সজীব ও সবুজ ঢাকা পাওয়া কী খুব কঠিন। সদিচ্ছা থাকলেই সবুজ রাস্তাঘাট আর সজীব বাড়ীর ঢাকা পাওয়া সম্ভব।
, ৩০ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ৩১ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের রূপ মানেই সবুজে ঘেরা এক শ্যামলিমা। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু ইট-পাথরের চাপায় ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে ঢাকার সবুজ রূপ। প্রতিদিন নতুন নতুন বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হচ্ছে আর কেটে ফেলা হচ্ছে পুরনো বাড়ির চারপাশে দিয়ে থাকা গাছ। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে বৃক্ষতলের শীতল ছায়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি জনপদে জনগণের তিনগুণ গাছ থাকা দরকার। কিন্তু প্রায় দুই কোটি মানুষের এই ঢাকা শহরে গাছ আছে কয়টি? সঠিক সংখ্যা কারো কাছে না থাকলেও তা দুই-তিন লাখের বেশি হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঢাকা শহরে গাছের কোনো পরিসংখ্যান কখনোই করা হয়নি।
ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার আয়তন ৩০৪ বর্গকিলোমিটার। এই আয়তনের ঠিক কতভাগ গাছ আছে তার কোনো হিসাব নেই বন বিভাগ বা খোদ সিটি করপোরেশনে।
২০১০ সালে আমগাছকে দেশের জাতীয় বৃক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ ঢাকায় আমগাছও চোখে পড়ে না। পার্ক ও রাস্তার দুই পাশের গাছ মরে যাচ্ছে। গত তিন বছরে রাজধানীর প্রায় দুই হাজারের বেশি গাছ মারা গেছে।
ঢাকা শহরে এখনো যত গাছ আছে সেগুলোর একটি বড় অংশ উজাড় হওয়ার হুমকির মুখে। এসব বৃক্ষের স্থান দখল করে নিচ্ছে অপরিকল্পিত বাড়িঘরের বিস্তার। ফলে বৃক্ষশোভিত ঢাকার অপরূপ নিসর্গ ক্রমশ হয়ে উঠছে ছায়াহীন উষর। নির্মল বায়ুর বদলে ঢাকার আকাশ ঘিরে আছে দূষিত বায়ুর বিষবাষ্পে।
ঢাকার বাতাস, পানি ও মাটি দূষিত হয়ে গেছে। রাস্তা-ঘাট সব কংক্রিটে ঢেকে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি ঢুকতে পারছে না মাটিতে। অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে মাটিতে।
বর্তমানে যে ঢাকায় আমরা বাস করছি এখানে বাতাস বিশুদ্ধ নয়, পানি বিশুদ্ধ নয়, জীবন যাত্রা বিশুদ্ধ নয়। বাতাসে সীসা আর কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা অনেক বেশি। এইসব কারণেই শহরবাসীর ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট, কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিক, হার্টের অসুখসহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। এভাবেই একদিন অযোগ্য হবে ঢাকা। তাই সবুজায়নের বিকল্প নেই। শহরে পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছ থাকলে কিছুটা নোংরা আবর্জনা থাকলেও ক্ষতিটা পুষিয়ে যায়। কিন্তু উত্তপ্ত-মরুভূমিতে নোংরা থাকলে সেটি জীবন যাপনের জন্য হুমকির মতো। তাই গ্রিন ঢাকাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন।
ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আনিসুল হক ঘোষণা করেছে যে, গ্রিন ঢাকা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে রাজধানীর প্রতিটি ফুট ওভারব্রিজে ফুলের গাছ লাগানো হবে এবং তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। কার্যক্রমটি ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ফুট ওভারব্রিজ শুধু নয়, পর্যায়ক্রমে গোটা রাজধানীকেই এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গুলশান ফজলে রাব্বী পার্কে বাটারফ্লাই গার্ডেন, লেডিসপার্কে কাঠবিড়ালি পার্ক, হাতিরঝিলে বাহারি ফুলের বাগান এবং বিজয়সরণির বিপরীতে তৈরি করা হবে রেইন গার্ডেন।
আমাদের অতি পরিচিত সিঙ্গাপুরই এই ক্ষেত্রে অনুসরণযোগ্য দৃষ্টান্ত হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। ‘গার্ডেন সিটি প্রোগ্রাম’ শিরোনামে ষাটের দশকে গৃহীত একটি পরিকল্পনার আওতায় ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রটি তাহার বর্ণাঢ্য জীববৈচিত্র্য, নয়নাভিরাম সৌন্দর্য ও অনবদ্য নিয়ম-শৃঙ্খলার জন্য ইতোমধ্যে সারা পৃথিবীর নজর কেড়েছে। ‘সবুজ ও পরিচ্ছন্ন সিঙ্গাপুর’ গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে টানা তিন দশক ধরে তারা বহুমুখী প্রচেষ্টা চালাইয়াছে নিরলসভাবে। রাস্তার পাশে পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগানো হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে পার্ক ও মুক্তাঞ্চলের সুবিস্তৃত নেটওয়ার্ক। পাশাপাশি, এইসব বৃক্ষ ও পার্ক সুরক্ষার জন্য প্রণীত ও গৃহীত হয়েছে যথাযথ আইনি বর্মও। আমরা অবশ্যই এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারি।
প্রসঙ্গত আমাদেরও প্রথমেই নজর দিতে হবে ঢাকার রাস্তার দিকে। রাস্তার দুই পাশে ও মাঝের লেনে গান লাগানোর পরিকল্পনা করতে হবে। খালি স্থানগুলোকে পরিস্কার করে বাগান করার পরিকল্পনা করতে হবে। পাশাপাশি বৃক্ষ রোপনে ঢাকাবাসীকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করা, গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়ার কবল থেকে রক্ষা ও পরিবেশ দুষণ মুক্ত রাখা, পরিবারের জন্য তাজা শাক-সবজি, ফল ও ফুলের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি, অবকাঠামো তৈরিতে যে পরিমাণ জমি নষ্ট হয় ছাদে বাগানের মাধ্যমে তার কিছু অংশ পুষিয়ে নেওয়া, অবসর সময় কাটানোর জন্য ছাদে সবুজ সৌন্দর্য বর্ধন ও বিনোদনের সুবিধা সৃষ্টি, অতিবৃষ্টির পানি ছাদের ড্রামে/টবে শোষন করে পানিবদ্ধতা হ্রাসে ভূমিকা রাখা, ছাদ ও বাড়ীর তাপমাত্রা হ্রাসে সহায়তা করা, ছাদে বাগান কার্যক্রমে মহিলা ও ছেলে মেয়েদের সম্পৃক্তর জন্য বিশেষ সক্রিয় ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বলাবাহুল্য যদিও বাংলাদেশের চাষাবাদের জন্য জমিও এখনও সম্পূর্ণ আবাদ হচ্ছে না; সেখানে দালান বাড়ির ছাদের চাষাবাদের কথা একটু অন্যরকমই লাগতে পারে।
কিন্তু এ দেশের কিছু সচেতন ব্যক্তিবর্গ আছেন যারা ব্যক্তিগত আগ্রহ আর উদ্যোগে ছাদে বাগান শখের বসে হলেও করেছেন। তবে তাদের বিনিয়োগের যেমন পরিকল্পিত প্রক্রিয়া থাকে না, তেমনি প্রাপ্তির হিসেবেও বাণিজ্যিকভাবে করা হয় না। কিন্তু সামান্য আন্তরিকতা আর সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এ প্রতিশ্রুতিশীল দিকটাকে অনেক সমৃদ্ধ করা যেতে পারে।
সরকার রুফ গার্ডেনিং করার ওপর ব্যাপক জোর দিতে পারে। এমনকি সরকার চাইলে এটা বাধ্যতামূলক করতে পারে। সরকারের জন্য তা অনেক সহজেই করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন শুধু সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আর তা হলো রাজউকের প্লান পাসের সময় বাড়ির ছাদে বাগান করার বাধ্যতামূলক শর্ত জুড়ে দিতে হবে। তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঢাকা ‘গ্রিন রুফ গার্ডেন সিটিতে’ পরিণত হবে।
মূলতঃ এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েজ, তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)