শিশু লালন-পালন/পরিচর্যা (১৩)
শিশু পরিচর্যা (নবজাতকের ওজন, স্বাভাবিক বৃদ্ধি হ্রাস এবং শিশুর গড় ওজন)
, ১৪ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ৩১ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ১৭ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
(গত ০৪ঠা ছফর শরীফের পর)
জন্মের সময় গড়ে নবজাতকের ওজন প্রায় ৭.৫ পাউন্ড (৩.৪ কেজি) হয় যদিও ৫.৮- ১০ পাউন্ডকে (২.৬ ৪.৫ কেজি) শিশুর ওজনের স্বাভাবিক পরিসীমা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সব বাবা মায়েরাই চায় তাদের সন্তান সাধারণের মাঝে অসাধারণ হয়ে তাদের গর্বিত করুক। কিন্তু শুধুমাত্র একটা বিষয়ে তারা চায় তাদের সন্তান অন্যদের মতো সাধারণ বা স্বাভাবিক মাত্রায় থাকুক। সেটা হচ্ছে “ওজন”। বাচ্চার ওজন কম হলে সে অসুস্থ নাকি আকারে ছোট সেটা নিয়ে বাবা মায়ের দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় আবার ওজন বেশি হলে তার ওবেসিটি নিয়ে তারা চিন্তিত হয়ে পড়েন।
তবে, আমাদের আজকের আর্টিকেলের তথ্যসমূহ আপনার চিন্তা কমাতে সাহায্য করবে।
যদি নবজাতকের স্বাস্থ্যকর ওজনের প্রশ্ন আসে তবে তার পরিসর বিস্তৃত। শিশুর খাওয়া-দাওয়া, ইস্তিঞ্জা ইত্যাদি ঠিক থাকলে উদ্বিগ্ন হওয়ার সাধারণত কোন কারণ নেই।
নবজাতক শিশুর ওজনে কোন বিষয়গুলো প্রভাব বিস্তার বা অবদান রাখে?
আপনার কি মনে হচ্ছে যে, পাশের থাকা নবজাতকের তুলনায় আপনার শিশুর ওজন কম বা বেশি। আপনি হয়তো মনে মনে ভাবছেন, দুজনই তো নবজাতক, তবে ওজনের পার্থক্যের কারণ কি? এই পার্থক্য বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন-
সন্তানধারণের আগে ও সন্তান ধারণে মায়ের ওজন এবং ডায়েট (যদি সন্তানসম্ভাবা অবস্থায় আপনার ওজন বেশি হয় তবে আপনার নবজাতকের ওজন বেশি হতে পারে। আর যদি সন্তানসম্ভাবা অবস্থায় পর্যাপ্ত পুষ্টি না পান তবে আপনার শিশুটির ওজন কম হতে পারে)।
আপনার প্রসব পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য উদাহরণস্বরূপ, আপনার ডায়াবেটিস আছে কিনা এসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে।
আপনার নিজের জন্মকালীন ওজন জেনেটিক্স (জন্মের সময় আপনার ও আপনার আহালের আকারের প্রভাব সন্তানের উপর থাকতে পারে)।
আপনার নবজাতক ছেলে কিনা মেয়ে তার উপরও ওজন নির্ভর করে (ছেলে নবজাতকের ওজন সাধারণত বেশি হয়)।
প্রথম সন্তানের ওজন পরবর্তী সন্তানদের তুলনায় কম হয়।
আপনার যদি যমজ বা ট্রিপলেট সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় তবে তাদের ওজন অন্য বাচ্চাদের (সিঙ্গেল) তুলনায় কম হতে পারে।
শিশুর জাতি বা বর্ণ (ককেশীয় শিশুরা কখনো কখনো আফ্রিকান-আমেরিকান, এশিয়ান বা নেটিভ আমেরিকান শিশুদের চেয়ে আকারে বড় হয়)।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে সন্তানদের শিশুকাল থেকেই সঠিক পরিচর্যা করে গড়ে তোলার তাওফিক দান করেন। আমীন! (ইনশাআল্লাহ চলবে)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্তানদের ও পরিবারের সকলকে সালাম দেয়া শিক্ষা দান করুন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৪)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফের বিশ্বে নারীরা শুধু কি এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন দ্বীনদার পরহেযগার আল্লাহওয়ালী মহিলা উনার পর্দা পালনের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)