়াটি বাতিলপূর্বক দেশ ও জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
আলোচকগণ বলেন, অন্তর্র্বতী সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে দ্রুত নির্বাচন দেয়ার জন্য। কিন্তু তাকে কোন আইন প্রণয়নের অধিকার দেয়া হয়নি এবং আইন প্রণয়নের কোন অধিকারও তার নেই।
সচেতন নাগরিক সমাজের বক্তাগণ দেশ ও জাতির কল্যাণে মোট ১৪টি দাবী উত্থাপন করেন। দাবীগুলো হলো-
১ম দফা : নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক শানে কোন কুলাঙ্গার মানহানী করলে তার শরঈ শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।
২য় দফা : পাঠ্যক্রমে নূরে মুসজাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভূক্তকরণ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম নির্ভর শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে। আরবী ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৩য় দফা : পবিত্র কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন কুফরী আইন পাশ করা যাবে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ সংশোধনের খসড়ায় সমকামীতার বিরুদ্ধাচারণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করায়, খসড়াটি বাতিল করতে হবে। কোন আইন বা সংবিধানের ধারা সংস্কার করতে হলে অবশ্যই তা পবিত্র কুরআন-সুন্নাহের ভিত্তিতেই করতে হবে, এর ব্যতিক্রম করা যাবে না। তবে অবশ্যই হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের আদলে দেশ পরিচালনা করতে হবে। যা করলে সর্বোত্তমভাবে দেশ পরিচালিত হবে।
৪র্থ দফা : বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কোন অফিস স্থাপন করা যাবে না। বিদেশীদের কোনো অফিস বা ঘাটি এই দেশে করতে দেয়া যাবেনা।
৫ম দফা : দ্রব্যমূল্য ও চিকিৎসা সেবার উর্ধ্বগতি হ্রাস করতে হবে। মূল্য বা খরচ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে। দেশের ৪০ কোটিরও বেশি জনগণের খাদ্য, চিকিৎসা, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং সাংসারিক জীবনযাত্রার খরচ কমাতে হবে। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৬ষ্ঠ দফা : পাহাড়ে উপজাতিদের আদিবাসী বলা যাবে না। উপজাতিদের পৃথক রাষ্ট্র গঠনের ষড়যন্ত্র দমন করতে হবে। পাহাড়ে কথিত রাজার শাসনের অবসান ঘটাতে হবে। সারা দেশে একই আইনে শাসন চলবে, পার্বত্য এলাকায় ভিন্ন আইন চলবে না।
৭ম দফা : নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপ ভ্রমণে সর্বপ্রকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। সারা দেশে যেভাবে মানুষ প্রয়োজন মাফিক ভ্রমণ করতে পারে, নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপেও একইভাবে সারাবছর ভ্রমণ করতে পারবে।
৮ম দফা : হিন্দুত্ববাদ ও ভারতসহ বিদেশী রাষ্ট্র তোষণ বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিন, ভারতসহ পৃথিবীর যে প্রান্তেই মুসলিম নির্যাতন হবে সরকারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে তার প্রতিবাদ করতে হবে। নির্যাতিত মুসলমানদের সহযোগীতার জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
৯ম দফা : জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধের টিকার নামে মেয়েদের বন্ধাত্ব তৈরী করা যাবে না। এইচপিভি টিকা কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। গত কয়েকদিন টিকা দিয়ে শেরপুর, চট্টগ্রাম, ভোলা, ঝিনাইদহ, পাবনা, ময়মনসিংহ, গাইবান্ধা, লক্ষীপুর, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালীতে হাজার হাজার ছাত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং অনেক ছাত্রী মারাও গেছে। এই সকল ছাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। দেখা যাচ্ছে, এ টিকা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরেও কিছু বিদেশী দালালরা মিথ্যা গুজব রটনা করছে। তাদের এ মিথ্যা রটনার জন্য তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। জনসংখ্যা জনসম্পদ এবং জনশক্তি। তাই জন্মনিয়ন্ত্রণের যাবতীয় পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
১০ম দফা : বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ দিতে হবে। অবৈধ সংযোগগুলোকে বৈধ ভাবে সংযুক্ত করলে রাষ্ট্রীয় আয়ও বাড়বে।
১১তম দফা : পলিথিন নিষিদ্ধ নয় রিসাইক্লিং পদ্ধতি চালু করতে হবে। পলিথিন ব্যবসার সাথে জড়িত কোটি কোটি মানুষের আর্থিক ক্ষতি করা চলবে না।
১২তম দফা : নদী ও সাগরে মাছধরার উপর কোন রূপ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে জেলেদের রুটি-রুজির উপর আঘাত দেয়া চলবে না। সারা বছর মাছ ধরতে দিতে হবে।
১৩ তম দফা : ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ করতে হবে। দেশের প্রয়োজনীয় বালি-পাথর দেশের উতস থেকেই উত্তোলন করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশের পাথর ও বালি উত্তোলনে কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া যাবে না। সর্ব প্রকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। এই কাজের জড়িত কোটি কোটি বেকার লোককে কর্মে ফিরিয়ে আনতে হবে।
১৪ তম দফা : মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ না করা: সবাই নিজেদের অধিকারের কথা বলতে পারলে মুসলমানরা কেন বলতে পারবে না? মুসলমানদেরকেও নিজেদের অধিকারের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। কিছুতেই মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ করা চলবে না। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
উদাসীনতায় নীরবে বেড়েছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই করছে মন্ত্রণালয়
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আগুন নেভাতে এত সময় লাগল কেন, নেপথ্যে ষড়যন্ত্র?
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বছরজুড়ে নিত্যপণ্যের দামে নৈরাজ্য, সিন্ডিকেট দমনে ব্যর্থ সব পক্ষ
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি -ফায়ারের ডিজি
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় সতর্ক আছে সেনাবাহিনী
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় সামনে আসছে যেসব প্রশ্ন
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সঙ্কট বাড়ছে ব্রিটিশ বাহিনীতে, স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ছে হাজার হাজার সেনা
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সচিবালয়ের আগুনে পুড়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বৈধতা অর্জনের সময়সীমা বেঁধে দিলো সরকার
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর নিহত
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জানুয়ারির শুরুতেই বাড়বে শীত, থাকবে মাসজুড়ে
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)