সন্তান প্রতিপালনে মা-বাবা, অভিভাবকদের যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরী (২)
, ১২ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ৩১ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, শাইখুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ হযরত বাবা ফরীদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শকর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত আম্মাজান সন্তান প্রতিপালনের যে উজ্জল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা আগত অনাগত সকলের জন্য অনুসরণীয়-অনুকরণীয়। উনার সম্মানিত আম্মাজান তিনিও ছিলেন একজন উঁচু স্তরের ওলীআল্লাহ। সন্তান প্রতিপালন তথা সন্তানকে ওলীআল্লাহ বানানোর জন্য এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
তিনি প্রিয় সন্তান বাবা ফরীদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শকর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতি সবসময় গভীর নজর রাখতেন। খাওয়া, পরা, চলা-ফেরা, উঠা-বসা, ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকির ইত্যাদি কোন কাজেই যেন সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার খিলাফ না হয় তার প্রতি বিশেষ যতœবান ছিলেন। তিনি সবকাজই সঠিকভাবে করেন। কিন্তু সম্মানিত নামায উনার প্রতি বিশেষ আগ্রহ ও গুরুত্ব দেখতে পেলেন না। একদিন তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত বাবা ফরীদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শকর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মিষ্টি খাওয়ার প্রতি বিশেষ আকর্ষন অনুভব করলেন। তাই কাছে ডেকে আদর করে বললেন, “বাবা! আপনি যদি প্রতিদিন গুরুত্বসহকারে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করেন তাহলে প্রতিদিনই জায়নামাযের নিচে চিনি পাবেন।” একথা শুনে হযরত বাবা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি খুশি হলেন। আর বললেন, আমি তাহলে প্রতিদিনই সম্মানিত নামায আদায় করবো।
মসজিদে আযান হলেই উনার আম্মা অযুর পানি এনে দেন। জায়নামায বিছিয়ে দেন। আর জায়নামাযের নীচে এক পোটলা চিনি রেখে দেন। তিনি প্রতিদিনই এরূপ করেন। নামায শেষ করে সাইয়্যিদুনা হযরত বাবা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি জায়নামাযের নীচ থেকে চিনির পোটলা পেয়ে অত্যন্ত খুশি হন। আনন্দচিত্তে তা খান। এভাবে তিনি সম্মানিত নামায উনার প্রতি আগ্রহী ও বিশেষ যতœবান হয়ে উঠেন। একদিন উনার আম্মা কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে অযুর পানি দিতে পারেননি। জায়নামাযও বিছিয়ে দেননি। সাইয়্যিদুনা হযরত বাবা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজেই অযুর পানি সংগ্রহ করে অযু করতঃ জায়নামায বিছিয়ে নামায আদায় করেন।
নামায শেষে সম্মানিত আম্মা উনার সামনে গেলেন। তিনি প্রিয় সন্তানকে দরদমাখা কণ্ঠে বললেন, নামায আদায় করেছেন? তিনি বললেন, জি, আম্মাজান। অযু করে নামায আদায় করেছি।
আম্মা বললেন, চিনি পেয়েছেন? তিনি বললেন, জি! আম্মাজান, অন্যান্য দিনের মতো চিনিও পেয়েছি এবং তা খেয়েছি। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে আজকের চিনিটা বেশি মিষ্টি ও সুস্বাদু। একথা শুনে উনার আম্মাজান তিনি সিজদায় পড়ে গেলেন। বললেন, হে বারে ইলাহী! আজকে তো আমি কোন চিনি দেইনি। আপনি কুদরতীভাবে তা দিয়েছেন। আপনার লক্ষকোটি শুকরিয়া।
সেদিন থেকে উনার আম্মাকে আর চিনি দিতে হয়নি। নামাযান্তে নিয়মিত কুদরতীভাবে চিনি পেতেন। তিনি তা গ্রহন করতেন। এভাবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত জায়নামাযে নিচ থেকে চিনি পেতেন বলে উনাকে গঞ্জে শকর বা চিনির গুদাম লক্ববে আখ্যায়িত করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
-আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জন্মের প্রথম মাস
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে মু’মীনদের জীবন গড়ে তোলা দায়িত্ব-কর্তব্য
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৩)
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নারীবাদী বলে কথা........
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)