শীতের সবজি সমাহারও কীটনাশকের কারণে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হচ্ছে কৃষক ও ভোক্তা উভয়কেই সচেতন হতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ০৪ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৩ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
শাক-সবজির সঙ্গে কীটনাশক মিশ্রিত খাবার খেয়ে তা মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় শীতকালীন সবজির চাষ বেড়েছে। সবজি খেতে নানান ধরনের পোকামাকড়ের উপদ্রব দেখা দেয়। এতে কৃষকরা তাদের কাক্সিক্ষত ফসল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। ফলে ফসলকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন কৃষকরা। সমস্যা হচ্ছে, প্রায় ক্ষেত্রেই মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। এতে ফসল রক্ষা পেলেও মানুষ ও প্রকৃতি নানানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কৃষকরা বেশি ফলন ও বেশি লাভের আশায় কপি, বেগুন, পটল, করলা, টমেটো ও শিমসহ সবরকমের সবজিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শাকসবজিতে কীটনাশকের আধিক্য থাকলে আর সেটা যথানিয়মে খাওয়া না হলে মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শাক সবজি চাষে পোকামাকড় ও রোগবালাই বড় বাধা। বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড়ের হাত থেকে সবজি ফসলকে রক্ষার জন্য সবজি চাষিরা তাই প্রথমেই সাধারণত বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। কিন্তু এমন কোনো কীটনাশক নেই, যা মানব দেহের জন্য কম বেশি বিষাক্ত নয়। এ দেশে সাধারণত যথেচ্ছভাবে মাত্রাহীন পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে সবচে বেশি মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে শাকসবজিতে। শাকসবজিতে কোনো প্রকার অপেক্ষমাণ কাল না মেনেই সেসব শাকসবজি তোলা ও খাওয়া হয়। অথচ প্রায় প্রতিটি কীটনাশকেরই রয়েছে কম বেশি অবশিষ্টাংশের প্রভাব। অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে যেমন তেমন, কিন্তু শাকসবজি, ফল, পান ইত্যাদি ফসলের ক্ষেত্রে কীটনাশক ব্যবহার প্রতিদিন আমাদের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
এক দিকে কীটনাশক ব্যবহার করে চাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে পরাগায়নে সাহায্যকারী বিভিন্ন পোকামাকড়কে আর ক্ষেতে দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে ফলনও মারাত্মকভাবে কমে যাচ্ছে। আর এসব কীটনাশক ব্যবহারের সময় যে সতর্কতা বা সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত তার কিছুই আমাদের দেশে মানা হয় না। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে কৃষকেরা বিষাক্ততায় আক্রান্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এখন প্রশ্ন হলো চাষিরা কেন জীবনের এত ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত অর্থনাশ করে বিপুল পরিমাণ কীটনাশক ফসলে ব্যবহার করেছে? প্রথমত সব চাষিই চায় সহজে ও দ্রুত ক্ষেতের পোকামাকড় ধ্বংস করতে। এ দেশের চাষিরা বিষ প্রয়োগের দ্বারা পোকামাকড় ও রোগ দমনব্যবস্থাই সর্বপ্রথম ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করেছে। শাকসবজিতে কীটনাশক ব্যবহার নিষিদ্ধ বা দূষণীয় নয়। কিন্তু সবজিতে তা প্রয়োগের পর একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করলে সেসব বিষের বিষাক্ততা কেটে যায় বা অনেক কমে যায়। ফলে তখন সেসব সবজি গ্রহণ অনেকটা নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত হয়। তাই শাকসবজির ক্ষেত্রে কীটনাশক ব্যবহারে এই অপেক্ষমাণকাল একটি শুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ দেশে কোনো সবজিচাষিই বিষাক্ত কীটনাশক ক্ষেতে ছিটানোর পর নিয়মমতো ফসল তোলার জন্য অপেক্ষা করেন না। কাজেই ক্ষতি যা হওয়ার তা এসব সবজি যারা খায় তাদেরই হয়। মানবদেহে প্রয়োগকৃত কীটনাশকের এক কণাও যেন প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বিশে^র অনেক দেশেই কঠোরভাবে অপেক্ষা মান কাল মানা হয়। যেহেতু আমাদের দেশে তা বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করা হয়না সে জন্য ভোক্তাকেই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অধিক সচেতন হতে হবে।
সমস্যা হচ্ছে, কীটনাশক প্রয়োগের পর তার প্রভাব দূর করার পদ্ধতিটা সব কৃষক জানে না। আমরা মনে করি, কীটনাশক প্রয়োগ সম্পর্কে এবং এ ধরনের সবজি বিক্রির ব্যাপারে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। ব্যাপক আকারে প্রচার চালানোর উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে কীটনাশকজনিত ক্ষতি অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কীটনাশক প্রয়োগ করা সবজি খেলে মানুষের ক্যান্সার, উচ্চরক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোনো কোনো কীটনাশকের অবশিষ্টাংশের প্রভাব এত বেশি দিন থাকে যে তা একবার আমাদের দেহে ঢুকলে তা সহজে সম্পূর্ণ রূপে যায় না। বরং এ জাতীয় কীটনাশকের কণা দেহে ক্রমসঞ্চিত হতে হতে আমাদের বিকলাঙ্গ বা বন্ধ্যা করে তোলে। তবে রান্নার আগে ভালোভাবে শাকসবজি ধুয়ে নিলে কীটনাশক অনেকাংশে দূর করা যায়। এ বিষয়ে ভোক্তাদেরও সচেতন করা জরুরি।
রাসায়নিক সার বা ওষুধ ব্যবহার না করেও শাকসবজি ফলানো যায়। যেমন বেগুনের পোকা দমনের জন্য কীটনাশক ব্যবহার না করে ফেরোমিন ফাঁদ ব্যবহার করা যায়। চুলার ছাইও ভালো ওষুধ বেগুনের পোকা দমনে। বহুকাল ধরে নিমের পাতাসেদ্ধ পানি ছিটিয়ে ফসলের পোকা দমন করার পদ্ধতি আমাদের কৃষিতে প্রচলিত রয়েছে। এটি একটি কার্যকর পদ্ধতি।
পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে প্রাকৃতিক যেসব উপায় রয়েছে সেগুলো ব্যবহারে কৃষককে উৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি কিছু নিয়ম পালন করলে, ফরমালিনমুক্ত করার মত শাকসবজিকেও কীটনাশক মুক্ত করা যায়। সেগুলোও ভোক্তাকে প্রয়োগ করতে হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এসএফবি তথ্যানুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৯৪ লাখ অপরদিকে গত পরশু প্রকাশিত আইওএম পরিবেশিত তথ্যানুযায়ী দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৪৩ লাখ দুঃখজনক হলেও সত্য রাষ্ট্র বা সরকারের নিজস্ব তথ্য পরিসংখ্যান নেই। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়াও নেই। এর সমাধান জরুরী।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












